নিউইয়র্কে লাশের চাপ, ফিউনারেল ও গাড়ির সংকট

নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলোর সামনে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি। মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, তাই এসব গাড়িরও সংকট দেখা দিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে লাশ দাফনের জন্য স্থানের সংকট। ছবি: রয়টার্স
নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলোর সামনে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি। মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, তাই এসব গাড়িরও সংকট দেখা দিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে লাশ দাফনের জন্য স্থানের সংকট। ছবি: রয়টার্স

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে মৃত্যুর মিছিল ক্রমশ বেড়ে চলেছে। হাসপাতালগুলোতে এখন সারি সারি লাশ। তবে এসব লাশ দাফনের জন্য ফিউনারেল হাউসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া লাশ বহনের জন্য গাড়ির সংকট দেখা দেওয়ায় হাসপাতাল থেকে লাশ দিতেও বেশ দেরি হচ্ছে। ফিউনারেল এবং গাড়ির ব্যবস্থা হলে হাসপাতাল থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী লাশ দাফনের জন্য বা শেষকৃত্যের জন্য ছাড়া হচ্ছে।

জানা গেছ, ১ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টায় জ্যামাইকার বাসিন্দা এন আনোয়ারের বার্ধক্যজনিত কারণে লং আইল্যান্ডের জুইস হাসপাতালে মৃত্যু হয়।

মরহুমের ছেলে মো. হাসান বলেন, হাসপাতালে লাশ আর লাশ। ফিউনারেল হাউস ও গাড়ির সংকটের কারণে তাঁরা লাশ দাফন করতে পারছেন না। ৬ এপ্রিল বা তার পরদিন লাশ দাফনের জন্য দিতে পারবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিরিয়াল অনুযায়ী লাশ দিচ্ছে।

মো. হাসান আরও বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির লাশ দাফনের অপেক্ষায় হাসপাতালেই আছে। ফিউনারেল হোম ও গাড়ির ব্যবস্থা হলেই হাসপাতাল থেকে লাশ আনতে যাবেন স্বজনেরা।