নিউইয়র্কে তীব্র শীত

তীব্র শীত পড়েছে নিউইয়র্কে। ১২ নভেম্বর নিউইয়র্ক নগরীর তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের অনেক নিচে। ওই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শুধু নিউইয়র্ক নয়, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আমেরিকার বড় অংশজুড়েই এবার তীব্র শীত পড়বে। তাপমাত্রা কমে ১৭০ বছরের রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর। পুরো আমেরিকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এলাকার তাপমাত্রা কমে যাবে এবং মানুষ ঠান্ডায় বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সিএনএনের আবহাওয়াবিদ টেলর ওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন একটি প্যাটার্নে আছি, যেখানে কানাডাসহ মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের দিকে ভয়াবহ শীত পড়বে।’

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, ‘আমেরিকার মধ্যাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। পূর্ব ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু এলাকায় তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই এ বছর বেশি পরিমাণে তুষারপাতের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মে তীব্র গরম ও শীতে হিমশীতল আবহাওয়া থাকছে। তীব্র শীত থাকবে উত্তরের সমভূমিতে। সেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে যেতে পারে। কুয়াশাযুক্ত বাতাস থাকবে। শীতের তীব্রতা থাকবে পুরো অঞ্চলে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, উত্তর মেরুজুড়ে আর্কটিক অঞ্চলে শীতের বিস্ফোরণ ঘটবে। নভেম্বরজুড়েই শীতের প্রকোপে আটকা পড়বে আমেরিকার মানুষ। এই হিম ঠান্ডা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। মৌসুমি শীতের পাশাপাশি মধ্য আমেরিকাজুড়ে ঝড় ও দমকা বাতাস বইতে পারে।

ওয়েদার চ্যানেলের আবহাওয়াবিদ জনাথন এরদম্যান টুইট করেছেন, এ বছরের নভেম্বরেই আমেরিকার মানুষ জানুয়ারি মাসের শীতের স্বাদ অনুভব করবে।

লোকজনকে শীতের আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।