কমিউনিটির পাশে নেতারা, নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ

নড়েচড়ে বসেছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা। ব্যক্তিগত ও সাংগঠকিভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন তাঁরা। ব্যক্তিগত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমিউনিটির অনেক নেতা তাঁদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। অনেককে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাস্তায় বিতরণ করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন (নয়ন) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে এককালীন অর্থ সাহায্য প্রদান, প্রত্যেক আক্রান্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদানসহ আক্রান্ত দরিদ্র ব্যক্তিদের পরিবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহে তহবিল সংগ্রহের জন্য কমিউনিটির সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আহনাফ আলম তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে কারও কোন জিনিস দরকার হলে দ্বিধাহীন চিত্তে তাঁকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। সহযোগিতা করার পর ফেসবুকে ছবি পোস্ট অথবা ফেসবুক লাইভ না দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মোস্তফা আল আমিনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সহযোগিতা নিতে তাঁর ফোন নম্বরে কল করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এসেনশিয়াল হোম কেয়ারের সিইও মোহাম্মদ হোসেন ইশতিয়াক তাঁর কোম্পানির আওতাধীন সব হোমকেয়ার কর্মীদের এ সময়ে বয়স্কদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
একই নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কস হোম কেয়ারেরর ব্রঙ্কসের কর্মকর্তা আলমাস আলী, বারি হোম কেয়ারের সিইও আসিফ বারি (টুটুল), ইমিগ্রান্ট এলডার কেয়ারের সিইও গিয়াস আহমেদ এবং সারাহ হোম কেয়ার কর্মকর্তা মো. আকাশ।
এদিকে কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ নিউইয়র্কের পাঁচ বোরোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণ করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ বলেন, মানুষের পাশে যদি দুঃসময়ে না থাকতে পারি, তাহলে সংগঠন করে লাভ কি?
একইভাবে আসিএনএ সংগঠনের কর্মকর্তাদেরও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করতে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন ডা. ফেরদৌস হাসান।
যেকোন প্রয়োজনে বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষকে তাঁকে ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীও।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা করোনায় করণীয় ও সতর্কতা বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে করে মানুষ করোনা থেকে সহজে বাঁচতে পারে।
নগর থেকে সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন সিটি কর্মকর্তা রুমা আক্তার। সম্প্রতি তিনি টাইম টেলিভিশনের এক টকশোতে এই সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ এবং কীভাবে বাসা ভাড়া মওকুফ করতে হবে, সে সংক্রান্ত বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার গত সংখ্যায় ‘সংকটে নীরব কমিউনিটি নেতারা’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশের পর কমিউনিটি নেতারা করোনায় মানুষকে সহযোগিতার বিষয়ে উদ্যোগী হন। ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক উদ্যোগে অনেকে কমিউনিটির কর্মহীন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।