সারা বছরই ইমিগ্রান্টদের পাশে স্যাকএস

স্যাকএস থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ গ্রোসারি সংগ্রহ করছে
স্যাকএস থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ গ্রোসারি সংগ্রহ করছে

শুধু করোনাকালের দুর্যোগেই নয়, সারা বছরই বৈধ ও কাগজপত্রহীন এশিয়ান ইমিগ্রান্টদের সুখে-দুঃখে পাশে আছে সাউথ এশিয়ান কাউন্সিল ফর সোশ্যাল সার্ভিসেস (স্যাকএস)।
স্যাকএসের নির্বাহী পরিচালক সুধা আচারিয়া বলেন, স্যাকএসের দক্ষিণ এশীয় খাদ্য প্যান্ট্রি কমিউনিটির খাদ্যাভাব ও ক্ষুধা নিরসন করে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় দু হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রোসারি সামগ্রী ও রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যারা এই পরিষেবার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে, তাদের এগুলো সরবরাহ করা হয়। গ্রাহকেরা প্রতি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তাদের পছন্দের খাবারের আইটেম সংগ্রহ করেন। ক্লায়েন্ট নিবন্ধনের সময় এবং পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। অফিসে সিনিয়রদের জন্য সহজ অ্যাকসেস রয়েছে। তাদের লক্ষ্য সম্প্রদায়ের বহু ব্যক্তি এবং পরিবারের কাছে তাদের সেবা পৌঁছানো। দক্ষিণ এশিয়ার নানা প্রান্ত থেকে আসা ইমিগ্রান্টদের ভিন্ন ভাষাভাষীদের কথা বলে সহযোগিতা করেন সংস্থাটির দোভাষীরা।
স্যাকএসের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক পরিচালক রীহান মেহমুদ জানান, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈষম্য মোকাবিলায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব ভাষাভাষীদের মধ্যে পরিষেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে তারা বছরের পর বছর কাজ করছেন। তাদের সিনিয়র প্রোগ্রামগুলো সিনিয়রদের কেস ম্যানেজমেন্ট পরিষেবা সরবরাহের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
আমরা মেডিকেয়ার, মেডিকেয়ার সেভিংস প্রোগ্রাম (এমএসপি), মেডিকেইড, এসএনএপি, এসএসআই, অ্যাকসেস-এ-রাইড, এসসিআরআইই, ডিআরআই ও সিনিয়র মেট্রো কার্ডের আবেদনের ক্ষেত্রে সিনিয়রদের সহায়তা করেন। ২০১৩ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেরিয়াট্রিক মানসিক স্বাস্থ্য উদ্যোগের কর্মসূচির মাধ্যমে সংস্থাটি সিনিয়রদের জন্য হতাশার স্ক্রিনিং পরিচালনা করছে। এ ছাড়া প্রবীণদের জন্য হোম ভিজিট পরিচালনা করছে তারা। পাশাপাশি বাড়িতে ও অফিসে সহায়ক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
সংস্থাটির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আদীবা চৌধুরী প্রথম আলো উত্তর আমেরিকাকে বলেন, ‘আজ থেকে ২০ বছর আগে সুবিধাবঞ্চিত কিছু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্যাকএসের জন্ম হয়েছিল। মূলত প্রবাসে থাকা এ দেশীয় সম্প্রদায়ের কথা চিন্তা করে এর যাত্রা শুরু হলেও পরে সব সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীই এই সংস্থা থেকে উপকৃত হতে থাকে। বিনা মূল্যে এবং ১১টি দক্ষিণ এশীয় ভাষার মাধ্যমে আমাদের সেবা দেওয়া হয়।’