নন-লিনিয়ার ফিকশন '২০৪৬'

ম্যাট্রিক্স ছবির পোস্টার থেকে।
ম্যাট্রিক্স ছবির পোস্টার থেকে।

ইমরুল হাসান একজন কবি, ক্রিটিক, গল্প লেখক, ট্রান্সলেটর। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে ইমরুল হাসান একজন দক্ষ গণিতবিদ ও টাইম ট্রান্সলেটর। অনেক দিন থেকেই ফেসবুকে তাঁর টাইমলাইনের স্ট্যাটাসগুলোর নিয়মিত পাঠক আমি। ইমরুল হাসানের ব্যতিক্রমী চিন্তাবোধ ও গভীর দার্শনিকতাপূর্ণ প্রকাশভঙ্গির কারণে মনোযোগী পাঠক হয়েছি। এই বইমেলায় তাঁর লেখা ‘২০৪৬’ বইটি সংগ্রহ এবং পাঠের মাধ্যমে তাঁর মুদ্রিত সৃষ্টির দুনিয়ায় প্রবেশ ঘটে আমার। ‘২০৪৬’ একটি অদ্ভুত সুন্দর নন-লিনিয়ার ফিকশন। মাত্র ৩৯ পাতার বই, যার ভেতরে গল্পের সংখ্যা মোট ৯। কিন্ত ‘২০৪৬’? এ নামটির সঙ্গে অভিজ্ঞতা আমার আগেও হয়েছে। ২০০৪ সালের শেষভাগে হংকং থেকে একটি সাই-ফাই মুভি রিলিজ করা হয়েছিল। মুভিটির পরিচালক ছিলেন ওং-কার-ওয়াই এবং মুভির নাম ছিল ‘২০৪৬’। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি রিলিজ হলে এ মুভিটি সে বছর অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিটিক চয়েজের শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নেয়। সিনেমার মূল কাহিনি ছিল একটি ট্রেন কিছু যাত্রী নিয়ে ফিউচারিস্টিক ল্যান্ডস্কেপে প্রবেশ করে। যেখানে ট্রেনের যাত্রীরা তাদের অতীত স্মৃতিকে পুনরুদ্ধার করতে পারে; এমন একটি জায়গায় তারা হারিয়ে যায়, যেখান থেকে কেউ ফিরে আসে না। যেখানে বাস্তবতা ফিকশন বা কথাসাহিত্যের সঙ্গে মিলে যায়। কিংবা অতীত ভবিষ্যতের সঙ্গে মিলিত হয়।

ইমরুল হাসান সহজ-সরল ভাষায় অসাধারণ সব দার্শনিক ভাবনার প্রকাশ করেছেন এ বইয়ে। যেকোনো তুচ্ছ একজন মানুষ, একটি প্রহর বা বেলা অথবা মুহূর্ত এমনকি কোনো বস্তুকে নানা ফর্মে এবং ডাইমেনশনে দেখার, সময়ের হিসাবে বিচার করার ও ব্যাখ্যা করার মতো অদ্ভুত অন্তর্দৃষ্টি আছে তাঁর।

তাঁর ‘২০৪৬’ বইটির সব কটি গল্প সময়কে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে আছে বিভিন্ন সময়ের গল্প, যুগের গল্প, বিভিন্ন পৃথিবীর গল্প। এটি এমন একটি ফিকশন, যা বিভিন্ন গাণিতিক ফর্মুলা ব্যবহার করে লেখা হয়েছে যেন। লিনিয়ার ও নন-লিনিয়ার টাইম থিওরি, টাইম ভেরিয়েন্ট ও টাইম ইনভেরিয়েন্ট সিস্টেমের জটিল সব সমস্যা ও অদ্ভুত সব চিত্রকল্প বা ইমেজারি এঁকেছেন লেখক বিভিন্ন রেকন্ট্যার বা গল্পকথক কিংবা উত্তম পুরুষের ন্যারেটিভে।

জটিল সব গল্পের ভুবনে প্রবেশের আগে লেখক ইমরুল হাসান আমাদের প্রারম্ভিক যে গল্পটি উপহার দিয়েছেন, সেটির মূল চরিত্র একজন পুরুষ, আমাদের এই সময়ের একজন সাদামাটা আটপৌরে ঊন–মানুষের গল্প—জয় বাংলা।

