জাদুঘরের সামনে থেকে রুজভেল্টের ভাস্কর্য সরানো হচ্ছে

গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের ভাস্কর্যটির সামনে দাঁড়িয়ে কয়েক দফা প্রতিবাদ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভাস্কর্যটি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছবি: রয়টার্স
গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের ভাস্কর্যটির সামনে দাঁড়িয়ে কয়েক দফা প্রতিবাদ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভাস্কর্যটি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছবি: রয়টার্স

নিউইয়র্ক নগরীর আমেরিকান মিউজিয়াম অব নেচারেল হিস্ট্রি ভবনের সামনে থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের ভাস্কর্য অপসারিত হচ্ছে। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকায় চলমান নাগরিক আন্দোলনের মুখে থিওডোর রুজভেল্টের এই ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।

আমেরিকান মিউজিয়াম অব নেচারেল হিস্ট্রি ভবনের সামনে ১৯৪০ সালে ঘোড়ার পিঠে বসা সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি বসানো হয়। ঘোড়ার পাশে একজন ন্যাটিভ আমেরিকান ও একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন। প্রায় ৮০ বছর পর এবার তা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।

তিন সপ্তাহ ধরে বর্ণবৈষম্য-বিরোধী প্রতিবাদ থেকে এই ভাস্কর্য অপসারণের স্লোগান ওঠে। গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা ভাস্কর্যটির সামনে দাঁড়িয়ে কয়েক দফা প্রতিবাদ জানান। এ ভাস্কর্যকে দাস প্রথা ও বৈষম্যের স্মারক উল্লেখ করে এটি অপসারণের দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।

‘নিউইয়র্ক টাইমস’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ নগর কর্তৃপক্ষের কাছে ভাস্কর্যটি অপসারণ করার আবেদন জানালে নগর কর্তৃপক্ষ এতে সম্মতি জানিয়েছে।

নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, মিউজিয়ামের অনুরোধ তাঁরা রক্ষা করেছেন। সমস্যা আছে, এমন ভাস্কর্য অপসারণের জন্য মিউজিয়ামের সিদ্ধান্তকে সঠিক ও সময়োপযোগী বলে মনে হয়।

মিউজিয়ামের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন ভি ফুটার বলেছেন, এখন সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার সময় এসেছে।

কয়েক সপ্তাহ থেকে টানা বিক্ষোভের লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল ভাস্কর্যটি। তবে ঠিক কখন এবং কোথায় এটি প্রতিস্থাপিত হবে, তা এখনো জানানো হয়নি।