মাস্ক পরতে বলায় নিরাপত্তাকর্মীকে গুলি করে হত্যা

মিশিগানের ফ্লিন্ট শহরে `ফ্যামিলি ডলার স্টোর`। নিরাপত্তা কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর স্টোরটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
মিশিগানের ফ্লিন্ট শহরে `ফ্যামিলি ডলার স্টোর`। নিরাপত্তা কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর স্টোরটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

মিশিগানের ফ্লিন্ট শহরে 'ফ্যামিলি ডলার স্টোরে' এক নারীকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলায় ওই স্টোরের নিরাপত্তা কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ মে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুজনকে পুলিশ খুঁজছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট ও এনবিসি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাজ্য গভর্নরের নির্দেশে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্টোরের ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, এই পরিস্থিতিতে ১ মে দুপুরে ফ্লিন্ট শহরে 'ফ্যামিলি ডলার স্টোরে' শারমেল টিগু (৪৫) তাঁর মেয়েকে নিয়ে বাজার করতে যান। কিন্তু তাঁর মেয়ে মাস্ক ব্যবহার করেননি। এ কারণে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মী ক্যালভিন মুনারলিন (৪৩) তাঁকে মাস্ক পরতে বলেন। এ নিয়ে শারমেল ও মুনারলিনের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে তাঁদের স্টোরের সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হলে মা-মেয়ে স্টোর থেকে বের হয়ে যান। এর ২০ মিনিট পর শারমেল তাঁর স্বামী ল্যারি টিগু ও ছেলে রামনিয়া বিশপকে নিয়ে আবার স্টোরে আসেন। এ সময় শারমেলের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ তুলে রামনিয়া বিশপ মুনারলিনের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে মুনারলিনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ শারমেলকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর স্বামী ল্যারি টিগু ও ছেলে রামনিয়া বিশপকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গিনেসে কাউন্টি প্রসিকিউটর ডেভিড লেইটন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, মুনারলিন সবার নিরাপত্তার স্বার্থেই মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছিলেন। ৪ মে শারমেল তাঁর স্বামী ল্যারি টিগু ও ছেলে রামনিয়া বিশপের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুজন এখনো পলাতক। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, রামনিয়া বিশপই মুনারলিনকে গুলি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার পর ৩ মে রাতে মুনারলিনের পরিবারকে সহায়তা করতে গোফান্ডমি তহবিল গঠন করা হয়। এই তহবিলে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ হয়েছে। 

মুনারলিনের ছেলে ডেমন্টে মুনারলিন বলেছেন, ‌'আমি আবারও বাবার কণ্ঠস্বর শুনতে চাই।'