নজরুলের সাহিত্যে ঈদ

নজরুল-সাহিত্যে ঈদ, কোরবানি—এগুলো সৃজনশীলতার উৎকর্ষে এক অন্য রকম বিশিষ্টতা নিয়ে উপস্থিত। ঈদ্যোৎসবের এই প্রহরে কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যে কীভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে ঈদ ও কোরবানি, সেগুলোর দিকে ফিরে দেখা।

বাঙালি মুসলমান জনগোষ্ঠী ঈদ উদ্যাপন করেছে শত শত বছর ধরে। কিন্তু সে তার এই প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে সাহিত্যে রূপ দিতে পারেনি। এ জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অন্তত বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশক থেকে বাঙালি মুসলমানের মধ্যে মধ্যবিত্তের বিকাশ শুরু হয়। এই মধ্যবিত্তের ব্যক্তিত্ব যখন একটু একটু করে দানাদার হয়ে উঠছিল, তখন সে তার নিজের দিকে তাকায়। তাকিয়ে দেখে সে এতকাল তার সাহিত্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যের জীবনকে রূপায়িত করার ভাড়া খেটেছে। ব্যক্তিত্ব তৈরি হওয়ার শুরুর দিকে স্বাভাবিক নিয়মেই এই ভাড়া খাটা থেকে সে মুক্তির জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তাগাদা বোধ করে তার নিজের যাপিত জীবনকে সাহিত্যের উপাদান করে তোলার। যাপিত জীবনের অন্য অনেক বিষয়ের মতো বাঙালি মুসলিম মধ্যবিত্ত তার প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ নিয়ে রচনা করতে শুরু করে প্রচুর কবিতা ও গদ্য। কাজী নজরুল ইসলাম বোধ করি এই ধারার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সাহিত্যিক।

নজরুলকে বোঝার জন্য তাঁর আগের ঈদবিষয়ক সৃজনধারা সম্পর্কে জানা দরকার। ১৯০৩ সালে ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সোমবার ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদকে উপলক্ষ করে ‘নবনূর’ পত্রিকার প্রথম বর্ষের ডিসেম্বর সংখ্যায় পত্রিকাটির সম্পাদক সৈয়দ এমদাদ আলী ‘ঈদ’ নামে একটি কবিতা প্রকাশ করেন। সৈয়দ এমদাদ আলী দাবি করেছেন, ‘ইহাই মুসলিম বাংলার প্রথম ঈদ কবিতা।’ কবিতাটি ছিল এ রকম:

‘কুহেলি তিমির সরায়ে দূরে

তরুণ অরুণ উঠিছে ধীরে

রাঙিয়া প্রতি তরুর শিরে

আজ কি হর্ষ ভরে।

আজি প্রভাতের মৃদুল বায়

রঙে নাচিয়া যেন কয়ে যায়

মুসলিম জাহান আজি একতায়

দেখ কত বল ধরে।’

