যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ৬০ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বলেছেন, আপাতত ৬০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী অভিবাসন বন্ধ রাখা হবে। গ্রিন কার্ডের আবেদনকারীসহ যাঁরা এর মধ্যে ভিসা আবেদন করেছেন, আবেদন অনুমোদন হয়েছে, তাঁরাও ৬০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ২১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ২২ এপ্রিল তিনি এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজীবীদের আগে দেখভাল করতে হবে। বাইরের দেশ থেকে আসা কর্মীদের সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হওয়া কর্মীদের প্রতিযোগিতায় যেন পড়তে না হয়, এ কারণে প্রেসিডেন্ট এ উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানান।

প্রেসিডেন্ট তাঁর যেকোনো রাজনৈতিক বিপর্যয়ে ইমিগ্রেশন ইস্যুকেই সামনে নিয়ে এসেছেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি ট্রাভেল নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন কিছু দেশ থেকে আসা মানুষের ওপর। তাঁর একের পর এক ইমিগ্রেশনবিরোধী পদক্ষেপ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আদালতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিবাচক আদেশও পেয়েছেন। তবে কংগ্রেসের স্থায়ী আইন প্রণয়ন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পারিবারিক ইমিগ্রেশন বন্ধ করতে পারবেন না ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের জন্য নিজের শ্বেতাঙ্গ সমর্থকদের চাঙা রাখার জন্য আবারও এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এবারে করোনাভাইরাস ও জরুরি অবস্থার সুযোগ নিয়ে আগামী দুই মাসের জন্য ইমিগ্রেশন বন্ধের নির্দেশ দিতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প বলেছেন, দুই মাস পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি পরের সিদ্ধান্ত নেবেন।

অভিবাসন আইনজীবীরা বলছেন, দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লাখো মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। বেকার ভাতা চার মাস করে দেওয়া হবে বলে আগেই কংগ্রেস আইন প্রণয়ন করে। প্রথম দফা ৬০ দিনের পর ট্রাম্প আবারও এ নির্বাহী আদেশের মেয়াদ বাড়াবেন বলেই অভিবাসী আইনজীবীরা মনে করেন।

গেস্ট ওয়ার্কার, স্বাস্থ্যকর্মীসহ বেশ কিছু ক্ষেত্র আওতার বাইরে রেখে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে ট্রাম্প বলেছেন। এর মধ্যে যাঁদের ভিসা দেওয়া হয়েছে, যাঁদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াধীন আছে, তাঁদের উৎকণ্ঠিত না হয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।