দৃশ্যকলায় নতুন পথের দিশা ও অগ্রপথিক কয়েকজন

বাংলাদেশের তিন পথিকৃৎ শিল্পী রশিদ চৌধুরী, মুর্তজা বশীর ও দেবদাস চক্রবর্তীর শিল্পকর্ম নিয়ে বেঙ্গল শিল্পালয়ে চলছে বিশেষ প্রদর্শনী। গত ১৬ মার্চ শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত

ঢাকার বেঙ্গল শিল্পালয়ে তিন পথিকৃৎ শিল্পী রশিদ চৌধুরী, মুর্তজা বশীর ও দেবদাস চক্রবর্তীর শিল্পকর্মে এই বঙ্গের দৃশ্যকলায় আধুনিকতার সূচনামুখের কিছু বৈশিষ্ট্য ও তার উত্তরাধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে। চলমান প্রদর্শনীটি ভাবনার দিক থেকে যেমন, তেমনি উপস্থাপনের অভিনবত্বে চমৎকৃত করে। চট্টগ্রামে প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পচর্চার ৫০ বছর এর উপলক্ষ হলেও প্রদর্শনীটির পরিকল্পনা ও বিন্যাসে যে বুদ্ধিবৃত্তিক গবেষণা ও উপাত্ত সংগ্রহের সযত্ন প্রয়াস দেখা গেছে, এ দেশে তেমনটি দুর্লভ।

এ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে যেমন পঞ্চাশের দশকে এ দেশের দৃশ্যকলায় অভিমুখ পরিবর্তনের কুশীলবদের প্রধান কয়েকজনের শিল্পকর্ম ও সংশ্লিষ্ট ভাবনার পরিচয় ফুটে ওঠে, একইভাবে দেশের দ্বিতীয় শিল্পশিক্ষালয়টির সূচনা পর্বের ভিন্নতর অভিপ্রায় ও প্রয়াসেরও খানিক পরিচয় পাওয়া যায়। পাকিস্তান পর্বের শেষ দিকে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় এবং সেটিতে একটি চারুকলা বিভাগ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে ঢাকার সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিল্পী রশিদ চৌধুরী এ বিভাগের দায়িত্ব নেন এবং এটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি শিল্পশিক্ষালয় হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তাঁরই প্রয়াসে শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী ও মুর্তজা বশীর এবং ক্রমে আরও কনিষ্ঠতর শিক্ষকেরা যোগ দেন।

রশিদ চৌধুরী ও মুর্তজা বশীর ঢাকায় সহপাঠী এবং পশ্চিমে উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পেয়েছেন। দেবদাস চক্রবর্তী সামান্য অনুজ, বিদেশে প্রশিক্ষণ না থাকলেও পঞ্চাশের দশকের নব্য শিল্পধারার অন্যতম সদস্য। ঢাকার শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাস করে ওই সময় শিল্পীর জন্য সুযোগ ছিল অতিশয় সীমিত, কিন্তু তাঁরা নিজেদের কৃতিত্বে ষাটের দশকেই পুরো পাকিস্তানে পুরোধা শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। অতএব তাঁরা যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেন, তখন দৃশ্যকলাচর্চায় প্রায় শূন্য অবস্থা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ওঠে গুরুত্বে ঢাকার প্রায় সমকক্ষ এবং নবীন একদল শিল্পীর আবির্ভাবে অধিকতর প্রাণবন্ত। চট্টগ্রাম শিল্পশিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠার পেছনে এই তিন শিল্পীর অবদানকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না।

চট্টগ্রাম চারুকলা িবভাগে পঞ্চাশের দশকের তিন পথিকৃৎ শিল্পী (বাঁ থেকে) দেবদাস চক্রবর্তী, মুর্তজা বশীর ও রশিদ চৌধুরী, ১৯৭৬
ছবি: সংগৃহীত