স্ত্রী প্রমীলা এবং দুই ছেলেকে নিয়ে নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রী প্রমীলা এবং দুই ছেলেকে নিয়ে নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আবদুল মান্নান সৈয়দ তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলমান’ গ্রন্থে বলেছেন, ১৯০৩, ১৯০৪, ১৯০৫—পরপর এই তিন বছরই ‘নবনূর’ ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে। এই অর্থে অন্তত যে, প্রতিবছরই এই পত্রিকায় ঈদসংক্রান্ত লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এ কথা সত্য যে, ‘নবনূর’ পত্রিকার ওই ইস্যুগুলোতে ঈদসংক্রান্ত লেখা সংখ্যায় কখনো তিনটির বেশি ছিল না। সংখ্যাগুলোতে কায়কোবাদ লেখেন ‘ঈদ’ নামে একটি কবিতা আর ‘ঈদ আবাহন’ নামে দুটি কবিতা। আর রোকেয়া লেখেন ‘ঈদ-সম্মিলন’ প্রবন্ধটি। এরপর ‘ইসলাম দর্শন’, ‘আল এসলাম’, ‘মোসলেম ভারত’, ‘বাসনা’, ‘সওগাত’ প্রভৃতি পত্রিকায় ক্রমাগত ঈদবিষয়ক লেখা লিখেছেন মনিরুজ্জামান এসলামাবাদী, মোজাম্মেল হক, শেখ ফজলুল করিম, শাহাদাৎ হোসেন, গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে। এঁদের ঈদবিষয়ক লেখার প্রধান সুর ছিল ঈদকে উপলক্ষ করে ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ ও মুসলমানদের একতা। রোকেয়া ‘ঈদ-সম্মিলন’-এ বলছেন, ‘ঈদ-সমাগমে আজি আমাদের সে দুঃখ যামিনীর অবসান হউক। ঈদের বালার্কের সহিত আমাদের অন্ধকার হৃদয়ে নব-আশার নবনূর উদ্দীপ্ত হউক। সমষ্টির মঙ্গলের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থ পদদলিত হউক। বলিয়াছি ত, এবার আমরা একতা মসজিদে ফেলিয়া আসিব না। আমাদের এ মহাব্রতে ঈশ্বর সহায় হউন।’ শেখ ফজলুল করিম ‘বাসনা’ পত্রিকায় ১৯০৮ সালে প্রকাশিত ‘ঈদ’ কবিতায় বলেছেন, ‘অলস অধম মোরা/ এখনো কি অবহেলে/ যাব রসাতলে?/ অদৃষ্টের উপহাস/ এখনো কি আনিবে না/ চেতনা ফিরিয়া?/ এখনো লাঞ্ছিত মোরা/ বুঝিব না হিতাহিত/ রহিব ঘুমিয়া?/ জীবন-প্রভাত আজি/ বিস্ময়ে দেখিতে চাহি/ মহাজাগরণ,/ সাহসে বাঁধিয়া বুক/ পথে হয়ে অগ্রসর/ নতুবা মরণ।’ এই ছিল নজরুলের আগের সাহিত্যে ঈদের রূপায়ণ।

ঈদ-সম্পর্কিত নজরুলের এই সৃষ্টিসম্ভার তাঁর পূর্বেকার বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের থেকে বেশ আলাদা। নজরুল প্রথম কবি যিনি তাঁর গানে ঈদকে আনন্দের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছেন। চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের মনে যে একটা আনন্দের ফোয়ারা বয়ে যায়, সেই আনন্দের লহরিটা তাঁর বেশ কয়েকটি গানে তিনি ধরতে পেরেছেন। এই নিরেট আনন্দটা নজরুলের আগে-পরে ঈদসংক্রান্ত কোনো গানে তেমন করে আসেনি।

বাংলা সাহিত্যে ঈদ নিয়ে বোধ করি নজরুলই এককভাবে সবচেয়ে বেশি সাহিত্য রচনা করেছেন। ‘শহীদী ঈদ’, ‘ঈদের চাঁদ’, ‘কৃষকের ঈদ’, ‘বকরীদ’, ‘ঈদ-মোবারক’, ‘জাকাত লইতে এসেছে ডাকাত চাঁদ’, ‘কোরবানি’, ‘আজাদ’ এগুলো তাঁর ঈদের কবিতা। ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে’, ‘নতুন ঈদের চাঁদ’, ‘চলো ঈদগাহে’, ‘ঈদ ঈদ ঈদ’, ‘নাই হল মা বসন-ভূষণ এই ঈদে আমার’, ‘ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার আরাফাত ময়দান’, ‘ঈদুজ্জোহার তকবির শোনো’, ‘ঈদ মোবারক হো’, 'ঈদের খুশির তুফানে আজ ডাকল কোটাল বান’, ‘ফুরিয়ে এল রমজানেরই মোবারক মাস’, ‘নতুন চাঁদের তকবির, ঈদুজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ’, ‘দে জাকাত দে জাকাত, তোরা দেরে জাকাত’, ‘ঈদ মোবারক হোক ঈদ মোবারক হোক’, ‘ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক’—এগুলো নজরুলের ঈদবিষয়ক গান। আর ‘ঈদজ্জোহা’ ও ‘ঈদুল ফেতর’ দুটি নাটিকা।