জয় বাংলা: বিয়ে। আমাদের সময়ের জীবন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর একটি। কিন্তু এই গল্পের নায়ক বা গল্পকথকের এ সিদ্ধান্তটি নিয়ে কোনো চিন্তা বা প্রস্তুতি নেই। তার বিয়ে বা জীবনসঙ্গী যেকেউ হলেই হবে। তিনি একটি যৌথ পরিবারের সদস্য। বড় ছেলে। তার জীবনের সবচেয়ে বড় ও ছোট সিদ্ধান্তগুলো নেন অন্য কেউ। তিনি যেন কোথাও থেকেও নেই। তাঁর মধ্যে প্রায়োরিটির কোনো ব্যাপার নেই। ইগো নেই। তাই নিজের বা অন্যের জীবন নিয়েও তাঁর কোনো ভাবনা নেই। কোনো কিছু নিয়েই তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই তাঁকে ঘিরে হুটহাট ঘটা সিরিয়াস ব্যাপারগুলোও তাঁকে চমকে দেয় না।

এই গল্পের নায়কের কোনো নাম নেই। বয়স বা চেহারা কোনো কিছুই আন্দাজ করার উপায় নেই। শুধু বোঝা যায় শিক্ষিত, অলস ও বেকার একজন যুবক নির্বিকারভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্য রকম এক বোধের জগতে নিয়ে যায় এ গল্প।

‘জয় বাংলা’ গল্পটি যে সময়ের, পৃথিবীর মানুষের জীবনে কৃত্রিমতা বা যন্ত্রনির্ভরশীলতা কিংবা টাইম অব ইলিউশন দখল নিয়ে নেয়নি। ফেসবুকের যুগ এটি যদিও, কিন্তু মানুষ স্বাধীনভাবেই নিজের সত্তাকে ধরে রেখে জীবন অতিবাহিত করছে। লেখক এখানে খুব সরল ভাষা প্রয়োগ করে একটি দেশের মানুষের পারিবারিক সংস্কৃতি, জীবনধারা ও আবেগগুলোকে তুলে আনতে পেরেছেন। এখানে প্রবাসী কারও সঙ্গে দেশীয় পাত্র বা পাত্রীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার ঘটনা এবং বিয়ে-পরবর্তী জীবনধারার কিছু টুকরা দৃশ্য আমরা দেখতে পাব—নায়কের বিয়েতে সবচেয়ে বেশি খুশি হয় তার আত্মীয়রা। এটি এমন সময়ের গল্প, পুরোনো পৃথিবী যেখানে লোকদেখানো ব্যাপারগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কাছে এবং তা একধরনের সামাজিক আচার-অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু যাদের বিয়ে হলো হুট করেই, তাদের মধ্যে কোনো পূর্বযোগাযোগ না থাকার কারণে কেউ কারও প্রতি কোনো টান অনুভব করে না অথবা দুজনের ভিন্ন ধরনের ব্যক্তিত্বের কারণেও হতে পারে এটি। সময় গড়িয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কটিও অর্থহীন হয়ে পড়ে দিন দিন। অনুন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে বেকার–অলস যুবক ও তার পরিবার তাদের প্রবাসী বউয়ের অপেক্ষায় দিন গোনে এবং বউকে কেন্দ্র করে অন্য দেশে জীবন শুরু করার আশায় বেশ কিছু বছর পার করে হতাশায় মুহ্যমান হয়ে পড়ে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নায়ক তার অপরিচিত স্ত্রীকে প্রায় ভুলতে থাকে, যেহেতু তাকে নিয়ে কোনো স্বপ্ন নেই তার। কিন্তু এরই মধ্যে তার স্কুল ফ্রেন্ডটি আমেরিকায় পাড়ি জমায় বউ-বাচ্চা নিয়ে।

দেখতে দেখতে সময় গড়িয়ে চলে। হুট করেই একদিন বন্ধুটি বউ-বাচ্চাকে বিদেশে রেখে ফিরে আসে নিজের দেশে। এদিকে নায়কের তার অদেখা স্ত্রীর দেশ আমেরিকায় চলে যেতে ইচ্ছা করে তার। সময়ে আরও রহস্য উন্মোচিত হয়। এই সময়ের পৃথিবীতে টেকনোলজির উন্নতি ধীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে বা মেসেঞ্জারে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাদের। কিন্তু দূরত্ব কি ঘোচে?