তবে দেশভাগ ও ধর্মীয় বিভাজনের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত দেশটিতে সমকালীন শিল্পীর জন্য বিষয় ও শৈলী নির্বাচন ছিল জটিলতাপূর্ণ। সভ্যতার এক অনন্য ঐতিহ্যের আর ঔপনিবেশিক ইতিহাসের গুরুভার তো ছিলই, তার সঙ্গে যুক্ত হলো সমকালের বাস্তবতা। একদিকে রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের উৎস একটি বিশেষ ধর্মীয় চেতনা প্রতিফলনের তাগিদ, অন্যদিকে পূর্ববঙ্গের ভিন্নতর পটভূমিতে প্রোথিত ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি ও লোককলার প্রেরণা, আবার পশ্চিমের সমসাময়িক দৃশ্যকলার সঙ্গে চাক্ষুষ মোলাকাত একটি ত্রিমুখী টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল।

চল্লিশ, পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে উপমহাদেশের দৃশ্যকলাজগতে ভাবনার নানান রূপান্তর ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার, দেশভাগ ইত্যাকার বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে শিল্পের বিষয় ও শৈলীতে রোমান্টিকতার আকাশচারী রূপায়ণ ছেড়ে বাস্তবের প্রতিফলন ঘটানোর আকাঙ্ক্ষা জোরদার হতে থাকে। গোবর্ধন আশ, জয়নুল আবেদিন, চিত্তপ্রসাদরা সেটি ঘটিয়েছিলেন। দেশ বিভাগের মধ্য দিয়ে একটি ভিন্নতর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। একদিকে দীর্ঘ একটি সাংস্কৃতিক প্রবহমানতার সঙ্গে সংযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অন্যদিকে একটি নতুন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগও তৈরি হয়।

স্বাধীনতা-পূর্বকালে আধুনিকতার যে বয়ান ক্যালকাটা গ্রুপ ও বম্বে প্রগ্রেসিভ গ্রুপ সূচনা করেছিল, অনেকটাই সে আদলে হলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নব্য শিল্পী দলের সামনে আরও নানান বাস্তবতা বিবেচনার প্রশ্ন এসে যায়। মূলত গ্রামীণ কৌম সমাজভিত্তি থেকে উঠে এসে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ঘেরাটোপ নির্মাণ অনায়াস ছিল না। এ পরিস্থিতিতে আমাদের বিদেশাগত শিল্পীদের অধিকাংশ পশ্চিমের একটি বিশেষ শিল্পধারায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন অধিক, সেটি নিউইয়র্কভিত্তিক প্রকাশবাদী বিমূর্ততা। ব্যতিক্রম যে ছিল না, তা নয়; তবে পশ্চিমের সরাসরি অভিজ্ঞতাহীনরাও এতে যোগ দিলে এই ধারাই প্রবল হয়ে ওঠে।

আধুনিকতার বিবর্তনমুখী ধারণায় ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার যে প্রাধান্য, সে পরিস্থিতি বিরাজমান না থাকা সত্ত্বেও আমাদের দৃশ্যকলায় পঞ্চাশ-ষাটের দশকে বিমূর্ততা যে কর্তৃত্ববাদী অবস্থান নির্মাণ করেছিল, তার কারণ অনুসন্ধান এ নিবন্ধের পরিসরে সম্ভব নয়। এটিও সত্য যে বিমূর্ত হলেও তাঁদের সবার শিল্পকর্ম একবর্গীয় নয়। নানান ভিন্ন কারণে তাঁরা আধুনিকতা বলতে বিমূর্ততাকে বুঝেছেন, কেউ কেউ তাতে স্থিতও থাকেননি।

আমিনুল ইসলাম বা মুর্তজা বশীরের লেখনীতে তার উদাহরণ রয়েছে। রশিদ চৌধুরী ও কাইয়ুম চৌধুরী বিমূর্ততার কাঠামোর মধ্যে দেশজ উপাদান প্রবিষ্ট করার অবকাশ দেখেছেন। এভাবে পশ্চিম অনুপ্রাণিত হয়েও আমাদের বিমূর্ততা একধরনের দেশীয় অভিজ্ঞতা, পরিপার্শ্ব ও চিন্তাকাঠামোর চরিত্রও বজায় রাখে। তবে বিমূর্ততাই আধুনিকতা কি না, সে প্রশ্ন রয়েই যায়।

