ট্রাম্পকে বাংকারে গিয়ে লুকাতে বললেন সিয়াটলের মেয়র

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেনি ডারকান
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেনি ডারকান

যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এই বিক্ষোভ দমাতে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে সেনাবাহিনী পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই হুঁশিয়ারির পর শহরের মেয়র জেনি ডারকান বলেছেন, সিয়াটল অনেক নিরাপদ আছে। বিক্ষোভকারীদের ভয়ে ট্রাম্প বাংকারে লুকাতে পারেন।খবর  রয়টার্স ও এএফপির। 

গত ২৫ মে ফ্লয়েড নিহত হওয়ার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদীবিরোধী বিক্ষোভে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের খুব কাছে পৌঁছে যান। ওই সময় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের বাংকারে নিয়ে যান।

ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একের এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা বিক্ষোভকে আরও উসকে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সিয়াটলের পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, শহরটির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছেন বিক্ষোভকারীরা। ‘পুলিশমুক্ত শহরটির’ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খেলা নয়, অনেক হয়েছে। এখনই দ্রুত এসব কুৎসিত নৈরাজ্যবাদীকে থামাতে হবে।’

ট্রাম্পের ওই হুমকির জবাবে বৃহস্পতিবার বেশ বিদ্রূপাত্মকভাবে দিয়েছেন মেয়র জেনি ডারকান। তিনি টুইট করেন, ‘সবাই নিরাপদে আছে। আপনি আপনার বাংকারে ফিরে যান।’ ট্রাম্পকে বিদ্রূপ করতে টুইটারে যোগ দেন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে ইনসেলও। তিনি বলেন, ‘সরকার চালাতে পুরোপুরিভাবে অক্ষম একজন ব্যক্তিকে ওয়াশিংটন রাজ্য নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।’

ট্রাম্পের হুমকির বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মেয়র ডারকান। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিয়াটলে যে সেনা পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন, তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক ও অবৈধ। সিয়াটল দখল হয়ে যাওয়ার মতো কোনো হুমকি এখানে নেই।

সিয়াটলের ক্যাপিটল হিল অটোনোমাস জোনে (সিএইচএজেড) জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে শত শত মানুষ। এই বিক্ষোভের পেছনে নৈরাজ্যবাদী ও দেশীয় সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ট্রাম্পের। তবে সিয়াটলের কর্মকর্তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিএইচএজেড এলাকায় তাঁবু টাঙানো রয়েছে।