নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত অনেক প্রবাসী সুস্থ হচ্ছেন

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

নিউইয়র্কে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে অনেক প্রবাসী এখন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরছেন। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে প্রবাসী কমিউনিটিতে।

দেশের মানুষের মৃত্যু আর অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের ভীতিকর শব্দের মধ্যেও কানে হাত দিয়ে প্রবাসীরা শুনতে চান কারও সুস্থ হয়ে ওঠার খবর। এমন কথাই শোনা গেছে পরিবারসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক তরুণ বাংলাদেশি-আমেরিকান চিকিৎসকের কাছ থেকে। টানা দুই সপ্তাহ করোনার সঙ্গে লড়াই করে ফিরে আসার কথা শুনিয়েছেন তরুণ চিকিৎসক রায়হান ফারুকী।

গত ৩১ মার্চ নিউইয়র্কের বাংলা আইপিটিভি টাইম টেলিভিশনের বিশেষ আলোচনায় এই প্রতিবেদককে নিজের আক্রান্ত ও পরে সুস্থ হওয়ার বিবরণ দেন রায়হান ফারুকী।

চিকিৎসক পরিবারের রায়হান রোগীর কাছ থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর শুরুতেই তীব্র জ্বর ছিল। শরীরে ও গলায় ব্যথায় তীব্র ব্যথা হতে থাকে। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট হয়। চিকিৎসা নিয়ে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রায়হান বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গোপন রাখা একটা বিরাট সামাজিক সমস্যা।’ ভাইরাস বহনকারীর সংস্পর্শে গেছেন এমন কেউ নিজে অসুস্থ না হলেও তা প্রকাশ করা উচিত বলে তিনি জানান। এ বিষয়টি নিজের জন্য, স্বজন ও সমাজের জন্য খুব জরুরি।

রায়হান ফারুকী বলেন, এর মধ্যেই ভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও দেখে নিতে হবে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে গিয়েছিলেন কি না। গিয়ে থাকলে দ্রুত টেস্ট করাতে হবে। তিনি বলেন, অবশ্যই সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে ভাইরাসের সংক্রমণ এড়িয়ে চলার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ কঠিন সময়ে ভাইরাসের সংস্পর্শ থেকে নিজেকে রক্ষা করাই সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনেকেই এ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। ভিন্ন ভিন্ন রোগীর লক্ষণও ভিন্ন বলে জানান রায়হান। যেহেতু সরাসরি কোনো ওষুধ এখনো নেই, তাই নিউইয়র্কের হাসপাতালে এ রোগের চলমান নানা পরীক্ষামূলক চিকিৎসা নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।