এই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী দর্শন একটি ধাক্কা খায় উনসত্তর-সত্তরের রাজনৈতিক আলোড়নের অভিঘাতে। রাজনীতির এই আবেগাপ্লুত উত্তাল প্রেক্ষাপট যখন প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ অনিবার্য করে তোলে এবং এর ফলে যখন গণজাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের অভিঘাত আমাদের চেতনার মর্মমূলকে নাড়িয়ে দেয়, তখন দৃশ্যকলার জগৎও জন-আকাঙ্ক্ষার রূপায়ণে এগিয়ে আসার প্রয়োজন অনুভব করে। আবার পরবর্তীকালে একটি নতুন স্বাধীন দেশে তার সাংস্কৃতিক অভিলাষের প্রতিরূপ নির্মাণের তাগিদও এসে পড়ে।

আমরা লক্ষ করি, পঞ্চাশ-ষাটের বিমূর্ততাবাদী শিল্পীদের মধ্যে রশিদ চৌধুরী ও মুর্তজা বশীর একেবারে স্বতন্ত্র কারণে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রশিদ চৌধুরী তাঁর আপাতবিমূর্ত গড়নের মধ্যে বাংলার প্রতিমা রূপকল্পের আদলকে কাঠামো হিসেবে ব্যবহার করেন এবং তার পুনঃপুন ব্যবহার হয়তো আমাদের অন্তর্দর্শনের প্রয়োজনীয়তাকে নির্দেশ করে। মুর্তজা বশীর নিরীক্ষাপ্রবণ, বিমূর্ততার বিবিধ উৎস তাঁকে আকর্ষণ করতে থাকে। তাঁর ‘দেয়াল’, ‘শহীদ’ শিরোনাম বা ‘পাখা’ সিরিজ চিত্রগুলোর দৃশ্যমান বিমূর্ততার আড়ালে বাস্তব বস্তুর প্রেরণা রয়েছে।

আবার তাঁর দৃষ্টি যখন বাঙালির চিত্র-ঐতিহ্যের প্রতি আকর্ষিত হয়, তখন একেবারে বাস্তব আকৃতিতে ফিরে আসেন, বর্ণপ্রয়োগে লোককলার নির্যাসটুকু গ্রহণ করেন। দেবদাস চক্রবর্তী বিমূর্ততায় স্থিত হলেও বিষয় একেবারে বর্জন করেন না, কখনো তা দলিত বা সংগ্রামী মানুষের মুখ, কখনোবা বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতি তাঁর ভাবনার জগতে পরিপার্শ্বের প্রতি তাঁর অনুরাগের চিহ্ন হয়ে রয়ে যায়।

এই তিন প্রধান শিল্পীর সম্মিলন চট্টগ্রামে শিল্পচর্চার একটি বাতাবরণ শুধু নির্মাণ করেনি, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনচর্যার মধ্যেও যে প্রাণবন্ত শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ছিল, তা দৃশ্যকলার বাইরের সৃজনশীল তরুণদেরও আকৃষ্ট করেছিল। তাঁরা যখন সৃষ্টিশীলতা ও খ্যাতির মধ্যগগনে, সেই সময় অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়ে একটি অপরিজ্ঞাত স্থানে শিকড় গেড়েছিলেন—এটিও উল্লেখ করার প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রদর্শনীতে তাঁদের শিল্প রচনার ভাবনা, পরিকল্পনা, খসড়া, লেখালেখি, চিঠিপত্র, বক্তব্য যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি প্রদর্শিত হয়েছে বইপত্র, ব্যক্তিগত সংগ্রহ ও নানান দৈনন্দিন উপাদান। এসবের ভেতর দিয়ে দর্শক এই শিল্পীত্রয়ীর শিল্পকর্মকে উপভোগ ও অনুধাবনের ছোট ছোট সূত্র আবিষ্কারের আনন্দও পেয়ে যান।