স্বপ্নের গরুগুলি: ক্লোন–মানব এবং ক্লোন আইডেনটিটি চুরির গল্প।
‘লাইফের বিচিত্র মিনিং আছে। মানুষ স্বপ্ন দেখে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনেও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। স্মৃতি বা সময়কে নিয়ে কতভাবেই তো ভাবা যায়, দেখা যেতে পারে, বর্ণনা করা যায়। একটি বিকেল বা বৃষ্টি কতভাবেই শেষ হতে পারে। মনের বিচিত্র ভাবের কারণে একই সময়কে একেকভাবে অনুভব করা যায়।
বৃষ্টি হলে—মনে হবে কেউ কাঁদছে, যদি মন দুঃখী থাকে। বৃষ্টি হলে—মনে হবে কেউ নাচছে, যদি মন ভালো থাকে। বিচিত্র এই লাইফ এবং এই জীবন নিয়ে আরও কিছুদিন তো বেঁচে থাকাই যায়।’

এ গল্প এমন এক সময়ের, যখন নিজস্ব নাম বা আইডেনটিটি ধরে রাখতে চাইলে মানুষকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। অনেক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এর বাইরেও কিছু লোক আছে, যারা প্রচলিত নিয়মকানুনের ধার না ঘেঁষে একগুঁয়েভাবেই জীবনযাপনের চেষ্টা চালিয়ে যায়।

গল্পকথকের বন্ধু নীলু। এই গল্প এমন এক সময়, এমন এক যুগের, যখন মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। অথবা জীবনই স্বপ্নহীন হয়ে গেছে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচুর ড্রিম মেডিসিন এবং সফটওয়্যার বানিয়ে বিক্রি করছে। প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন স্বপ্ন বিক্রি হয়। পুরোনো স্বপ্নগুলোকে চাইলে রিনিউ করা যায়। স্বপ্নের দর্শক চাইলে তার অবস্থান ও চরিত্রের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে নিজে নিজেই, স্বপ্নেরই অন্য কোনো চরিত্রের সঙ্গে। গল্পকথকও মাঝেমধ্যে তা-ই করেন।

আন-নোন: দেয়ার ওয়্যার টাইম যখন আন-নোন হওয়াটাই ছিল আকর্ষণের মূল উপায়। আমি তোমাকে জানি না—এইটা হৃদয়ে বিরাট হাহাকার তৈরি করত। এই রকম একটি সময়ের গল্প টাইম ডাইমেনশন নিয়ে।

‘সময় হিসেবে আমরা যা উপলব্ধি করি তা হলো মুহূর্ত বা ইভেন্টের পয়েন্টগুলোর একটি সিরিজ, যা একসঙ্গে স্ট্রিং থাকে। মেমোরি বানায়। পরবর্তীতে এই মেমোরিগুলো দিয়েই বা রিসেন্ট ফিউচারে আমরা ইলিউশন অব টাইমের অভিজ্ঞতা লাভ করি বা মজাগুলো নিতে পারি।’

ইমরুল হাসানের ‘আন-নোন’ গল্পটি হলিউডের বিখ্যাত ‘মেট্রিক্স’ সিনেমাটির কিছুটা ছায়া গল্প যেন। ড্রিম ডোজ নিয়ে দরজা খুলে এক পৃথিবী থেকে অন্য পৃথিবীতে চলে যাওয়ার গল্পের মতোই। পবিত্র প্রেম অথবা এক্সাইটিং লাভের আশায় প্রেমের মূল উৎস প্রাচীন পৃথিবীতে ভ্রমণ করার গল্প।

গল্পের তিনটি চরিত্র। তিন বন্ধু। সবাই একটি টাইম ডাইমেনশনে প্রবেশ করে। এর জন্য ড্রিম পুশ বা ইনস্টল করে নেয়। তারা থ্রি ডাইমেনশন দুনিয়ার প্রেম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। অভিজ্ঞতা নিতে চায়। কিন্তু তাদের প্রাত্যহিক জীবন চলছে টেনথ ডাইমেনশনের জগতে। যেখানে স্পিড, মোর মোর এট্রাকশন আর ফুর্তির শেষ নেই। সারাক্ষণই গান বেজে চলেছে। চোখের পলকেই সময় দৌড়ে চলে যায়। কিন্তু থ্রি ডাইমেনশনের জীবন অনেক ধীর। দেখা গেল, গল্পকথকের বন্ধু ও বান্ধবী এবং তিনি নিজেও পুরোনো দুনিয়ার রোমান্টিক সময়ের সাধ নিতে একটি রিকশায় চড়ে বসে। রিকশাটি বাস্তবিক কিছু নয় এবং রিকশা চালকটিও। থ্রি ডাইমেনশনের দুনিয়ায় এই রিকশায় চড়ে তারা হাওয়া খাচ্ছে। রিকশা একটি প্রাচীন সময়ের বাহন ছিল। এতে চড়ে তারা আনন্দ পাচ্ছে। এই আনন্দটুকু তারা কিনেছে টাইম-মানি খরচ করে।

