তাঁকে দেখলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়

অপি করিম। অভিনয়শিল্পী ও স্থপতি। পড়ান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বলেছেন তাঁর প্রিয় ৫।
অপি করিম এখন পড়ছেন দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস। ছবি: অন্য আলো
অপি করিম এখন পড়ছেন দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস। ছবি: অন্য আলো

১. প্রিয় বই
শরদিন্দুর ‘তুঙ্গভদ্রার তীরে’
যদি কেবল একটিমাত্র প্রিয় বইয়ের নাম বলতে হয়, তবে মহা মুশকিল। বলতে গেলে আমি তো বইয়ের সঙ্গেই বসবাস করি, ফলে কোনটা রেখে কোনটা বলি। যেমন এখন পড়ছি অরুন্ধতী রায়ের উপন্যাস দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস। বইটি ভালো লাগার কারণ এর কাহিনি। তবে প্রধান কারণ হয়তোবা বইটি খুব সহজ-সাবলীলভাবে পড়া যায়। কিন্তু এ মুহূর্তে একটি বইকে বেছে নিতে বলা হলে আমি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুঙ্গভদ্রার তীরে উপন্যাসের কথাই বলব। বইটির ঘটনাকাল ১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দের আশপাশে এবং এর কাহিনিতে ঐতিহাসিক চরিত্র থাকলেও কাহিনি পুরোপুরি মৌলিক। এ বইয়ের বিদ্যুৎমালা, মনিকাঞ্চনাকে আজও মনে পড়ে।

২. প্রিয় মঞ্চনাটক
বিনোদিনী দাসীর জীবনকথা ‘বিনোদিনী’
আমার মঞ্চনাটক দেখার শুরু সেই শৈশবে। মনে আছে, মা–বাবার সঙ্গে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নূরলদীনের সারাজীবন দেখতে গিয়েছিলাম। সেই থেকে শুরু। পরে তো নাগরিকে অভিনয় করতে শুরু করি ২০০১ সালে। তবে একটি মঞ্চনাটক অজস্রবার দেখেছি আমি—ঢাকা থিয়েটারের বিনোদিনী। যখন প্রথম নাটকটি মঞ্চে এল, সেই সময় টানা সাত–আটটি প্রদর্শনী দেখেছি। অভিনয়জগতের মানুষ বিনোদিনী দাসীর বেদনাভরা জীবনকথা অবলম্বনে শিমূল আপার (শিমূল ইউসুফ) অনবদ্য অভিনয়, কী যে ভালো লেগেছিল নাটকটি!

৩. প্রিয় চলচ্চিত্র

মানবিক ‘মোয়ানা’

আমার প্রিয় চলচ্চিত্রের সংখ্যাও অগুনতি। ভালো লাগে ইরানি ছবি। আবার এখনকার হিন্দি ছবিগুলোও আমার প্রিয়। পিঙ্ক, আন্ধা ধুন, রাজি বা কাহানি—এসব ছবির কাহিনি, চরিত্র, শিল্পীদের অভিনয় এত অপূর্ব যে মনে দাগ কেটে থাকে। আর এসব ছবির চরিত্রগুলো দেখার পর একটা আফসোস জাগে মনে, আমাকে কেউ এমন চরিত্রে অভিনয়ের কথা বলে না কেন? এবার এখন যে অ্যানিমেশন সিনেমাটি আমার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে, তার কথা বলব—মোয়ানা। এখনে একজন মেয়ে এটি জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয়। এ ছবির মধ্যে যে মানবিক ব্যাপার-স্যাপার আছে, সেটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আর হিরো মানেই যে শুধু ছেলে নয়, ধারণাটি ভেঙে দিয়েছে মোয়ানা।

৪. প্রিয় শিল্পী

প্রতিদিন সকালে শুনি কিশোরী আমোনকর

আমার প্রিয় সংগীতশিল্পীও একজন নন, অনেকে। কার কথা বলব? সেই ছোটবেলা থেকে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত শুনতে শুনতে কখন যে তিনি আমার প্রিয় হয়ে গেছেন, বুঝতে পারিনি। তবে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীদের মধ্যে মিতা হক বুঝি আমার সবচেয়ে প্রিয়। রবীন্দ্রনাথের গানের বাইরে কয়েক দিন ধরে একটা গান খুব শুনছি এখন—শাহনাজ রহমতউল্লাহর ‘সাগরের সৈকতে কে যেন দূর হতে আমারে ডেকে ডেকে যায়’। এখন আমি আবার ছবি আঁকায় মন দিয়েছি, সমুদ্রের ছবি আঁকছি। যখন ছবি আঁকি, তখনই গানটি ছেড়ে দিই। তা ছাড়া প্রতিদিন সকালে শুনি কিশোরী আমোনকর। সকালবেলা তাঁর গান শুনলে ভেতরে–ভেতরে একধরনের পবিত্র অনুভূতির জন্ম হয়। 

৫. প্রিয় নায়ক

‘গডফাদার’–এর আল পাচিনো

যখন থেকে ‘গডফাদার’ সিরিজের ছবিগুলো দেখা শুরু করেছি, সে সময় থেকে আল পাচিনোই আমার প্রিয় নায়ক। কেন তিনি আমার প্রিয়? প্রশ্ন করলে বলব, তাঁর অভিনয়। তাঁর ক্লোজআপ দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। আমি আল পাচিনোর এমনই মহাভক্ত যে গডফাদার দেখতে বসলে মনে হয়, তাঁর চোখ যেদিকে যাচ্ছে, আমার চোখও সেদিকে যাচ্ছে। তাঁকে দেখলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়।