রশিদ চৌধুরী শুধুই চিত্রকর্ম করেননি, তাঁর মূল মাধ্যম ছিল ট্যাপেস্ট্রি বা বুননের মাধ্যমে শিল্প নির্মাণ এবং এ মাধ্যমে এখনো তিনিই আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শিল্পী। তাঁর শ্রেষ্ঠতম কিছু কাজ হয়তো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি, তবে প্রদর্শিত ট্যাপেস্ট্রিগুলোই এই শিল্পীর বিশিষ্টতাকে প্রতিভাত করে তোলে, পশ্চিমের রচনকৌশল ও পূবের বর্ণচয়নকে তিনি দারুণ সক্ষমতায় একীভূত করেছেন। তাঁর রেকর্ড করা কিছু বক্তব্যও দৃশ্যকলায় তাঁর একেবারেই মৌলিক ভাবনার পরিচায়ক। বাংলাদেশে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় শিল্পীপ্রতিভা অবশ্যই মুর্তজা বশীর। চিত্রকলা, ছাপাই ছবি ছাড়াও তিনি লিখেছেন গল্প ও কবিতা, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, করেছেন শিল্পনির্দেশনা ও পরিচালনায় সহযোগিতার কাজ।

চিত্রভাবনায়ও তিনি বারবার নিজেকে পরিবর্তন করে নতুন নিরীক্ষার দিকে অগ্রসর হয়েছেন। প্রাচীন মুদ্রা বিষয়ে এ উপমহাদেশে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর রয়েছে স্বীকৃতি। দেবদাস চক্রবর্তী চিত্রতলে বর্ণের উচ্ছ্বাসকে ব্যবহার করে চিত্র রচনায় মুনশিয়ানার স্বাক্ষর রেখেছেন শুধু নয়, তখনকার সীমিত পরিসরে ছাত্রদের নানাভাবে সাহায্য করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অগ্রণী। হতে পারে পঞ্চাশের দশকের বর্ণাঢ্য এই তিন শিল্পীর চট্টগ্রামে অবস্থান পরিকল্পিত নয়, তবে এই সমাপতন সৃজনশীলতার একটি ব্যাপক উৎসারণ ঘটিয়েছিল—এটি আমাদের শিল্প ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ।

নানা কারণে রশিদ চৌধুরী ও দেবদাস চক্রবর্তীকে চট্টগ্রাম ছেড়ে যেতে হয়েছিল, মুর্তজা বশীর অবসর পর্যন্ত এখানে কর্মরত ছিলেন। আজকের প্রজন্মের ছাত্র শুধু নয়, শিক্ষকদের অনেকের কাছেও এই তিন শিল্পীর গুরুত্ব সম্যক প্রতিভাত নয়। তাঁদের বা তাঁদের সমসাময়িক অন্যদের শিল্পকর্ম ও জীবনচর্যার সঙ্গেও পরিচিতি তেমন আছে বলা যাবে না। শিল্পী ও শিক্ষক ঢালী আল মামুন তাঁর শিক্ষকদের সার্বিক পরিচয়ে উপস্থাপনের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন, তার উপস্থাপন দর্শকের জন্য একেবারেই একটি অভিনব অভিজ্ঞতা।

এই প্রদর্শনকক্ষ তিনজন শিল্পীর শিল্পকর্মই শুধু ধারণ করেনি, তাঁদের মানবিক অস্তিত্বের অনুভূতিকেও নানান অনুষঙ্গে জাগরূক করার প্রয়াস পেয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে হয়েছে তাঁদের সময়কালের প্রেক্ষাপটে এই তিন শিল্পীর মানস ও শৈলীকে অনুধাবনের একটি সহমর্মী প্রচেষ্টা, যা বাংলাদেশে এর আগে কেউ তেমনভাবে করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এই প্রদর্শনীর ভাবনা ও উপস্থাপনের রূপকার অধ্যাপক ঢালী আল মামুনকে আমাদের অভিনন্দন। আর আয়োজন ও সহযোগিতায় যাঁরা ছিলেন অকুণ্ঠ, সাধুবাদ তাঁদেরও প্রাপ্য। এমন প্রদর্শনী ভবিষ্যতে আরও দেখার প্রতীক্ষায় আমরা অনেকেই থাকব।