করোনায় করমর্দন হারিয়ে যাবে?

রয়টার্স প্রতীকী ছবি
রয়টার্স প্রতীকী ছবি

উষ্ণ করমর্দনে আর কখনো হয়তো বলা হবে না, ‘বন্ধু কেমন আছিস?’ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ইতিমধ্যে বদলে গেছে অনেক সামাজিক রীতিনীতি। এর মধ্যে করমর্দনও আছে। করোনার ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে করমর্দন পরিহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে লোকজন কি আর কখনো করমর্দন করবেন না? আধুনিক সভ্যতায় সামাজিকতা, শিষ্টাচার, রাষ্ট্রাচারে আন্তরিকতা প্রকাশে করমর্দন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু করোনার কারণে করমর্দন হারিয়ে যেতে পারে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মার্কিন টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. অ্যান্থনি ফাউসি অন্তত তেমনটাই মনে করেন।

৮ এপ্রিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাউসি বলেছেন, কখনোই আর কারও সঙ্গে করমর্দন করা উচিত হবে না। করমর্দন না করলে শুধু করোনাভাইরাস নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র করমর্দন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রেমিক-প্রেমিকারা হাত ধরে হাঁটছেন না বসন্তের মাতাল সমীরণে। জনারণ্যে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ চুমুর দৃশ্যও হারিয়ে গেছে। ছয় ফুট দূরত্ব রেখে চলছে ভাববিনিময়। নিজেকে নিরাপদ রেখে চলছে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সম্ভাষণ বিনিময়।

ফাউসি সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে আলো দেখছেন। আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে এক থেকে আড়াই লাখ লোক করোনাভাইরাসে মারা যাবে। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলাসহ লকডাউনের কারণে মৃত্যু কিছুটা কম হবে বলে এখন মনে করা হচ্ছে। এপ্রিলের শেষ দিকে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে বলে ফাউসি আশাবাদী।