করোনা ফিরে আসতে পারে

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের বিস্তার বাড়ছে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার গভর্নর জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও হাসপাতালে নতুন ভর্তির সংখ্যা কমেছে। তবে মার্কিন সার্জন জেনারেল বলেছেন, আসছে সপ্তাহে করোনার বিস্তার বাড়তে পারে। 

টাস্কফোর্সের শীর্ষ চিকিৎসক বলেছেন, এই ভাইরাসটি বারেবারে ফিরে আসতে পারে। এ জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান্থনি স্টিফেন ফাউসি সতর্ক করে বলেছেন, করোনাভাইরাস 'মৌসুমি ফ্লুর প্রকৃতি' ধারণ করবে। এটি বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা খুব কম।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো গতকাল জানিয়েছেন, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনিবারে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬৩০। গতকাল একদিনে নতুন ৫৯৪ জনের নাম যোগ হয়েছে। তবে আশার কথা হলো, হাসপাতালে করোনাভাইরাস নিয়ে ভর্তি হওয়া ৭৫ শতাংশই ঘরে ফিরেছেন। দুইদিনে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে।

তবে নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র ডি ব্লাজিও সতর্ক করে বলেছেন, নগরীর হাসপাতালগুলোতে ৮ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ ভেন্টিলেটর দরকার পড়বে। তাদের কাছে এখন পর্যন্ত যা আছে তা ৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যের মজুত থেকে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছানোর জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন।

কংগ্রেসের ইন্টেলিজেন্স কমিটির রেংকিং সদস্য ডেভিন নানস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাত দিয়ে বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে আবার সচল করতে প্রেসিডেন্ট আরেকটি টাস্কফোর্স গঠন করবেন। নিউইয়র্ক থেকে নিউজার্সি ,কানেক্টিকাট , মিশিগানসহ ছড়িয়ে পড়া অঙ্গরাজ্য ও নগরীগুলোর বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত উন্মুক্ত করার পক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মার্কিন সার্জন জেনারেল জেরোম এডাম গতকাল বলেছেন, আসছে সপ্তাহটি আমেরিকার বেশির ভাগ মানুষের জন্য জটিল হবে। সময়টি হবে পার্ল হারবার বা নাইন ইলেভেনের মতো জটিল। তিনি বলেন, মৃত্যু শুধু একেক জায়গায় হবে এমন নয় , পুরো আমেরিকায় হবে। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি, ৩০ দিনের মাথায় সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখার সম্ভাবনার কথাও বলেছেন তিনি।