নিউইয়র্কে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে

যারা আগে কখনো পারিবারিক সহিংসতার শিকার হননি, তাঁরাও করোনার সময় ঘরে থেকে এ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। ছবিটি প্রতীকী
যারা আগে কখনো পারিবারিক সহিংসতার শিকার হননি, তাঁরাও করোনার সময় ঘরে থেকে এ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। ছবিটি প্রতীকী

করোনাভাইরাসে নাজুক হওয়া অবস্থা থেকে নিউইয়র্ক বেরিয়ে আসছে। মহামারির সময় থেকে নগর জুড়ে শুধু সহিংসতাই নয়, পারিবারিক সহিংসতার ঘটনাও বেড়ে গেছে। সাধারণ সময়ে নগরীতে মাসে গড়ে ৭০টি পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া যায়। গত এপ্রিল ও জুন মাসে পারিবারিক সহিংসতার ১৩৫টি ফোন কল পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।

স্যাঙ্কচুয়ারি ফ্যামিলি নামের একটি সংস্থা নিউইয়র্ক নগরীর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে কাজ করে থাকে। তারা জানিয়েছে, গত মে মাসে তারা পরিবারিক সহিংসতার ২০৬টি ফোন কল পেয়েছে। জুন মাসে এ সংখ্যাটি ছিলো ২৫৯টি।

নগরীর পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক ন্যাচম্যান বাক্সট বলেছেন, যারা আগে কখনো পারিবারিক সহিংসতার শিকার হননি, তাঁরাও করোনার সময় ঘরে থেকে এ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। পাশাপাশি যেসব পরিবারে আগে সহিংসতা চলমান ছিল, সেসব পরিবারে এখন পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠেছে।

সহিংসতা বিষয়ক নগরীর কর্মসূচির আইন বিভাগে কাজ করেন ডরচেন লেইডহোল্ড। তিনি বলেন, করোনা মহামারি সহিংসতার জন্য দায়ী লোকজনকে অতিরিক্ত সুযোগ এনে দিয়েছে।কাজকর্ম না থাকায় পরিবারিক সহিংসতার সব পক্ষ একে অন্যকে সব সময় কাছে পাচ্ছে। সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার এটি একটি অন্যতম কারণ বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি করোনায় নগরীর হাজারো মানুষের মৃত্যু, কর্মহীনতা, মানসিক চাপ-এসবও পারিবারিক সহিংসতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে নগরীতে হেল্পলাইন খোলা হয়েছে। মোবাইলে বার্তা প্রদানের মাধ্যমে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।