মাইক্রোসফটের বিং সার্চে রয়ে গেছে শিশু-পর্নো

এখনো মাইক্রোসফটের সার্চ সাইট বিং-এ উঠে আসে ‘শিশু-পর্নো’-সংশ্লিষ্ট ফলাফল। অথচ প্রায় বছরখানেক আগেই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল মাইক্রোসফটকে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি সে সময় বলেছিল, সমস্যাটির সমাধান করা হবে।
২ নভেম্বর ‘বিং’ সার্চে ‘শিশু-পর্নো’-সংশ্লিষ্ট ফলাফল দেখানো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ রাখতে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। সার্চ ফলাফল প্রশ্নে সাবেক এক মাইক্রোসফট কর্মী বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে নিজেদের টুলগুলোই ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছে না মাইক্রোসফট।’
বিং সার্চ ফলাফলে ‘শিশু-পর্নো’ উঠে আসার বিষয়টি সম্পর্কে মাইক্রোসফটকে জানানো হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। ওই সময় মাইক্রোসফট বলেছিল, সার্চ ফলাফল থেকে এটি সরানোর জন্য সব রকমের চেষ্টাই করা হবে। ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো করার ব্যাপারে’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও দাবি ছিল প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু প্রায় বছরখানেক পর ফলাফল বলছে ভিন্ন কথা। জানুয়ারিতে অভিযোগ পাওয়ার পর মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, বিং সার্চ ফলাফল ঠিক রাখতে ‘ফটোডিএনএ’ ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, ‘ফটোডিএনএ’ হলো মাইক্রোসফটের ছবি শনাক্তকরণ প্রোগ্রাম। দশ বছর আগে তৈরি এই প্রোগ্রাম দিয়ে চাইলেই ‘ছবি শনাক্ত করা সম্ভব’, এমনকি পরিবর্তিত ছবিও ধরতে পারে প্রোগ্রামটি।
এদিকে, ‘শিশু-পর্নো’কে চলন্ত লক্ষ্যবস্তুর সঙ্গে তুলনা করে মাইক্রোসফট মুখপাত্র বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস বিষয়টি জানানোর পর অ্যালগরিদমে কিছু সমস্যা খুঁজে পেয়েছি আমরা। অবৈধ ছবি ঠেকানোর লক্ষ্যে সেগুলো সমাধান করা হয়েছে।’
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, শুধু বিং নয়, কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই ‘শিশু-পর্নো’ প্রশ্নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে না। এসব বিষয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো অসংগতিপূর্ণ ও একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আর এতে লাভ হচ্ছে শিশু নিপীড়কসহ অন্যান্য অপরাধীদের।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর গাফিলতির কারণে বন্ধ করা যাচ্ছে না শিশু-পর্নোগ্রাফি। খুব দ্রুত গতিতে পদক্ষেপ নিয়ে এসব সাইট বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে শিশুদের নিয়ে জোর করে চালানো যৌন নির্যাতন বন্ধ হবে। বন্ধ হবে পৃথিবীব্যাপী শিশু যৌন নির্যাতন।