নিউইয়র্কের স্টোরে লুট হচ্ছে যেভাবে

ম্যানহাটনের অভিজাত শপিং এলাকা সোহোর লুইস ভুশন স্টোর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত। ছবি: সংগৃহীত
ম্যানহাটনের অভিজাত শপিং এলাকা সোহোর লুইস ভুশন স্টোর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত। ছবি: সংগৃহীত

‘কিছু নিতে চাইলে তাড়াতাড়ি আসতে হবে’, এই বলে একজন চিৎকার করে বাকিদের ডাকছিলেন। জানালা দিয়ে নানা জিনিসপত্র পাচার করে গাড়িতে তুলতে তাঁকে সাহায্য করছিল অন্তত ২০ জন। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে এভাবেই নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্টোর থেকে লুটপাট চলছে।

ডেইলি নিউজের একজন আলোকচিত্রী ম্যানহাটান থেকে এই ছবি তুলেছেন। এ সময় লুটপাটকারীরা তাঁকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে ক্যামের ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ম্যানহাটানের অভিজাত শপিং এলাকা সোহোর লুইস ভুশন স্টোরে। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদের ষষ্ঠ দিন রাতে ব্রুকলিন ও ম্যানহাটানে যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন অপরাধী দল স্টোরে লুটপাট চালায়। 

সোহোর গ্রিন স্ট্রিট ও প্রিন্স স্ট্রিটের কর্নারে অবস্থিত লুইস ভুশন স্টোরের পেছন দিক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে লুটপাটকারীরা। পরে সামনের দরজা খুলে দেওয়া হয়। গাড়িভর্তি একদল মানুষ স্টোরের কাছে এসে পার্ক করে। পরে তারা ভেতরে ঢুকে স্টোরের মালামাল গাড়িতে উঠিয়ে চলে যায়।

গত ৩১ মে সন্ধ্যায় ব্রুকলিনে বিক্ষোভ চলছিল। লুটপাটকারীরা ঠিক তখনই সোহোর ব্র্যান্ড নেম দোকানগুলোতে হানা দেয়। নগরীর ফিফথ অ্যাভিনিউর বড় দোকানগুলোর মতোই, সাউথ অব হাউস্টন বা সংক্ষেপে সোহো, লুইস ভুশন, নাইকি, রিবাক, ব্লুমিংডেল ইত্যাদি অভিজাত শোরুম রয়েছে ম্যানহাটনের এই এলাকায়। নিউইয়র্কের বড় আর্ট গ্যালারিগুলোও এই সোহো এলাকায়।

আরেকটি ঘটনার ভিডিও করেন এক সাংবাদিক। সেখানে একটি জিএনসি স্টোর লুট হতে দেখা যায়। একজন জানালা ভেঙে স্টোরের ভেতরে ঢোকে। পরে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘লেটস গো, লেটস গো’ বলে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।

পুলিশ জানায়, লুটপাটকারীরা ব্রুম স্ট্রিটের কর্নারে, ব্রডওয়ের ওপরে অবস্থিত ব্লুমিংডেল স্টোরেও হানা দিয়েছে। দুই হাতে যত বেশি পারা যায়, তত কাপড় নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছিল একজন। পুলিশ ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। আরেক ঘটনায় এক তরুণ তিনটি শু-বক্স হাতে ভাগার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু একটি পেট্রল কারের ভেতর বসা পুলিশ তাঁকে দেখে ফেলে।