স্বামী কুমার বিশ্বজিৎ ও সন্তান ছাড়াই ঈদ নাইমার

স্ত্রী নাইমা ও সন্তান নিবিড়ের সাথে কুমার বিশ্বজিৎ
স্ত্রী নাইমা ও সন্তান নিবিড়ের সাথে কুমার বিশ্বজিৎ

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বাংলাদেশির সঙ্গে আটকা পড়েছেন কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের স্ত্রী নাইমা সুলতানা। তিনি আছেন নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে। ব্যক্তিগত কাজে স্বামী–সন্তান দেশে রেখে ৭ মার্চ নিউইয়র্ক আসেন তিনি। এপ্রিলে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও লকডাউনের কারণে আটকে পড়েন।

ঈদ কেমন করলেন এমন প্রশ্নে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নাইমা বলেন, ভালো নেই। এবারের ঈদ অনুভূতিহীন। কিছুই ভালো লাগছে না। ফিরে যেতে চান তার সন্তান নিবিড় আর স্বামী কুমার বিশ্বজিতের কাছে। তাদের মিস করছেন ভীষণ। তাদের থেকে দুরে একা ঈদ করতে হবে, এভাবে আটকে পড়তে হবে, কখনো ভাবেননি। পৃথিবীর সবকিছু থমকে গেছে, সব রং বিবর্ণ লাগে, কিছুই ভালো লাগে না।

নাইমা আরও বলেন, ‘প্রায়ই দেশের বাইরে বেড়াতে বা কাজে আসি। এবারের মতো কখনো এত বেশি খারাপ লাগেনি। ছেলে যখন এয়ারপোর্টে বিদায় দিচ্ছিল, কেমন জানি বুকের ভেতর কান্না টের পাচ্ছিলাম। বোঝাতে পারব না সেই অনুভূতি!’

নাইমা সুলতানা বলেন, ছেলে ও স্বামীকে রেখে এতটা দিন কখনো দেশের বাইরে থাকেননি। ছেলের জন্য এখন তার মন একদম টিকছে না এখানে। সারাক্ষণ চিন্তা হয়, ঠিকমতো খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে কিনা। জানালা বন্ধ করেছে নাকি খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে।

১৯৯৫ সালের ১৬ অক্টোবর নাইমা–কুমার বিশ্বজিৎ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই যুগের বেশি সময় এক সঙ্গে আছেন। স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বন্ধুর মতো। কুমার বিশ্বজিৎ সংগীত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তার ফাঁকে সংসার ও ছেলেকেও সময় দেন। ছুটিতে প্রায় তারা তিনজন দেশ–বিদেশে একসঙ্গে সময় কাটান।

নাইমা বললেন, তারা বাপ–ছেলে ঘরেই থাকে। বিশ্বজিৎ এখন বাসার অনেক কিছুই দেখাশোনা করছে। 

ছেলে নিবিড়কে তারা পিয়ানো, গিটার বাজানো শিখিয়েছেন। সেও গান শিখেছে, আমাদের ইচ্ছে ছিল, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পাশাপাশি গান গাইবে। কিন্তু ছেলের ইচ্ছে আইনজীবী হবে। তাই ওর ইচ্ছেকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।