ইউনেসকো ক্লাব সম্মাননা পেলেন ফেরদৌস খন্দকার

অনুষ্ঠান মঞ্চে সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আয়োজক ও অতিথিরা।
অনুষ্ঠান মঞ্চে সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আয়োজক ও অতিথিরা।

সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ইউনেসকো ক্লাব সম্মাননা পেলেন আমেরিকাপ্রবাসী চিকিৎসক ও সমাজ উন্নয়নকর্মী ডা. ফেরদৌস খন্দকার। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে চলতি বছর আরও সম্মাননা পান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাহিত্যিক ও চিকিৎসক মোহিত কামাল, কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেসকো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এর মধ্যে ছিল ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্রসহ বিভিন্ন উপহার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আবু হেনা মোরশেদ জামান, বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেসকো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা শামসুল মুক্তাদির।
অনুষ্ঠানে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র বীরের জাতি, যারা নিজেদের মাতৃভাষা বাংলার জন্য জীবন দিয়েছে। বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি আমরা। মূলত বাঙালি জাতির দেখানো পথ ধরেই পৃথিবীতে যার যার মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলা ভাষার লেখক হিসেবে এটি আমাকে গর্বিত করে।’
ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, ‘দেশে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি যারা প্রবাসে বড় হচ্ছে, তাদের কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে। বিশেষ করে তারা বাংলা ভাষা কতটা শিখতে পারছে, তার প্রতি নজর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা শ্রেষ্ঠতম ভালোবাসা। বাঙালি জাতি বায়ান্ন ও একাত্তরে এ ভালোবাসার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখেছে। বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনার পথ ধরেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে; বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে।’