করোনানামা

‘শালার নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম হওয়ার চাইতে শুয়োরের ঘরে জন্ম নেওয়াও অনেক ভালো।’
এমন কথা বলতে পারলি রনজু? রনজুর মা ভয়ে তার হাত দুটো চেপে ধরলেন। তারপর ফিসফিস করে বললেন, ‘তোর বাবা পাশের ঘরেই আছেন। শুনতে পাবে! তাঁর যে হার্টের অসুখ।’
রনজু মাথা নিচু করে একটা মোড়া টেনে বসে। করোনার কারণে কারখানা বন্ধ। আয় শূন্যে। ঘরের খাবারেও টান পড়তে শুরু করেছে। সপ্তায় সপ্তায় বাবার ওষুধ। কিনতে পারছে না। দুশ্চিন্তায় এতটুকু হওয়া মায়ের দিকে তাকানো যায় না!
কারখানা সুপারভাইজারের জবাব দিয়ে দিয়েছে,‘কোনো টাকা পয়সা দিতে পারব না।’

রনজুর কলেজপড়ুয়া বোনটা আড়াল থেকে সব শুনে। সুপারভাইজার সালামের প্রস্তাব এখনো বহাল আছে। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে গেল সে। না খেয়ে এই মরার চেয়ে না হয় এই মরণই হলো।

[নিয়ম:
১০০ শব্দের গল্প লিখুন। প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট‌্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলো ডটকমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক….।

কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন:
[email protected]
[email protected] ]