নৈতিক অবক্ষয় রোধে ভাবতে হবে

ঘুষ বা দুর্নীতির নামে নানা রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও গণসচেতনতার ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এ ব্যাধির ক্রম-সংক্রমণ বিন্দুমাত্র স্তিমিত হয়নি। বরং কোনো কোনো সংস্থার মতে, দুর্নীতি আগের তুলনায় বেড়েছে। আর্থিক দুর্নীতি সমাজ ও সরকারের প্রতিটি স্তর ও বিভাগেই ব্যাপ্ত হয়ে বর্তমানে এক অলিখিত স্বীকৃতি লাভ করেছে। দুর্নীতি এখন এত ব্যাপক যে, এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সময় ও বাক্যের অপচয় করতে কেউ চান না।

‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্রের একটি সংলাপের অনুকরণে বলা যায়, ‘দুর্নীতির কোনো শেষ নাই, দুর্নীতি রোধের চেষ্টা বৃথা তাই।’ বলতে গেলে বর্তমানে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা চলছে, যা থেকে জাতির ‘মেরুদণ্ড’ বলে স্বীকৃত শিক্ষা বিভাগও পিছিয়ে নেই। আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি তথা শিক্ষকদের একাংশের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও ভ্রষ্টাচারের কাহিনি পত্রপত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়। এ ধরনের শিক্ষকের সংখ্যা কম হলেও তাদের অপকর্মের জন্য গোটা শিক্ষকসমাজকে লজ্জিত হতে হয়।

শিক্ষককে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। প্রতিটি পেশার মানুষকে শিক্ষকের কাছ থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। তাই ব্যক্তি, সমাজ তথা জাতি গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা সর্বশ্রেষ্ঠ। সুশিক্ষা যেমন সুনাগরিক তৈরি করে, কুশিক্ষা তেমনি একজন ব্যক্তির অধঃপতন ও ধ্বংসের রাস্তা প্রশস্ত করে। বর্তমানে শিক্ষকদের একাংশের দোষে তাঁরা নিজেদের শ্রদ্ধার আসনটি ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এ অবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক।

পরীক্ষায় শিক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দিতে নকল সরবরাহ, প্রশ্নপত্র ফাঁস ইত্যাদি ঘটনায় কিছু শিক্ষকের জড়িত থাকার ঘটনা প্রতি বছর জনসমক্ষে আসে। নকলের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই বহিষ্কৃত হন। শিক্ষকও। পাসের হার বাড়িয়ে নিজের চাকরি স্থায়ীকরণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে কোনো কোনো শিক্ষক নিজেদের মূল্যবোধ জলাঞ্জলি দেন। অথচ শিক্ষকদেরই অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা। ফলে এ ধরনের শিক্ষকের আদর্শ ও চরিত্র অনুসরণ করলে ওই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা সহজে অনুমেয়।

ছাত্রজীবন থেকে শুনে আসছি, শিক্ষকতা পবিত্র পেশা, মহৎ এক ব্রত। তাই এ পেশা এক বিশেষ সেবাধর্মী মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য। আজ এ ধারণা আমূল পাল্টে গেছে। বর্তমানে শিক্ষকতা আর পাঁচটি চাকরির মতোই। রাজনৈতিক নেতারা দলীয় সমর্থকদের সন্তুষ্ট রাখতে সহজতম যে উপায়টি খোঁজেন, তা হলো ‘মাস্টারির’ চাকরি প্রদান। নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল ইত্যাদির মাধ্যমে নেতার বিজয় নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সে ঋণ শোধ করেন—এমন শিক্ষক নেহাত কম নয়। আর মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক হওয়ার ঘটনা তো হামেশাই শোনা যায়।

শিক্ষকদের সুযোগ কম। কিন্তু সুযোগের সীমাবদ্ধতা বা অপ্রতুলতার জন্য তাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারেন না। অথচ পত্রিকায় প্রায়ই এ জাতীয় সংবাদ চোখে পড়ে। স্কুল-কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে পর্যাপ্ত তহবিল মঞ্জুর করা হচ্ছে সরকারি তরফে। আর এদিকে তছরুপ হচ্ছে স্কুলের তহবিল। বিভিন্ন প্রকল্প চালু হচ্ছে ইদানীং। এসব প্রকল্পের রূপায়ণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে শিক্ষকদেরও তদারকির জন্য সম্পৃক্ত করা হয়। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। পত্রিকান্তরে খবর বেরোয়। তখন সৎ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষকেরা মর্মাহত ও লজ্জিত হন।

