হৃদয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগে পিঠা উৎসব

নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ভিন্ন রকম এক পিঠা উৎসব। ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকার একটি ভেন্যুতে কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও হৃদয়ে বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদা আহমেদের উদ্যোগে এ পিঠা উৎসব হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলা এ উৎসবে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও।
পিঠা উৎসবে পাটিসাপটা, ভাঁপা পিঠা, তেলে পিঠা, চিতই পিঠা, বিবিখানা, চানার সন্দেশ, ঝাল পিঠা, পাকন পিঠা, মাংসের পিঠা, নারকেল পুলি, নিমকি, চুপতি পিঠা, সাবুদানা, ডালপুরি, ডাল পাকন, বুলশাসহ নাম না জানা নানা রকমের পিঠার আয়োজন ছিল। সঙ্গে নাচ, গানসহ বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবাইকে মাতিয়ে তোলে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান আয়োজক ও হৃদয়ে বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদা আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হৃদয়ে বাংলাদেশের সভাপতি সাইদুর রহমান। ফিতা কেটে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী আবদুর রহিম বাদশা।
সাবেক ছাত্রনেতা ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট রেজা আবদুল্লাহ ও হৃদয়ে বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক পল্লব সরকারের উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইউএসএনিউজঅনলাইন ডটকম ও সাপ্তাহিক জনতার কণ্ঠ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, ভয়েস অব আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রতিনিধি আকবর হায়দার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিনহাজ আহমেদ, হৃদয়ে বাংলাদেশের উপদেষ্টা মামুন রহমান, সহসভাপতি বদরুজ্জামান রুহেল, তিতাস মাল্টি সার্ভিসের কর্ণধার মেহের চৌধুরী, কবি জুলি রহমান, নাসরিন চৌধুরী ও কামরুন্নাহার রিতা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেরিটেজ প্রিজারভেশন পরিষদের সভাপতি রাজু আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট জামাল হুসেন, জামাল আহমেদ, রায়হান জামান, এম বি তুষার, জাহিদা আলম, রূপা খানম, শিমু আফরোজা, ইলা সরকার, মার্গারেট মল্লিক, শারমিন মিথিলা প্রমুখ। এ সময় কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, সমাজকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।

পিঠা উৎসবে ছিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি সব পিঠার আয়োজন
পিঠা উৎসবে ছিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি সব পিঠার আয়োজন

উৎসবে আয়োজক ও তাঁর বন্ধুদের হাতে তৈরি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা আকৃতি ও স্বাদের পিঠা অতিথিদের বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হয়। আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে রাখতে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা তো ছিলই। আয়োজক মাকসুদা আহমেদ অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে উৎসব কেক কাটেন। ছিল বাঙালি সংস্কৃতি বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের জন্য পুরস্কারের আয়োজনও। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নিউইয়র্কের জনপ্রিয় শিল্পী শারমিন তানিয়া। নৃত্য পরিবেশন করে খুদে শিল্পী মায়া অ্যাঞ্জেলিকা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির অংশ। এমন উৎসব প্রবাসে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের শেকড় ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
শেষে আয়োজক মাকসুদা আহমেদ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও বর্ণময় অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।