একজন সৌমিত্র, সর্বভারতীয় নাকি প্রাদেশিক?

কোলাজ: সব্যসাচী মিস্ত্রী
তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কীভাবে মূর্ত হয়েছেন বাঙালি দর্শকের মনে? কোথায় ছিল তাঁর সাফল্যের জায়গা আর কোথায়ই–বা ছিল খানিক খামতি? প্রয়াণের পর তাঁর দিকে নতুনভাবে ফিরে দেখা।

কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৫ নভেম্বর ৮৫ বছর বয়সে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর শেষকৃত্যও এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিন আগেই কোভিড পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বলা যায়, বেশ একটা ক্লাইম্যাক্স এবং একধরনের আশাবাদের ভেতর দিয়ে তিনি কলকাতার বাংলা সিনেমাকে বিদায় জানিয়ে অসংখ্য ভক্ত, কুশলী ও বন্ধুদের ছেড়ে তাসরিফ রাখলেন পরলোকে।

বাংলা চলচ্চিত্র না বলে কেন, ‘কলকাতার বাংলা সিনেমাকে’, শুরুতেই কথাটি বললাম, তা পরিষ্কার করার জন্য নামজাদা পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুর আগের একটা খেদোক্তির দিকে চোখ ফেরানো যাক। পাঠকদের ঋতুপর্ণের কথাটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তাঁর নির্মিত সিনেমা ‘চিত্রাঙ্গদা’ যে বছর মুক্তি পেয়েছিল, ওই বছরই অনুরাগ বসুর ‘বারফি’ও মুক্তি পায় এবং সরকারিভাবে ‘বারফি’কে অস্কারে পাঠানো হয়। খুব সম্ভবত এটা ঋতুপর্ণকে ব্যথিত করেছিল। আর তাই বলেছিলেন, ‘আমরা দিন শেষে “রিজিওনাল ফিল্মমেকার” হয়ে রইলাম।’ কারণ, মুম্বাই, দিল্লি বা বলিউডের দৌরাত্ম্যের কারণে কলকাতায় যে অনেক বড় বড় কাজ হয়ে যাচ্ছে, তা যেন ভারতীয় মূল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কানেই পৌঁছাচ্ছে না। হোক সে দাদাসাহেব ফালকে পদকপ্রাপ্ত। এটা একটা ভাষাকেন্দ্রিক রাজনীতি। কবীর সুমন বহু আগেই তাঁর গানে বলেছিলেন, ‘দরকার হলে আমি খুব প্রাদেশিক, রাষ্ট্র মানি না নিজের ভাষাকে ভুলে।’

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

টালিগঞ্জের বাজারি ছবির নাচ–গান দেখলে সহজেই অনুমান করা যায়, হিন্দির আগ্রাসন ঠিক কতটা। এই ভাষাকেন্দ্রিক রাজনীতিকে না বুঝলে সৌমিত্রের সর্বভারতীয় না হয়ে ওঠার অথবা ঋতুপর্ণের প্রাদেশিক বা ‘রিজিওনাল’ থেকে যাওয়ার কারণও বোঝা যাবে না। কেননা, ভাষার রাজনীতিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমি নিশ্চিত, বিগ বি অমিতাভ বচ্চন বা রজনীকান্তের প্রয়াণে সমগ্র ভারতে আমরা ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখতে পেতাম। ভাষা বা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই একদেশদর্শিতা সব ক্ষেত্রেই যে লক্ষণীয়, তা ঢাকায় বসেও আমরা টের পাই।

কালজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর প্রায় একটা দিশেহারা অবস্থা বা জুটি হারিয়ে নায়ক–নায়িকার যে দশা হয়, সেটাই ঘটেছিল শক্তিমান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। তবে সত্যজিৎ ছাড়াও মৃণাল সেন, তপন সিনহা, ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন, অজয় কর প্রমুখ নির্মাতার সিনেমাতেও তাঁর অভিনয় দেখেছি আমরা। কিন্তু তিনি জ্বলজ্বল করছেন সত্যজিতের ওই সাদা–কালোতেই।

