মোনালিসার জন্য ভালোবাসা

মোনালিসা এখন কোয়ারেন্টিনে। মোনালিসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হতে দেওয়া যায় না। ল্যুভ জাদুঘরের ছোট–বড় সব ব্যবস্থাপক একমত হলেন বিশ্বখ্যাত এই জাদুঘরও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অসহায়। সাধারণ কর্মচারীরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে তাঁরা আর জাদুঘরে আসছেন না। বন্ধ হয়ে গেল ল্যুভ, যখন সুদিন আসবে, আবার সাদরে গ্রহণ করবে দর্শনার্থী।

জাদুঘরে মোনালিসার নিজের গ্যালারিতে মেরামত চলছিল। নতুন করে সাজানো হবে, সে কারণেই টানা চৌদ্দ বছর অবস্থানের পর গ্যালারি ম্যাডিসিসে আনা হয়েছে, অক্টোবরের পর মোনালিসা ফিরে আসবে পুরোনো আবাসে। এর মধ্যেই এসে গেল ভয়ংকর প্যানডেমিক।

১.
মোনালিসা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ চিত্রকর্ম কি না, এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, কিন্তু ছবির যে বিমামূল্যের হিসাব, তাতে পৃথিবীর কোনো জাদুঘরে আর কোনো শিল্পীর গ্যালারিতে থাকা কোনো ছবি একে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।

লেওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনালিসা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ দেখেছেন; এই ছবি নিয়ে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি হয়েছে; ছবিটি চুরি হয়েছে, উদ্ধার হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো দেশে যেকোনো মানুষকে একটি পেইন্টিংয়ের উল্লেখ করতে বলা হলে মোনালিসাই হয়ে উঠবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রথম। ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ সময়কালে ছবিটি আঁকা, ছবিটি আঁকার শুরুতে শিল্পী ছিলেন ইতালির ফ্লোরেন্সবাসী। তিনি যখন ফ্রান্সে যান, এ ছবির কাজ অব্যাহত রাখেন। শিল্পী প্রয়াত হওয়ার পর রাজা ফ্রাঁসোয়া ছবিটি কেনেন। চতুর্দশ লুই মোনালিসাকে ভার্সাই রাজপ্রাসাদে স্থানান্তরিত করেন। ফরাসি বিপ্লবের সময় মোনালিসাকে ল্যুভ মিউজিয়ামে আনা হয়। এটি কিছু সময় নেপোলিয়নের শোয়ার ঘরেও ছিল।

মোনালিসা কিন্তু ক্যানভাসে আঁকা তেলরং ছবি নয়। দা ভিঞ্চি মোনালিসা এঁকেছেন ৭৭ সেন্টিমিটার ৫৩ সেন্টিমিটার মাপের এই ছবি পপলার কাঠের তক্তার ওপর। তখন চিত্রশিল্পে ক্যানভাসের যথেষ্ট ব্যবহার থাকলেও ছোট মাপের কাজের জন্য রেনেসাঁ গুরুদের অনেকেই কাঠের আশ্রয় নিয়েছেন। মোনা মানে মাই লেডি, আদরের কেউ; আবার ইতালিয় ভাষায় মোনা মানে স্ত্রী জননাঙ্গ কিংবা বোকা মেয়ে।

১৯৬৩ সালে নিউ ইয়র্ক মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট-এ মোনালিসা দেখার লাইন
১৯৬৩ সালে নিউ ইয়র্ক মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট-এ মোনালিসা দেখার লাইন

মান্তুয়ার শাসক দ্বিতীয় ফ্রান্সেসকো গনজাগা তাঁর সুন্দরী স্ত্রী ইসাবেলার পোর্ট্রেট এঁকে দেওয়ার জন্য লেওনার্দোকে অনুরোধ করেন।

ইসাবেলা কোথায় এসে পোর্ট্রেটের জন্য সিটিং দেবেন, কত দিন পর ছবি সরবরাহ করা হবে—এসব ব্যাপারে লেওনার্দো যা বলবেন তা-ই চূড়ান্ত। সে সময় লেওনার্দোর তেমন কোনো আয়ও ছিল না, ফ্লোরেন্সে থাকাকালে উপার্জনের কিছু সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন।

লেওনার্দো পোর্ট্রেট করতে আগ্রহী নন। প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করলেন। সে সময় তাঁর ব্যস্ততা বিজ্ঞান বিষয়ের পড়াশোনা নিয়ে। তাঁর এই শিল্পবহির্ভূত আগ্রহ দেখে অনেকে কপালও কুঁচকাচ্ছেন।

ভাসারি লিখেছেন, ফ্রান্সেসকো গিয়োকোন্দো সিল্ক ব্যবসায় বেশ টাকাকড়ি করেছেন, সরকারি বড় পদও অধিকার করেছেন। শিল্পের সমঝদার হিসেবে তাঁর পরিবার সুপরিচিত। পরপর দুজন স্ত্রীর মৃত্যু হলে তিনি অপেক্ষাকৃত সাধারণ ঘরের মেয়ে লিসা দি ঘেরারদিনিকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি সন্তান শৈশবেই মারা যায়। ফ্রান্সেসকো তাঁর স্ত্রী লিসাকে লেওনার্দোর হাতে ফ্রেমবন্দী করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সম্ভবত আগাম অর্থও দেন। মনে করা হয়, গিয়োকোন্দো এবং লেওনার্দোর পরিবার সমমর্যাদার হওয়ায় এবং এই পরিবারের সঙ্গে শিল্পীর আগে থেকে চেনাজানা থাকায় তিনি অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করেননি।