আবার অনেক শিক্ষক বর্তমানে ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ। তাঁরা শিক্ষকতা বাদ দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ব্যস্ত থাকেন। সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত শিক্ষক ক্লাসে লেকচার দেওয়ার বদলে দলীয় সভা-সমিতিতে ভাষণ দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন।

শিক্ষা ক্ষেত্রের এ দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে হলে শিক্ষকদের সরব হতে হবে। ‘শিক্ষকেরা দুর্নীতিগ্রস্ত’—এ অপবাদ প্রবল হওয়ার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। শিক্ষাদানে পূর্ণ মনোনিবেশ একজন শিক্ষককে সমাজে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনের অধিকারী করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক সংগঠনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল সরবরাহ, মিড-ডে মিলের অর্থ আত্মসাৎ, গৃহ নির্মাণের অর্থ নয়ছয়, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রাজনীতি, ডিউটি না করে বেতন গোনা ইত্যাদি অনিয়ম-দুর্নীতিতে যারা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে সদর্থক সরব ভূমিকা গ্রহণে শিক্ষক সংগঠনগুলোর দায়িত্ব নিতে হবে। শিক্ষকেরা যাতে দুর্নীতিমুক্ত থেকে শুধু শিক্ষা দানে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে শিক্ষকসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

যেখানে আমরা আজ হতাশার সাগরে নিমজ্জিত, সেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে কী ভাবতে পারি? তারা কি অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে না? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানাবিধ ঘটনায় দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নৈতিক অবক্ষয়, হিংসা, অহংকার, ক্রোধ-বিদ্বেষ, ছিনতাই, লোভ, শঠতা, ঘুষ, দুর্নীতি, প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, মুনাফেকি, অন্যায়, অবিচার, জুলুম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। এক চরম অবক্ষয় পুরো সমাজকে ছেয়ে ফেলেছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, অফিস-আদালত থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ অবক্ষয় বিদ্যমান। এ অবক্ষয় ধীরে ধীরে সবাইকে কলুষিত করছে। আজকের এ পরিস্থিতির জন্য অনেক কারণের উল্লেখ করা যেতে পারে। এর মধ্যে নৈতিক অবক্ষয়ই প্রধান। এর বিরুদ্ধেই এখন লড়াই করতে হবে। এ অবক্ষয় রোধ কীভাবে সম্ভব?

কয়েক বছর আগে কোনো এক সরকারি কলেজের বার্ষিকীতে একটি প্রবন্ধ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। লেখাটি ছিল একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের। শিরোনাম ছিল, ‘নৈতিকতার অবক্ষয় রোধে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।’ লেখাটি শুরু হয়েছিল এভাবে—কোনো দেশের উন্নতি-অবনতি বহুলাংশে নির্ভর করে জনগণের নৈতিক শক্তির ওপর। কেননা নৈতিক শিক্ষা মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং ভালো কাজে উৎসাহ দেয়। যে দেশের জনগণের নৈতিক অধঃপতন হয়, সে দেশ প্রচুর সম্পদের অধিকারী হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারে না। আপামর জনসাধারণের উন্নতি ব্যতীত কতিপয় লোকের উন্নতির দ্বারা কোনো দেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারে না। অতএব একটি দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নতি ও প্রগতির জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। সাধারণত মানুষ ঘর ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে নৈতিক শিক্ষা লাভ করে। নৈতিক সব শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষা। ধর্মের মাধ্যমে মানুষ আদব-কায়দা, আচার-আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করে।

এ ধরনের লেখা অনেকেই লিখেছেন, আমিও লিখেছি, অনেকে পড়েছেন, আমিও পড়েছি। কিন্তু এ লেখাটি পরিচয় সূত্রের কারণেই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। লেখক সিলেটে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের অধিবাসী। বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের অধ্যক্ষের পদও অলংকৃত করেন। তিনি অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী। আজ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, তিনি ছিলেন ‘মানুষ গড়ার কারিগর’, যে দায়িত্ব তিনি বহু বছর ধরে পালন করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতার একটা মূল্য রয়েছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত অবলোকন করেছেন তিনি। তাঁর জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, অনুধাবন শক্তি ও মূল্যবান কথাকে অবশ্যই আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

