কুইবেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কানাডার একটি বিমানবন্দরে মাস্ক পরা একজন পর্যটক। কুইবেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত আংশিকভাবে ‘লকডাউন’ জারি করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কানাডার একটি বিমানবন্দরে মাস্ক পরা একজন পর্যটক। কুইবেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত আংশিকভাবে ‘লকডাউন’ জারি করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

চুপিসারে এগিয়ে এসেছে বিপদ। শুরুটা খুব ধীরে। এরপর আচমকা বড়সড় থাবা। ইতালি বা স্পেনের আদলেই দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে কানাডায়। এক মাস আগেও টরন্টো বা ভেঙ্কুভারের মতো বড় শহরগুলোর বাইরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি তেমন ধরা পড়েনি বললেই চলে। কিন্তু এই মাসের প্রায় শেষ ভাগে এসে বদলে গেছে পরিস্থিতি। টরন্টো ও ভেঙ্কুভারের মতো বড় শহর তো বটেই, ইয়ুকোন ও প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। সবচেয়ে বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে কুইবেক রাজ্যে।

ফরাসি ভাষাভাষী–অধ্যুষিত কুইবেক অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুতগতিতে। এই মাসের শুরুতেও হয়তো নিশ্চিন্তে ছিলেন কুইবেকের বাসিন্দারা। অথচ এখন কুইবেক প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কানাডার অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি।

টরন্টোয় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বলছে, প্রায় লাখখানেক বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ আছেন কানাডায়। তাঁদের একটি বড় অংশই থাকেন অন্টারিও, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কুইবেক ও আলবার্টায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে কুইবেক ছাড়িয়ে গেছে অন্টারিও কিংবা ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মতো জনবহুল দুই রাজ্যকেও। সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই প্রদেশে আংশিকভাবে ‘লকডাউন’ জারি করা হয়েছে।

কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২৫ মার্চ পর্যন্ত কুইবেকে নিশ্চিত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১৩৩৯। আর এতে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। কুইবেকের পরই খুব কাছাকাছি অবস্থানে অন্টারিও ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্য। অন্টারিওতে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬৮৮। এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ টরন্টোর বাসিন্দা। অন্টারিওতে মৃতের সংখ্যা ১৩। ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬৫৯। এতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। কানাডার পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য আলবার্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৯ জন, মৃতের সংখ্যা ২।

তালিকায় একদম নিচের দিকে আছে ইয়ুকোন (তিনজন) ও প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড (পাঁচজন)। আর কানাডার উত্তরাঞ্চলের নুনাভুত এখনো পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনাভাইরাসের থাবা থেকে মুক্ত আছে।