সহিংসতা রোধে নিউইয়র্ক ও শিকাগোতে পরিবর্তন আনতে হবে: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

নিউইয়র্ক ও শিকাগোতে অপরাধ–সহিংসতা রোধে নগরী দুটিকে নতুন চিন্তাধারা নিয়ে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬ জুলাই এক টুইটবার্তায় তিনি বলেছেন, নিউইয়র্ক ও শিকাগো অবৈধ অভিবাসীদের অভয়ারণ্য। এখানে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এ কারণে নগরী দুটিকে নিয়ে চিন্তাধারায় অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।

এর আগে ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে পৃথক এক টুইটবার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সহিংসতা দমনে এ দুই নগরীকে ফেডারেল সরকার সাহায্য দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিকাগো ও নিউইয়র্কে অপরাধ অনেক বেড়ে গেছে। নগরীগুলো চাইলে ফেডারেল সরকার সাহায্য করবে।

৪ জুলাই রাতে সহিংসতায় নিউইয়র্ক নগরীতে ৪০ জন এবং শিকাগো নগরীতে ৭২ জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ওই রাতেই নিউইয়র্কে নয়জনের এবং শিকাগোতে দুজনের মৃত্যু হয়। শুধু গত সপ্তাহান্তে নিউইয়র্কে সহিংসতায় ৪৯ জন আহত হয়েছেন। এক মাসে ২০৫টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ বছরের মধ্যে এক মাসে গোলাগুলির ঘওনায় নিউইয়র্কে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। নিউইয়র্কে হঠাৎ করে অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিউইয়র্ক ও শিকাগোতে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অভিবাসননীতির যোগসূত্র সৃষ্টির প্রয়াস নিয়েছেন। অভিবাসনের জন্য অভয়ারণ্যঘোষিত নগরীগুলোয় পুলিশ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে ফেডারেল পুলিশকে সহযোগিতা করে না। এ নিয়ে আগেই ট্রাম্প বলেছেন, এ কারণে অবৈধ অভিবাসীদের জন্যও অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে নগরীগুলো। পরিস্থিতির সুযোগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নগরীগুলোর ওপর অভিবাসীদের নিয়ে তাঁর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেছেন মাত্র।

উদারনৈতিক নগরী হিসেবে পরিচিত নগরীগুলোয় পুলিশের তহবিল কর্তনের জন্য বড় বড় সমাবেশ হচ্ছে। এ নিয়ে পুলিশের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে। একদিকে করোনার আতঙ্ক, অন্যদিকে সক্রিয় অপরাধী চক্রের তৎপরতায় নাগরিকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।