সৌমিত্র শেষ পর্যন্ত কি কলকাতার প্রাদেশিক অভিনেতা হয়েই থাকলেন? মজার বিষয় হলো, প্রাদেশিক বা যা–ই বলি না কেন, বলিউডের আজকের যে ডামাডোল আর শত শত কোটি রুপির গল্প, এ দিয়ে বহির্বিশ্বে প্রবাসী মনোরঞ্জন হয়তো হচ্ছে, কিন্তু ভারতীয় চলচ্চিত্র অস্কারের মুখ দেখেছে ওই ‘প্রাদেশিক’ পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরেই। এরপর আর ওমুখো হওয়ার যোগ্যতা হয়নি বলিউডের কারও। বলা ভালো, সংগীত পরিচালক হিসেবে এ আর রহমান অস্কার পেয়েছেন। যদিও অস্কারই একমাত্র মানদণ্ড নয় এবং এ বিষয়ে ভিন্নমত অবশ্যই আছে, তবু ভাষাকেন্দ্রিক রাজনীতির দিকে ফিরে তাকাতে হবে।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের রোমান্টিকতার দিক নিয়ে আলাপ আর নাই–বা করলাম। উত্তমকুমারের দৌরাত্ম্যের মধ্যে তিনি এসে ঠিকই নিজের দর্শক তৈরি করেছিলেন, এটা তাঁর অভিনয়জীবনের একটা সাফল্য বটে এবং আরেকটা সাফলতা এই যে সাবলীল অভিনয় দিয়ে আরেক শ্রেণির ‘সফিস্টিকেটেড’ দর্শকের কাছেও তিনি পৌঁছেছিলেন। দুকূলেই তরি ভিড়িয়েছিলেন।

আবার এটাও ঠিক যে পুরো ভারতে দক্ষিণি ছবির দাপটের মুখে খোদ বলিউডকেও এখন ‘ফাইট’ করতে হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। সেটা অবশ্য আরেক রাজনীতি—জাতীয়তাবাদের অপভ্রংশ আঞ্চলিকতাবাদ।

কথা হলো, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রতিভাবান একজন অভিনেতা ও লেখক শুধু ‘অপু ট্রিলজি’, ‘চারুলতা’, ‘ফেলুদা’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ আর ‘হীরক রাজার দেশে’তেই থেমে গেলেন। সৌমিত্রর অন্য কীর্তির চেয়ে এই ছবিগুলোই মূলত তাঁকে বেশি মাত্রায় প্রতিনিধিত্ব করে। তাই সংগত কারণেই ‘থেমে গেলেন’ বাক্যটি মন না চাইলেও লিখতে হচ্ছে।

সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অপুর সংসার’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে শুরু হয় সৌমিত্রর নতুন অভিষেক
ছবি: সংগৃহীত

সত্যজিৎ–পরবর্তী সময়ে সৌমিত্রকে সেই অর্থে আর কেউ আবিষ্কার ও ‘এক্সপ্লোর’ করেননি। আবার হলিউডের বড় পরিসরের সিনেমা সম্পর্কে সত্যজিতের ‘ভীতির’ কারণে সৌমিত্রকে কলকাতার চেম্বার বেজ ড্রামাতে ঢুকে পড়তে হয়েছে। সত্যজিৎই ছিলেন তাঁর একমাত্র বান্ধব, যিনি তাঁকে টালিগঞ্জ থেকে বিশ্ব পরিসরে নিয়ে যেতে পারতেন। তা আর হলো না।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের যে দীর্ঘ পথচলা, সেখানে আরেকটা দিক হলো তাঁর লেখালেখি, মঞ্চে অভিনয়, ছোটকাগজ সম্পাদনা ইত্যাদি। তাঁর অসাধারণ আবৃত্তির কথাও এখানে বলতে হবে। যেখানে আমরা আরেক সৌমিত্রকে দেখতে পাই। সম্ভবত কলেজে থাকতেই এক বন্ধুর হাত ধরে তাঁর সত্যজিতের মুখোমুখি হওয়া আর ‘অপুর সংসার’ দিয়ে চলচ্চিত্রের পর্দায় পদার্পণ। এরপর একের পর এক ছবিতে নানা চরিত্রে নিজেকে পরিচয় করাতে থাকেন তিনি।