কিন্তু আনন্দ শেষে যখন তারা বাসার কাছাকাছি আসে, ড্রিমেই দেখতে পায় যেখানে তাদের বাসাটা ছিল সেখানে আর তা নেই। এভাবে থ্রি ডাইমেনশনে রিকশায় করে প্লেজার ট্রিপ শেষে প্রেমকে যৌনতা দিয়ে উপভোগ করার ব্যাপারটি আছে। কিন্তু সেখানে তারা অবস্থান না করে টু ডাইমেনশন টাইমে প্রবেশ করে শুধু অনুভূতি আর অনুভবের মাধ্যমে প্রেমকে উপলব্ধি করার একটা ব্যাপারের অভিজ্ঞতা নিতে দেখা যায়। শুনে বিজ্ঞান কল্পকাহিনি মনে হতে পারে, কিন্তু এটা বিজ্ঞানের গল্প নয়।

মেমোরি: আমাদের পরিচিত ‘ম্যাট্রিক্স’ সিনেমাটির অন্যতম একটি চরিত্র হলো ‘ওরাকল’। কিন্তু এই গল্পের ওরাকল শুধু অতীত দেখতে পায়। এটি আরেকটি লিনিয়ার টাইমের গল্প। ‘ম্যাট্রিক্স’ সিনেমাটির মতোই।

বিবাহিত: এই বইয়ে ‘বিয়ে’ নিয়ে দ্বিতীয় গল্প। ‘জয় বাংলা’ গল্পটির অন্য রকম ভার্সন। অথবা অ্যাডভান্স দুনিয়ার অন্য রকম গল্প।

গল্পের মূল চরিত্র দুজন। একজন পুরুষ এবং একজন নারী। পুরুষ লোকটি খামখেয়ালি এবং মজা করতে ভালোবাসে। একঘেয়েমি তার পছন্দ নয়। একটু ভাবুক শ্রেণির যেন। এটি এমন এক সময়ের গল্প, যখন দুনিয়া পুরোপুরি প্রযুক্তির দখলে চলে গেছে। ক্রিস্টাল-ওয়ালের ব্যবহার শুরু হয়েছে টাচস্ক্রিনের বদলে। বিগ-ডেটার যুগ চলছে। সমস্ত ইনফরমেশন বিগ-ডেটার বিশাল ভান্ডারে জমা হতে থাকে। ডেটা আর ফ্রিতে মেলে না। এমনকি অর্থহীন বর্তমান বা অতীতের কোনো তথ্য হলেও টাইম বাউন্ড ধরে ডেটা কিনতে হয়। বেশি দিনের পুরোনো ডেটাগুলো সিলেকটিভ। চাইলেই কিনতে পাওয়া যায় না।

গল্পের এক গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র মোয়েনা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মোয়েনা তার হবু স্বামীর বিয়ে নিয়ে ছেলেমানুষিগুলো দেখে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে। তার আচরণ যেন অত্যন্ত মানুষ মানুষ বা মানবিক ধরনের, আনপ্রিডিক্টেবল। তাই মোয়েনার মনে সিদ্ধান্তহীনতা দেখা দেয়। মোয়েনা ভেবে দেখার জন্য সময় চায়, একা থাকতে চায় কিছুদিন।

এ এমন এক সময়ের গল্প যখন পৃথিবীতে মানবক্লোনগুলো ব্যাপক উন্নত হয়ে গেছে। মানুষ দেদার ক্লোনিং করছে, ক্লোন বডি বিক্রি হচ্ছে। পুরো শরীর বা অংশবিশেষ। কিন্তু এরপরও স্বাভাবিক মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায় ক্লোনগুলোর আচরণে।

কোন ফিউচার নেই: টাইম ট্রাভেলের গল্প। প্রাচীন পৃথিবী থেকে বর্তমান সময়ের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের এক অদ্ভুত ইমেজারি এই গল্পটি। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বা আড্ডাবাজির গল্প। একে অন্যের কাজ সম্পর্কে, চিন্তাধারাগুলো নিয়ে মজার কিছু চিত্রণ রয়েছে। ‘কোন ফিউচার নেই’ গল্পটিতে সময় তার স্ট্রেট নেচার ভেঙে দিয়ে নন-লিনিয়ার টাইমে যেন কনভার্ট হয়ে যায়।

সম্পূর্ণ ভিন্নধারার গল্প লেখার জন্য ইমরুল হাসান সাধুবাদ পেতেই পারেন। সামনে তাঁর গল্প কিংবা উপন্যাস পাঠের আশা রাখি।

২০৪৬
ইমরুল হাসান
প্রকাশক: চন্দ্রবিন্দু