প্রার্থনালয় খুলে দেওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের সব প্রার্থনালয় খুলে দিতে রাজ্য গভর্নরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ২২ মে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, রাজ্য গভর্নরদের সঠিক কাজ করা উচিত। আমেরিকার জনগণের কাছে কোভিড-১৯-এর এই সময়ে বিশ্বাসের স্থানগুলো অনেক জরুরি। তাই প্রার্থনালয়গুলো যেন গভর্নরেরা এখনই খুলে দেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস রুমে এ কথা জানানোর পর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই ট্রাম্প স্থান ত্যাগ করেন।

এ সপ্তাহান্তে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। আমেরিকায় মুসলমানেরা এই উৎসবটি বেশ আড়ম্বর করে পালন করে থাকে। মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত হয়ে থাকে। নিউইয়র্কে এর মধ্যেই লকডাউনে কিছু শিথিলতা দেখিয়ে ১০ জনের জামাত করা যাবে, এমন নির্দেশনা এসেছে। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে মসজিদে মসজিদে জামাতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিউজার্সিসহ কোনো কোনো রাজ্যে ২৫ জন মুসল্লি নিয়ে জামাত করা যাবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর আদেশে মসজিদের কথা উল্লেখ করেননি। ধর্মীয় স্থাপনা হিসেবে গির্জার কথা উল্লেখ করেছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদও ধর্মীয় স্থাপনা। সে অনুযায়ী মুসলমানেরা মনে করছেন, তাঁরাও ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। সবক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এমন জামাত করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। এভাবেই আপাতত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, রাজ্য গভর্নরেরা প্রার্থনালয় খুলে না দিলে, তিনি নিজেই এতে হস্তক্ষেপ করবেন। এখন বেশি প্রার্থনার সময়। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও ধর্মীয় সভা-সমাবেশে কড়াকড়িতে ট্রাম্প ও রক্ষণশীলরা দৃশ্যত ক্ষুব্ধ।

জনস্বাস্থ্যকর্মীরা ধর্মীয় সমাবেশগুলোতে সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে মেনে না চললে কমিউনিটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। মহামারি বিষয়ে শীর্ষ মার্কিন বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, এলাকা অনুযায়ী এ পদক্ষেপের ভিন্নতা আছে। যেসব এলাকায় এখনো সংক্রমণের হার বেশি, সেসব এলাকায় বুঝেশুনে পদক্ষেপ নিতে হবে। সিডিসি স্কুল, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কর্মস্থল খুলে দেওয়ার পর সতর্কতার নির্দেশাবলি দেওয়া হলেও ধর্মীয় সমাবেশ নিয়ে গত সপ্তাহে কিছুই জানায়নি। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ নিয়ে শিগগিরই নির্দেশনা জারি করবে।

সিডিসি এ সপ্তাহে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আরকানসাস রাজ্যের একটি চার্চে মার্চের প্রথম দিকে যোগ দেওয়া লোকজনের মধ্যে ৩৮ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো সবখানে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে না বলেই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।