ঈদ-সম্পর্কিত নজরুলের এই সৃষ্টিসম্ভার তাঁর পূর্বেকার বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের থেকে বেশ আলাদা। নজরুল প্রথম কবি যিনি তাঁর গানে ঈদকে আনন্দের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছেন। চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের মনে যে একটা আনন্দের ফোয়ারা বয়ে যায় সেই আনন্দের লহরিটা তাঁর বেশ কয়েকটি গানে তিনি ধরতে পেরেছেন। এই নিরেট আনন্দটা নজরুলের আগে-পরে ঈদসংক্রান্ত কোনো গানে তেমন করে আসেনি। এ জন্য নজরুলের গান আজও বাঙালি মুসলমানের ঈদ উদ্যাপনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে।

কবির বড়ত্ব বোঝা যায় জনগোষ্ঠীর উদ্যাপনে তার ব্যবহারের মাত্রা আর অনিবার্যতা দেখে। বড় কবির সৃষ্টি সব সময় তাঁর জনগোষ্ঠীর যাপন-উদ্যাপনের সঙ্গে বাতাসের মতো মিশে যায়। ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’, ‘ঈদের খুশির তুফানে আজ ডাকল কোটাল বান’, ‘ঈদ মোবারক হো’ এমনই গান। কিছু কবিতায়ও ঈদের বাঁধভাঙা উদ্যাপন রূপায়ণে নজরুল যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, তা সমগ্র বাংলা সাহিত্যে বিরল। শুধু ‘জিঞ্জীর’ কাব্যগ্রন্থের ‘ঈদ-মোবারক’ কবিতাটির কয়েকটি পঙ্ক্তি উল্লেখ করছি যার স্বাদ, গন্ধ আর উচ্ছ্বাস ঈদের আনন্দকেও যেন ছাড়িয়ে যায়:

 

‘আজিকে এজিদে হাসানে হোসেনে গলাগলি,

দোজখে ভেশতে ফুলে ও আগুনে ঢলাঢলি,

শিরি ফরহাদে জড়াজড়ি।

সাপিনীর মতো বেঁধেছে লায়লি কায়েসে গো,

বাহুর বন্ধে চোখ বুঁজে বঁধূ আয়েশে গো!

গালে গালে চুমু গড়াগড়ি।’

নজরুলের ঈদবিষয়ক অধিকাংশ কবিতা তাঁর চেতনার মূল প্রবণতাকে ধারণ করে আছে। তিনি এই কবিতাগুলোকে তাঁর পূর্বতন কবি-সাহিত্যিকদের মতো মুসলমানদের ঐক্যের আকাঙ্ক্ষা আর ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ঈদকে তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাম্য, আত্মোৎসর্গ আর আত্মশুদ্ধির কথা বলার হাতিয়ারে পরিণত করেছেন। অথবা বলা যায়, তিনি ধর্মের সেই এসেন্সকে নিয়েছেন যা তাঁর জীবনবোধের সঙ্গে মিলমিশ খায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঈদ তাঁর কাছে যেন একটা ছুতো। আসল উদ্দেশ্য তাঁর সাম্য আর মানবিকতার প্রতিষ্ঠা ঘটানো। নজরুলের ঈদবিষয়ক অধিকাংশ কবিতা থেকে ঈদকে সরিয়ে নিলেও কবিতাগুলোকে তাঁর ‘অগ্নি-বীণা’, ‘ভাঙার গান’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘সাম্যবাদী’, ‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থের সঙ্গে সহজেই মিলিয়ে পড়া যায়। প্রসঙ্গত স্মরণ করা যেতে পারে ‘নতুন চাঁদ’ কাব্যগ্রন্থের ‘ঈদের চাঁদ’ কবিতার কথা:

‘সিঁড়ি-ওয়ালাদের দুয়ারে এসেছে আজ

চাষা মজুর ও বিড়ি-ওয়ালা; মোদের হিস্সা আদায় করিতে ঈদে

দিল হুকুম আল্লাতা’লা।

দ্বার খোলো সাততলা-বাড়ি-ওয়ালা, দেখো কারা দান চাহে,

মোদের প্রাপ্য নাহি দিলে যেতে নাহি দেবো ঈদগাহে।

আনিয়াছে নবযুগের বারতা নতুন ঈদের চাঁদ,

শুনেছি খোদার হুকুম, ভাঙিয়া গিয়াছে ভয়ের বাঁধ।

মৃত্যু মোদের ইমাম সারথি, নাই মরণের ভয়;