প্রবন্ধে সোলাইমান চৌধুরী লিখেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে সব ধরনের লোভ-লালসা, প্রলোভন ও অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। এ শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী, সৎ, নম্র, বিনয়ী ও চরিত্রবান হতে সাহায্য করে। সুতরাং ছোটবেলা থেকে ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বড় দালানকোঠা নির্মাণ করতে হলে যেমন এর ভিত্তি মজবুত হওয়া আবশ্যক, তদ্রূপ ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে হলে তাদের শৈশবকালের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিত। এই ভিত্তি মজবুত করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘সমাজে কোনো ব্যক্তি প্রতিভাবান কিংবা প্রচুর সম্পদের অধিকারী হতে পারে, কিন্তু তার নৈতিক অধঃপতন ঘটলে, সে ব্যক্তি দেশকে কিছু দিয়ে যেতে পারে না। বিদ্যা অর্জন করলে বা বিত্তশালী হলে মানুষ ভালো-মন্দ বুঝতে পারে—এ কথা ঠিক নয়। কেবলমাত্র বিবেক ও নৈতিক জ্ঞানই মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। আমাদের সমাজ জীবনে আজ দারুণ হাহাকার। বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ মারাত্মক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও নিরাপত্তা নেই। বলাবাহুল্য, এসব ঘটছে নৈতিক অধঃপতনের জন্য। আর এসব থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায় হলো নৈতিক চরিত্রের উন্নতি। সে জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় শিক্ষা।

দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর মনের ইচ্ছাটি প্রবন্ধের শেষের দিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে—মানবিক মূল্যবোধের অভাব ও নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে দেশ বা জাতিকে বাঁচাতে হলে আর কালক্ষেপণ না করে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষাকে একটি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে প্রবর্তন করা উচিত বলে আমি মনে করি।

ইদানীং অনেকেই ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে, ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করে। দেশে বোমাবাজির ঘটনা কারও অজানা নয়। কতিপয় মুখোশধারী বিপথগামী লোকের কর্মকাণ্ডের জন্য ধর্মকে দায়ী করা যায় না। জীবন চলার পথে আমি এও লক্ষ্য করেছি যে, এসব ভণ্ড, মুখোশধারী লোকদের কর্মকাণ্ডের জন্য কেউ কেউ দাড়িওয়ালা লোকদের পর্যন্ত বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করে। অনেককেই দেখি ধর্ম বিষয়ে বেশি লেখাপড়া না করেই মনগড়া আলোচনার প্রয়াস চালায়। সমাজে আমরা যেমন অনেক জ্ঞানী লোক দেখি, তেমনি অনেক জ্ঞানপাপী ও জ্ঞানমূর্খও চোখে পড়ে।

‘আত্মঘাতী বোমা হামলা’ বিপথগামীদের কর্মকাণ্ড। আমাদের ধর্ম ইসলাম কোনদিন আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না; বরং এটি মহাপাপ হিসেবে বিবেচিত। কেউ কেউ অন্যদের নিয়ে একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করাকে জিহাদ হিসেবে আখ্যায়িত করে। কিন্তু এটা আয়নার মতো পরিষ্কার যে, দেশের অধিকাংশ মুসলমান বাদ দিয়ে কতিপয় বিপথগামী লোকের কর্মকাণ্ডকে কোনো অবস্থাতেই জিহাদ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না। এরা বিপথগামী; দেশ তথা সমাজে এদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমরা আমাদের প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে এসব পথভ্রষ্টদের পথে থাকার জন্য, তাদের মতো ভ্রান্ত পথে না চলার জন্য, তাদের মতো অভিশপ্ত না হওয়ার জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রার্থনা করি।

আমরা যেখানে নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা করি অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্টদের পথে আমাদের পরিচালিত না করার জন্য, সেখানে আমরা কীভাবে এমন অন্যায়, এমন জঘন্য পাপ করতে পারি? সত্যিকার অর্থে যিনি মুসলমান, তিনি এমন বোমাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। সত্যিকার কোন মুসলমান এদের উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত ও প্রশ্রয় দিতে পারেন না।

আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, কোনো ধর্ম এসব জঘন্য অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। আমার ধারণা নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণেই অনেক ধরনের পাপ ও অন্যায়ের পথ প্রশস্ত হয়। অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্টরাই সমাজে বিভিন্ন রকমের পাপ ও অন্যায় করতে বিন্দুমাত্র সংকোচবোধ করে না। তাদের কারণেই সমাজ তথা দেশে পাপাচার ও অনাচারের মাত্রা ক্রমাগত বাড়ে। তাই আমিও অভিজ্ঞ, জ্ঞানী, ধর্মপ্রাণ অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরীর সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, সমাজ জীবনে নৈতিকতার অবক্ষয় রোধে ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।