মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা নিতে বিদেশি বন্ধুরা ঢাকায় আসছেন আজ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সম্মাননা নিতে আজ শনিবার ঢাকায় আসছেন বিদেশি বন্ধুরা। সম্মাননার ষষ্ঠ পর্বে এবার ৬৮ ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ এ দুই শ্রেণীতে সম্মানিত করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় এবারের পর্বে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কিউবা, সুইডেন ও নেপালের নাগরিকদের সম্মাননা দেওয়া হবে। সম্মাননা তালিকার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন কিউবার বিপ্লবী নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন।

তাঁদের উভয়কে দেওয়া হবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’। এ দুজনের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করবেন যথাক্রমে ভারতে নিযুক্ত কিউবার রাষ্ট্রদূত আবেলার্দো কিউয়েতো সোসা এবং প্রধানমন্ত্রী উইলসনের ছেলে অধ্যাপক রবিন উইলসন।পররাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এবারের সম্মাননায় দেখা যাবে না রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানকে। গত পাঁচটি পর্বের প্রতিটিতেই বিদেশি বন্ধুদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৫ জুলাই ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’ দেওয়ার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা বিদেশিদের সম্মানিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি পর্বে রাজনৈতিক নেতা, সামরিক কর্মকর্তা, বুদ্ধিজীবীসহ ২০৬ জন ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর পক্ষে সম্মাননা নেবেন তমা ভট্টাচার্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তখনকার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান প্রয়াত লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরার পক্ষে লে. জে. (অব.) মহিন্দার সিং, ভারতের আলোকচিত্রী রঘু রাইয়ের পক্ষে অমিত কুমার চৌহান, পাকিস্তানের কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের মেয়ে সেলিমা হাশমি, রাজনীতিক মালিক গুলাম জিলানির পক্ষে তাঁর মেয়ে আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক ও কলামিস্ট ওয়ারিস মিরের পক্ষে তাঁর ছেলে হামিদ মির, যুক্তরাষ্ট্রের কবি অ্যালেন গিন্সবার্গের পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি রবার্ট রোজেনথাল।খসড়া সফরসূচি অনুযায়ী আজ সকাল থেকে ঢাকায় পা রাখতে শুরু করবেন সম্মাননার জন্য মনোনীত বিদেশি বন্ধু বা তাঁদের পক্ষে নিকটজন কিংবা প্রতিনিধিরা। আগামীকাল সকালে তাঁরা সম্মাননা নেবেন। এরপর বিকেলে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন। সন্ধ্যায় তাঁরা দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।রায়েরবাজার বধ্যভূমি পরিদর্শন, একাত্তরের স্মৃতিচারণা ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মতো কয়েকটি কর্মসূচির পর ২৭ মার্চ বিদেশি বন্ধুদের ঢাকা ছাড়ার কথা।