নিউইয়র্কে করোনা রোগী শনাক্ত করবে 'স্বাস্থ্য গোয়েন্দা'

নিউইয়র্কের প্রবাসীবহুল এস্টোরিয়া এলাকার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ছবি: হৃদয় অনির্বাণ খন্দকার
নিউইয়র্কের প্রবাসীবহুল এস্টোরিয়া এলাকার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ছবি: হৃদয় অনির্বাণ খন্দকার

 নিউইয়র্ক নগরীতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের শনাক্ত করবে 'স্বাস্থ্য গোয়েন্দা'। এ কারণে ভাইরাস মোকাবিলায় নগরীতে 'সেলফ সোয়াব টেস্ট' চালু হচ্ছে। এই কাজের জন্য  জরুরি ভিত্তিতে এক হাজার 'কন্ট্যাক্ট ট্রেসার' নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

 ২৭ এপ্রিল নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, যারা প্রতিভাবান, অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মী তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সেবাখাতে অভিজ্ঞতা আছে এমন লোকজনকে নগরীর অবিলম্বে প্রয়োজন। আসছে পুরো মে মাসেই এ নিয়োগ চলবে। এসব 'স্বাস্থ্য গোয়েন্দা' নগরীর লোকজনকে চিহ্নিত করবে যারা কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। নগরীতে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে যে কেউ নিজেই টেস্টিং কিট ব্যবহার করে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে তুলে দিতে পারবে। পুরো প্রক্রিয়াটি অভিজ্ঞ কোনো স্বাস্থকর্মীর উপস্থিতিতে করা হবে। এতে একটি কেন্দ্রে ঘণ্টায় ২০ জনের টেস্টিং আলামত সংগ্রহ করা যাবে।

নিউইয়র্ক নগরীর ৪০ মাইল সড়ক পথে গাড়ি চলাচল বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকবে। বিচ্ছিন্নতা বজায় রেখে জনগণের হাঁটা চলার সুবিধার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১২ মে পর্যন্ত নগরীর বিকল্প পার্কিং নিয়ম স্থগিত রাখা হয়েছে।

মেয়র ডি ব্লাজিও বলেছেন, নিউইয়র্ক নগরীর বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য আছে। এবারে আরও শক্তশালী হয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। নগরী আবার চালু হবে চৌকস পদক্ষেপের মাধ্যমে। আগামী ২০ মাস জুড়ে এ ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো পরিকল্পনাটি ১ জুনের মধ্যেই নেওয়া হবে।

নিউইয়র্ক রাজ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার নিউইয়র্ক নগরীতে। রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনগুলোর তুলনায় হ্রাস পাচ্ছে। ২৬ এপ্রিল ৩৬৭ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এখনো এই সংখ্যাটি অসহনীয়। তিনি বলেন, ৩৬৭ জনের মৃত্যু মানে ৩৬৭টি পরিবারে ধ্বংস নেমে আসা।

কুমো মনে করিয়ে দেন, এক মাস আগের অবস্থা অনেক বেশি ভয়াবহ ছিল। ৩১ মার্চের পর থেকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে ২৬ এপ্রিল। যদিও নিউইয়র্ক রাজ্যের ৪ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যানে যোগ করা হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, এখনো যেহেতু করোনা আক্রান্ত হাজারো রোগী প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে, তাই নিউইয়র্ক আবার খুলে দেওয়ার আগে সতর্ক পক্ষেপ নিতে হবে।