রিচার্ড নিক্সনের চেয়েও খারাপ ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির জের ধরে অভিশংসনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করেছিলেন। এখন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রধান অ্যাডাম শিফ বলছেন, ইউক্রেন কেলেঙ্কারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা করেছেন, তা নিক্সনের চেয়েও খারাপ।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন অ্যাডাম শিফ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে গত ২৫ জুলাই টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের অতীত ব্যবসার ব্যাপারে তদন্তের জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দেন ট্রাম্প। বিনিময়ে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা তহবিল অনুমোদন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি মনে করছে, ট্রাম্প এর মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ব্যবহার করেছেন। এ পদক্ষেপ তাঁকে অভিশংসনযোগ্য করে তুলেছে। এ নিয়ে তদন্ত করছে প্রতিনিধি পরিষদের তিনটি কমিটি।

এই তদন্তের অংশ হিসেবে প্রথমে রুদ্ধদ্বার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আর চলতি সপ্তাহে সাক্ষীদের প্রকাশ্য শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড বলেছেন, ট্রাম্পের নির্দেশে ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়িয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জল বোল্টনসহ আরও কয়েকজন জানতেন। এটা কোনো গোপন বিষয় নয়।

ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, ট্রাম্পের এই কর্মকাণ্ড সফল হতো, যদি না কর্মকর্তারা বিষয়টি ফাঁস করতেন। এ প্রসঙ্গে অ্যাডাম শিফ বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের অবস্থা রিচার্ড নিক্সনের থেকে শোচনীয়। আমরা ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করে বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলছি। এ রকম কোনো কিছু নিক্সন করেননি।’

ডেমোক্র্যাটরা আশা করছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অভিযোগগুলো আনা হবে, তার মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ সাধা এবং বিচারে বাধা প্রদানের বিষয়গুলো থাকবে। এর আগে রিচার্ড নিক্সনের বিরুদ্ধে বিচারে বাধা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কংগ্রেসকে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল।