ম্যাকডোনাল্ডসের মিষ্টি চায়ে গাঁজা!

আমেরিকায় ম্যাকডোনাল্ডস বার্গারের জন্য বিখ্যাত। খাবারের এই বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের আয়, বাজার ইত্যাদি নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা। কিন্তু এবার ম্যাকডোনাল্ড আলোচনায় এল অভিনব এক কারণে। ম্যাকডোনাল্ডসের মিষ্টি চায়ে গাঁজার উপস্থিতি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
ভীষণ জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড কোম্পানি ম্যাকডোনাল্ড প্রতি সেকেন্ডে ৭৫টি, মিনিটে ৪ হাজার ৫০০টি, ঘণ্টায় ২ লাখ ৭০ হাজার, দিনে ৬৪ লাখ ৮০ হাজারের বেশি বার্গার বিক্রি করে। জনপ্রিয় এই কোম্পানি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন খাবার ও পানীয়ের আইটেম যোগ করে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। কিন্তু এবারে ম্যাকডোনাল্ডসের শিরোনামটি একটু ভিন্ন ধরনের বটে।
আমেরিকার সাউথ ক্যারোলাইনার প্যারিশ ব্রাউন জানান তিনি ম্যাকডোনাল্ডে একটি মিষ্টি চায়ের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু চা পান করার পর তিনি যেন রীতিমতো ঘুড়ির মতো আকাশে ভাসছিলেন। তিনি বলেন, ‘আসলে, আমি নেশার ঘোরে আকাশে ভাসছিলাম। নেশার কারণে কর্মক্ষেত্রে আমি কোনো সমস্যায় পড়তে চাইনি।’
প্যারিশ ব্রাউন, হিলটন হেড আইল্যান্ডের একটি ম্যাকডোনাল্ডে গিয়ে দশ টুকরো মুরগির ম্যাকনুগেটস, একটি ডাবল চিজবার্গার এবং হালকা বরফ ও অতিরিক্ত লেবুযুক্ত মিষ্টি চা অর্ডার করেছিলেন। ব্রাউন বলেন, তিনি এখন বিশ্বাস করেন ম্যাকডোনাল্ডসের ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁর কর্মীরা ‘অতিরিক্ত লেবু’-কে গাঁজার ছদ্মনাম হিসেবে মনে করেছেন। তাই তারা হয়তো তাঁর মিষ্টি চায়ে গাঁজা মিশিয়ে দিয়েছিলেন।
২৪ বছর বয়সী ব্রাউন সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি কখনো গাঁজা সেবন করেননি। তাই ম্যাকডোনাল্ডসের মিষ্টি চায়ে থাকা গাঁজার স্বাদটি তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি জীবনে কখনো গাঁজা সেবন করিনি। কিন্তু আমি এটি পান করার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন অনুভব করতে শুরু করি।’
ম্যাকডোনাল্ডসের পক্ষ থেকে ফক্স নিউজকে বলা হয়েছে, ‘গ্রাহকদের সুরক্ষা ও মঙ্গলই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা এ অভিযোগের তদন্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে পুরোপুরি সহযোগিতা করছি।’
বউফোর্ট কাউন্টি শেরিফ কার্যালয়ের মুখপাত্র মেজর বব ব্রোমেজ বলেন, এই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।