কুশল ইশতিয়াক-এর কবিতা

আন্তঃনক্ষত্রীয়


অবিরাম আপনাকে খুঁজে যাব। এ আকাশ
মাটি চিরকাল থাকবে না, থাকবে না গ্রহ
আর চাঁদ। চাঁদের পৃষ্ঠে যে অন্ধকার আছে
সে বুঝি গাঁয়ের সন্ধ্যা। বাতাসে বেড়াচ্ছে ভেসে
অতিমৃদুকম্পন, নিচু স্বরে কোনো চেনা ডাক!


কারও না কারও আঁকা ছবি

শাদা আলো—ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাতটাকে
গাঢ় করে তুলেছে। এরা খুব নিচু
নক্ষত্র হতে পারে পৃথিবীর—
ল্যাম্পপোস্টকে নক্ষত্র বলা যায়? শিশুটি
ছোপ ছোপ রঙে এ রকম দৃশ্য আঁকল
হবে হয়তো রিয়েলিটিও, কারও না কারও আঁকা
ছবি—ভেতরে তার সুগন্ধ আছে। পুকুরের জল কাঁপে,
কাঁপে জলের ভেতর আলো। হাওয়া কি ধরে রাখে মৃদু
আজানের ধ্বনি? শান্ত সুন্দর এক কবরখানার কাছে

রেড

মেঘগুলো আঁকা বাকি। জমিনেও কিছু নাই।
খুব দূরে, একটা কামারশালা আঁকা হয়েছিল
যেন কবে। ঘুমঘোরে। গনগনে আলোয় হাপর
ওঠানামা করে। আর থাকে তাতানো লোহা।
ওখান থেকে কিছু লাল নিয়ে মেঘগুলো রং করা যায়।
তাহলে বিকেল হবে।