মৃত্যুর সাথে দোস্তি হয়েছে—অভিনব পরিচয়।’

‘অগ্নি-বীণা’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ
‘অগ্নি-বীণা’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ
নজরুলই আবিষ্কার করলেন কোরবানির মধ্যকার অপরিমেয় শক্তি আর সাহসের সূত্র। যে শক্তি আর সাহস অত্যন্ত জরুরি ছিল বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময়। তিনি মুসলমানের কোরবানির মধ্যকার শক্তিকে ব্যবহার করে মুসলমানের শক্তিমান ধর্মীয় ঐতিহ্য-ইতিহাসকে মূলধারায় স্থান করে দিয়েছেন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন। কোরবানি এর আগে হিন্দু-মুসলমান উভয়ের মনোযোগ আর সমীহ আদায় করতে পারেনি।

নজরুলের ঈদবিষয়ক সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রচনা বোধ করি ‘কোরবানি’। কবিতাটি তাঁর ‘অগ্নি-বীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এটি মূলত আধিপত্যবাদ, উপনিবেশবাদ আর শোষণের বিরুদ্ধে এক বৈপ্লবিক কাব্য। কাব্যটিতে তিনি বাঙালি জনগোষ্ঠীর জীবন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মিথ আর ধর্মের যেখানে যেখানে শক্তির আধার, সেখানেই হানা দিয়েছেন। তুলে এনেছেন শ্রেণিশত্রুকে নাস্তানাবুদ করার অস্ত্র। হিন্দুর শিব-চণ্ডীর শক্তিকে তিনি যেমন আধিপত্যবাদী আর শোষকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন, তেমনি ব্যবহার করেছেন মুসলিম ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ধর্মীয় অনুষঙ্গকে। খেলাফত আন্দোলন আর অসহযোগ আন্দোলন যেন গলাগলি ধরে আছে তাঁর কাব্যে। ব্রিটিশ বিরোধিতার প্রশ্নে এভাবে হিন্দু আর মুসলমানের কণ্ঠকে আর কোনো কবি মেলাতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। মুসলমানের শক্তির জায়গাগুলোর মধ্যে কোরবানি যে ঘাপটি মেরে ছিল, তা কে জানত। নজরুলই আবিষ্কার করলেন কোরবানির মধ্যকার অপরিমেয় শক্তি আর সাহসের সূত্র। যে শক্তি আর সাহস অত্যন্ত জরুরি ছিল বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময়। তিনি মুসলমানের কোরবানির মধ্যকার শক্তিকে ব্যবহার করে মুসলমানের শক্তিমান ধর্মীয় ঐতিহ্য-ইতিহাসকে মূলধারায় স্থান করে দিয়েছেন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন। কোরবানি এর আগে হিন্দু-মুসলমান উভয়ের মনোযোগ আর সমীহ আদায় করতে পারেনি।

কাজী নজরুল ইসলাম বোধ করি বাঙালি মুসলমানের প্রথম সাহিত্যিক নায়ক। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিরাট ভোজে তিনি বাঙালি মুসলমানের পাতকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছেন। কোনো প্রকার হীনম্মন্যতা আর জড়তা ছাড়াই তিনি বাংলা সাহিত্যে একপ্রকার দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। বাঙালি মুসলমানের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর যাপনকে এক উদ্যাপনী আর শক্তিবন্ত আমেজে তিনিই প্রথম রূপ দান করেছেন বাংলা সাহিত্যে। বাঙালি মুসলমানের বোধ আর ভাষার আড়ষ্টতা তিনিই প্রথম ভাঙেন। মহররম থেকে শুরু করে ফাতেহা-ই-দোয়াজ্-দহম্ হয়ে ঈদ উৎসব—কোনোটাই তিনি বাদ রাখেননি সাহিত্যে নতুনভাবে রূপদান করতে।


অন্য আলোয় লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]