আমেরিকায় করোনায় ৪৬ দিনে ২২৯ বাংলাদেশির মৃত্যু

দুই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউনে থাকা নিউইয়র্ক নগরী ও ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউ। ছবি: সৈয়দ মাসুদুল কবীর
দুই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউনে থাকা নিউইয়র্ক নগরী ও ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউ। ছবি: সৈয়দ মাসুদুল কবীর

আমেরিকায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২ মে ২ হাজার ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নিউইয়র্ক স্টেটে ২৬৪ ও নিউইয়র্ক সিটিতে ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। তাঁরা হলেন-এ কে এম ফজলুল হক ও রিপন মোল্লা। দুইজনই নিউইয়র্কের বাসিন্দা। এ নিয়ে করোনায় সংক্রমিত হয়ে আমেরিকায় ৪৬ দিনে ২২৯ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। 

এদিকে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা এখনো অনেক বেশি। নিউইয়র্কে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজারের কাছাকাছি চলে গেছে। ১৫ হাজার মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে, রাজ্যের ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ও সিটির ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরীর ব্রঙ্কসে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যা কুইন্সে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ,

ব্রুকলিনে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ, ম্যানহাটনে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ ।

রাজ্য গভর্নর বলেছেন, ব্রঙ্কসে কেন অ্যান্টিবডি এত বেশি পাওয়া যাচ্ছে, তা খাতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় সংক্রমণও কি বেশি হয়েছে বা এখনো অনেকেই শনাক্তের বাইরে থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে-এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখছে নগরীর স্বাস্থ্য বিভাগ।

চমৎকার আবহাওয়ায় ২ মে নিউইয়র্কের রাস্তায় অনেককেই বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। সচেতনভাবে মানুষকে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা মেনে চলতে দেখা গেছে। যদিও সেন্ট্রাল পার্কসহ কিছু কিছু এলাকায় এর ব্যতিক্রমও দেখা গেছে।

নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, সড়ক পথ উন্মুক্ত করা হচ্ছে নাগরিকদের সহজ চলাচলের জন্য। একে অন্যের থেকে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। কারণ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা না মানলে আবারও সংক্রমের আশঙ্কা রয়েছে।