সৌমিত্রর ‘অপুর সংসার’ আর ‘দেবী’র ভীষণ ভক্ত আমি। এই অভিনেতার কবিতা বা গদ্য কম পড়েছি। ফলে এ বিষয়ে মন্তব্য করা অনুচিত হবে। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে একটা অস্বস্তি আমার আছে, সেটা চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক প্রসঙ্গে।

সৌমিত্রর লেখাতেই পড়েছিলাম, সত্যজিতের সমালোচনা করার জন্য ঋত্বিককে ঘুষি মেরেছিলেন তিনি। (সূত্র: গৌতম ভট্টাচার্য, ‘সংবাদ প্রতিদিন’) এবং সম্প্রতি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ না করে একইভাবে ঋত্বিকের সমালোচনাই করে গেছেন। ফলে সৌমিত্রকে নিয়ে আমার অস্বস্তিটুকু নিরসনের আর উপায় রইল না।

সত্যজিৎ রায়ের বাসায় আড্ডায় সৌমিত্র। পাশের সোফায় বসে স্কেচ করছেন সত্যজিৎ
ছবি: সংগৃহীত

সৌমিত্র প্রসঙ্গে কিছু কথা তো বলা গেল। এবার তাঁর অন্য একটি দিক নিয়ে কথা বলতে চাই। ‘অপুর সংসার’–এ অপু নামে যে চরিত্রটা আমরা দেখি, সেটা বেশ একটা উদাসীন ফ্যান্টাসিতে ভোগা এক যুবকের, যে কিনা জীবনকে বাস্তবতা দিয়ে মোকাবিলা করতে চায় না; বরং একজন এলিয়েন হয়ে এক সাহিত্যিক কল্পনার মধ্য দিয়েই বুঝতে চায় জীবনকে। এই চরিত্রের মধ্যে সত্তর দশকের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে যে আধুনিক বিপ্লবী ভঙ্গির দেখা পাওয়া যায়, তার প্রতিফলন আছে। অপু চরিত্রের ভেতরে সেই সময়ের প্রভাবটি বেশ ভালোভাবেই আছে। আঙ্গিকগত দিক থেকে বাংলাদেশের ‘ঘুড্ডি’ সিনেমায় অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদের চরিত্রটির সঙ্গে অপু চরিত্রের একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দুটি চরিত্রই যেন একই খামখেয়ালি আর ‘পেসিমেস্টিক’ জায়গা থেকে দুনিয়াটাকে দেখছে। একটা পরিবর্তন হয়তো চাচ্ছে, কিন্তু একই সঙ্গে বুর্জোয়া প্রতিনিধি হিসেবে আবার গ্লানি থেকেও বেরোতে পারছে না। একটা নৈরাশ্য আছে কোথাও। জীবনের ঘেরাটোপ পেরিয়ে জীবনকে একটা কবিতার মতো করে ভাবতে চাওয়া কেউ যেন। যেনবা পলায়নপর। আমাদের এখানে ১৯৭১ সাল–পরবর্তী সময়ে বিকল্প ধারার সিনেমায় যেসব ফ্যান্টাসিপ্রবণ চরিত্র এসেছে, সেগুলোর সঙ্গে এই খামখেয়ালিপূর্ণ যুবক চরিত্রটি ঘুরেফিরে আসে। এটা ভালো–মন্দ দুটোই হয়তো।

সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, সৌমিত্রর দর্শক ছিল মূলত মধ্যবিত্ত পরিসরে। কিছুটা বিকল্প ধারার। সৌমিত্রর শেষ যে দুটি কাজ দেখেছি, প্রথমটি হলো গৌতম ঘোষের ‘দেখা’। এখানে তিনি এক অন্ধের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গৌতমের নির্মাণে একটি গড় সিনেমা এটি। কিন্তু সৌমিত্রর খুব সাটল আর মিনিমালিস্টিক অভিনয়রীতি বেশ আলাদাভাবেই মনে আছে। কলকাতার ম্যানারিস্ট মেলোড্রামাটিক অভিনেতাদের ভিড়ে তাঁকেই মিনিমালিস্টিক অভিনয় করতে দেখেছি। তাঁর পরবর্তী অভিনেতাদের মধ্যে বরং খুব প্যাটার্নবন্দী সবাই। তবে সুজয় ঘোষের পরিচালনায় ‘অহল্যা’ নামের ছোট একটা ছবিতে তাঁকে দেখে খুব চমকে গিয়েছিলাম। কারণ, ওঁর চরিত্রটি এত সুররিয়ালিস্টিক, এত ভিন্নমাত্রার ছিল, যা কিনা গল্প পড়েও হয়তো বোঝা যাবে না।

