নিউইয়র্ক নগরীর প্রবেশ পথে কোভিড চেকপোস্ট

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিউইয়র্ক নগরীর প্রবেশ পথে কোভিড-১৯ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ফাইল ছবি: এএফপি
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিউইয়র্ক নগরীর প্রবেশ পথে কোভিড-১৯ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ফাইল ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিউইয়র্ক নগরীর প্রবেশ পথে কোভিড-১৯ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কানেকটিকাট রাজ্য একযোগে এ কাজ করে যাচ্ছে।

আমেরিকার ৩৪টি অঙ্গরাজ্য এবং পুয়ের্তোরিকো থেকে আসা লোকজনকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশনা চালু আছে। এ নির্দেশনা কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়নের জন্য নগরীর ব্রিজ, টানেল, বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশ পথে এমন চেকপোস্ট বসানোর কথা জানিয়েছেন নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও।

৫ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ব্লাজিও বলেন, ‘আমরা নিউইয়র্ক নগরীতে নতুন কিছু করছি। চিহ্নিত রাজ্যগুলো থেকে নিউইয়র্ক নগরীর প্রবেশ পথে চেকপোস্টে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। আগত লোকজনকে কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা দেওয়া হবে। ৫ আগস্ট থেকেই এসব চেকপোস্ট নগরীর শেরিফের তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছে। এসব চেকপোস্টে পুলিশকেও সংযুক্ত করা হয়েছে। চেকপোস্টে মানুষকে জানানো হচ্ছে, তালিকাভুক্ত ৩৪টি রাজ্য থেকে নিউইয়র্কে আসার পর কীভাবে কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। এ সময়ে নিজেই নিজের স্বাস্থ্যের নজরদারি করতে হবে। কোনো অতিথিকে আমন্ত্রণ করা যাবে না। এ কোয়ারেন্টিন পালন ঐচ্ছিক নয়। বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা না মানলে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।’

নিউইয়র্ক নগরীর শেরিফ জোসেফ ফুসিটো বলেছেন, বাইরের রাজ্যের লোকজনের সঙ্গে নিউইয়র্কের লোকজনকেও কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য চেকপোস্ট স্থাপিত হয়েছে। নিজের ও অন্যদের কল্যাণ, আইনগত সহযোগিতা এবং বাধ্যবাধকতার কথা নাগরিকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চেকপোস্টগুলো কাজ করবে। তিনি বলেন, অন্য কোনো রাজ্যের লোকজনকে হয়রানির জন্য চেক পোস্ট বসানো হয়নি।

নিউইয়র্কের রাজ্য সিনেটের রিপাবলিকান নেতা রব অর্ট কোভিড-১৯ নিয়ে চেকপোস্ট বসানোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন। নগরীতে অপরাধ বাড়ছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন—এসব নিয়ে মেয়র ব্লাজিও উৎসাহিত না হয়ে গভর্নরের অমূলক নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।