ট্রাম্পের সামনে 'খারাবি' আছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে ‘খারাবি’ আছে। অভিশংসন তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আরও ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। আর এই আশঙ্কায় খুব চাপে আছেন ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। 

ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তে গত বুধবার ক্যাপিটল হিলে প্রকাশ্য শুনানি শুরু হয়। এই শুনানি দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। আজ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ফের প্রকাশ্য শুনানি শুরু হচ্ছে। এই শুনানি ট্রাম্পের জন্য আরও মারাত্মক, আরও ক্ষতিকর হতে পারে।

চলতি সপ্তাহের শুনানিতে তদন্তকারী হাউস ইনটেলিজেন্স কমিটি ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড। ট্রাম্পের চাওয়ার কথা তিনি ইউক্রেন সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ইতিমধ্যে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, এমন কূটনীতিকেরাও এবারের প্রকাশ্য শুনানিতে সাক্ষ্য দেবেন। এই কূটনীতিকেরা তাঁদের সাক্ষ্যে বলেন, ট্রাম্প ও সন্ডল্যান্ড বারবার ইউক্রেন সরকারকে চাপ দিয়েছেন, যাতে তারা ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।

এত দিন ট্রাম্প এই তদন্তকে পাত্তা দিচ্ছিলেন না। কিন্তু এবার তিনি সুর বদলেছেন। ট্রাম্প নিজে এই তদন্তে শামিল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। গতকাল সোমবার এ নিয়ে টুইট করেছেন তিনি। টুইটে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। তিনি লিখিত বক্তব্য দিতে পারেন।

গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের টেলিফোনে আলাপচারিতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর (ট্রাম্প) বিরুদ্ধে অভিশংসনের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ফাঁস হওয়া আলাপচারিতার একপর্যায়ে ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ইউক্রেনে অতীত ব্যবসার বিষয়ে তদন্তের জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দেন।

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অভিশংসন তদন্ত শুরু করে প্রতিনিধি পরিষদ।