প্রথম পর্বে কাজে ফিরবেন ২-৪ লাখ মানুষ: ডি ব্লাজিও

আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল ও নতুন করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত নগরী নিউইয়র্ককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে এই লকডাউন তুলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার বিষয়টি একবারে হবে না। এটি হবে ধাপে ধাপে। নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, প্রথম ধাপে দু থেকে চার লাখ মানুষ কাজে ফিরতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নিউইয়র্ক নগরীতে জুনের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লকডাউন প্রত্যাহারের কার্যক্রম শুরু হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা ও নির্মাণ খাতকে বাঁচাতে আর বেশি অপেক্ষারও সুযোগ নেই। এদিকে নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। এ অবস্থায় সব স্বাভাবিক করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

২৮ মে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসে ব্লাজিও বলেন, জুনের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহেই লকডাউন প্রত্যাহারের পথে প্রথম ধাপ শুরু হবে বলে তিনি আশা করছেন। এই ধাপে নির্মাণ, উৎপাদন, পাইকারি পণ্য সরবরাহ ও নিত্যপণ্যের বাইরে অন্যান্য পণ্যের খুচরা বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে এমন একপর্যায়ে রয়েছি, যেখানে আমাদের সবকিছু ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত।’

লকডাউন প্রত্যাহারের প্রস্তুতির বিষয়ে বলতে গিয়ে মেয়র ব্লাজিও বলেন, ‘আগামী সপ্তাহেই নগর কর্তৃপক্ষ সবকিছু পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এক গুচ্ছ উদ্যোগের কথা ঘোষণা করবে। এর মধ্যে অবধারিতভাবে থাকছে ইন্ডাস্ট্রি গাইড ও বিজনেস রিস্টার্ট হটলাইনের মতো উদ্যোগ। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা ও তা পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এসব নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখবে। এ ক্ষেত্রে কোনো কিছু লঙ্ঘন করা হলো, যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’