কথা হলো, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রতিভাবান একজন অভিনেতা ও লেখক শুধু ‘অপু ট্রিলজি’, ‘চারুলতা’, ‘ফেলুদা’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ আর ‘হীরক রাজার দেশে’তেই থেমে গেলেন। সৌমিত্রর অন্য কীর্তির চেয়ে এই ছবিগুলোই মূলত তাঁকে বেশি মাত্রায় প্রতিনিধিত্ব করে। তাই সংগত কারণেই ‘থেমে গেলেন’ বাক্যটি মন না চাইলেও লিখতে হচ্ছে।

অর্থাৎ, বলার কথা হলো, সৌমিত্র ওই চরিত্রকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। সহজ এক বিত্তশালী, শিল্পরসিক বৃদ্ধের চরিত্রকে তিনি নতুন মাত্রায় বিন্যস্ত করেছেন। তাঁর সংলাপ প্রক্ষেপণ, ছোট ছোট গিমিক, উইট, এর সঙ্গে একধরনের কামুক পুরুষের পোর্ট্রেটটা তিনি অদ্ভুতভাবে এঁকেছেন ওই ছোট্ট পরিসরে। ছবিটা যেমন এখনো চোখে লেগে আছে, তেমনি মনে আছে ‘অপুর সংসার’–এর সেই দৃশ্য, যেখানে তাঁর পুত্রের মুখোমুখি হওয়ার পর দুজনের ভেতরের যে বিচ্ছিন্নতা, তীব্র এক টান—আবার যেন কেউ কাউকে চেনে না এমন এক দ্বিধা—দর্শককে এসব কিছু মুহূর্তেই ভারাক্রান্ত করে।

সেই পিতা–পুত্রের দেখাদেখির মুহূর্তটা বড্ড সুন্দর। আজও অমলীন স্মৃতিতে। আমার কাছে একদম শুরুর সৌমিত্র যতটা স্মার্ট আর ধারালো, বুড়ো সৌমিত্রও ঠিক ততটাই ক্ষুরধার, রসিক ও নতুন ধারার। নিজেকে কোনো জাড্যতায় আটকে রাখেননি তিনি।

বরং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও নূতন হয়েছেন। তবে এর মধ্যবর্তী যে সময়টা, সেখানে কোথায় যেন খানিকটা ছেদ আছে। সেই সৌমিত্র কোথায় যেন একটু টিপিক্যাল। উদহারণস্বরূপ বলা যায়, ‘হীরক রাজার দেশে’র কথা। এখানে উৎপল দত্তের কাছে তিনি যেন বেশ একটু ম্লান।

গৌতম ঘোষের ‘দেখা’ চলচ্চিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের রোমান্টিকতার দিক নিয়ে আলাপ আর নাই–বা করলাম। উত্তমকুমারের দৌরাত্ম্যের মধ্যে তিনি এসে ঠিকই নিজের দর্শক তৈরি করেছিলেন, এটা তাঁর অভিনয়জীবনের একটা সাফল্য বটে এবং আরেকটা সাফলতা এই যে সাবলীল অভিনয় দিয়ে আরেক শ্রেণির ‘সফিস্টিকেটেড’ দর্শকের কাছেও তিনি পৌঁছেছিলেন। দুকূলেই তরি ভিড়িয়েছিলেন।

তবে কিনা ‘এত করিয়াও বাঙালি হইতে পারিলাম না’র মতো এই অনন্য অভিনেতা কলকাতাতেই আবদ্ধ হয়ে থাকলেন, সমগ্র ভারতের দর্শকের কাছে তাঁর অভিনয় পৌঁছাল না। বোধ করি এটা ভারতীর সিনেমার দর্শকদের জন্য দুর্ভাগ্য হয়েই থাকল।


অন্যআলো ডটকমে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]