গ্রিন কার্ড দেখা হলো না দরবারের

দীর্ঘ ৩৫ বছর অপেক্ষার পর অবেশেষ আমেরিকার গ্রিন কার্ড এসেছে। কিন্তু সেই গ্রিন কার্ড নিজ হাতে ছুঁয়ে দেখা হলো না দরবার হোসেনের। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ১৬ মে নিউইয়র্কে জ্যামাইকার বাসিন্দা দরবার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।

দরবার হোসেনের দুই ছেলে। দুজনই আইটি বিশেষজ্ঞ। একজন থাকেন মিশিগানে, আরেকজন আইওয়াতে। তিন বছর আগে দরবার হোসেনের স্ত্রী মিশিগানে ছেলের কাছে এসেছিলেন। এরপর আবার দেশে ফিরে গেছেন। দরবারের ইচ্ছা ছিল, একেবারে গ্রিন কার্ড হাতে নিয়ে তারপর স্ত্রীকে নিউইয়র্কে নিয়ে আসবেন। কিন্তু সেটা আর হলো না।

দরবার হোসেনের ওয়ার্ক পারমিট ছিল। ৩৫ বছর আগে গ্রিন কার্ডের আবেদন করেছিলেন। সম্প্রতি তাঁর গ্রিন কার্ড এসেছে। গত বছর দরবার হোসেনের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমার গ্রিন কার্ড হবে। দেশে যাব তাঁকে নিয়ে আসব, কত আশা ছিল। কিন্তু আমার গ্রিন কার্ড হয়নি। বছরের পর বছর কাটিয়ে দিয়েছি। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কী হবে।’

দরবার হোসেনের বাড়ি ঠাকুগাঁওয়ে। ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করা রফিক আহমেদ জানান, দরবার হোসেন গ্রিন কার্ডের জন্য অনেক ল ফার্মে অর্থ ব্যয় করেছেন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাধ্যমে আবেদনের পরই তাঁর গ্রিন কার্ড অনুমোদিত হয়।

দরবার হোসেনের আত্মীয় বদরুল আলম বলেন, তিনি প্রায় সময় আমাদের বাসায় আসতেন। বাচ্চাদের খুব আদর করতেন। আসার সময় তাদের জন্য চকলেট নিয়ে আসতেন। তিনি একজন পরোপকারী এবং সহজ–সরল মানুষ ছিলেন। দরবার হোসেন কনস্ট্রাকশন ব্যবসা করতেন।