লেওনার্দো তাঁর আঁকা ছবিটির কোনো নাম দেননি। ইতালিতে এটি পরিচিত হলো ‘লা গিয়োকান্দা নামে, ফ্রান্সে লাই ইয়োকেন্দে এবং ইংরেজিভাষী পৃথিবীতে ‘মোনা লিসা’ নামে।

ভাসারি মোনালিসার বিস্মৃত বিবরণ দিলেও তিনি ছবিটি দেখার সুযোগ পাননি। তিনি যখন তাঁর গ্রন্থ রচনা করছিলেন, মোনালিসা তখন ফ্রান্সে।

চুরির পর ল্যুভ মাঝখানে মোনালিসা নেই, এই শূণ্যস্থান দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে
চুরির পর ল্যুভ মাঝখানে মোনালিসা নেই, এই শূণ্যস্থান দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে

মোনালিসা নামটি তাঁর রচনাতেই প্রথম উল্লিখিত হয়েছে। এই ছবির জন্য যে নারী সিটিং দিয়েছেন, তিনি লিসা ঘেরারদিনি নন, অন্য কেউ—যখন অন্তত এক ডজন দাবি উত্থাপিত হয়েছে। কেউ বলেছেন, এ নারী গিলিয়ানো দেল মেডিসির প্রিয় রক্ষিতা, তার নাম প্যাসিফিকা ব্র্যান্দানো, কারও মতে ভিন্ন রক্ষিতা সিনোরা গুয়ালান্দা; কেউ মনে করেন আসলে এ ছবি মান্তুয়ার ডিউকপত্নী ইসবেলারই, কেউ বলেছেন ফ্রাঙ্কাভিলার ডাচেস। পর্যাপ্ত যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করা হয়েছে এ নারী আসলে লেওনার্দোর মা ক্যাতেরিনা। এমনও বলা হয়েছে, ছবিটি আসলে লেওনার্দো দা ভিঞ্চির আত্মপ্রতিকৃতি, কিন্তু নারীর বেশে। লেওনার্দো ছবি থেকে নিজের চেহারার ভাঙন ও বয়সের ছাপ তুলে দিয়েছেন।

আবার ছবির মানুষটি যদি নারীও হয়ে থাকে, তাকে যেমন দেখাচ্ছিল। শিল্পী তেমনভাবে আঁকেননি, তার পেছনে বহু শ্রম ও শিল্প বিনিয়োগ করে তাকে ম্যাডোনা কিংবা প্রিন্সেস করে তুলেছেন।

এটা অবশ্য অবিতর্কিত যে ছবি আঁকার সময় এই নারীকে প্রফুল্ল রাখতে লেওনার্দো বাদক দল নিয়োজিত করেছিলেন। এমন ভাষ্যও রয়েছে যে শিল্পী তাঁর এই মডেলকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে ছবিটি হাতছাড়া করতে চাননি।

মোনালিসার হাসি নিয়েও অভিসন্দর্ভ রচিত হয়েছে। শিল্পবোদ্ধা এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই হাসিতে প্রকাশ পাচ্ছে এই নারী অন্তঃসত্ত্বা।


এই পোর্ট্রেট করার ফরমাশ যিনিই দিয়ে থাকুন (ভাসারিসহ অধিকাংশের অভিমত তিনি ফ্রান্সেসকো গিয়োকোন্দো), এ ছবি কখনো তাঁর কাছে চালান দেওয়া হয়নি। ভাসারি বলেছেন, কারণ ছবিটি অসম্পূর্ণ ছিল। লেওনার্দো যখন ফ্লোরেন্স ছেড়ে মিলান এবং একসময় ফ্রান্স চলে যান ছবিটি সঙ্গে নিয়েই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছবিটি তাঁর সঙ্গেই ছিল।

লেওনার্দো কি তার আঁকা ছবির প্রেমে পড়েছিলেন? তিনি নারীর প্রেমে পড়েছেন। শিল্পীকে নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেছেন, কেউ-ই জোর দিয়ে বলেননি বরং ২৪ বছর বয়সে তিনি যে সমকামিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন (যদিও বেনামি দরখাস্তের ভিত্তিতে দাঁড়ানো মামলাটি সাক্ষ্যের অভাবে খারিজ হয়ে যায়), তাঁকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। তবে এটাও তো মিথ্যে নয় যে তার হাতে অসাধারণ নগ্ন পুরুষ সৃষ্টি হলেও তাঁর আঁকা নগ্ন নারীর হদিস মেলে না। মেডিসি তাঁকে নগ্ন মোনালিসা আঁকার ফরমাশ দিয়েছিলেন।

জাদুঘরের সামনে বিদেশি জোড়ের করোনা চুম্বন, ২৮ জানুয়ারি
জাদুঘরের সামনে বিদেশি জোড়ের করোনা চুম্বন, ২৮ জানুয়ারি

মোনালিসার কার্যাদেশদাতার কাছে সরবরাহ করে লেওনার্দো তাঁর প্রাপ্য অর্থ আদায় করে নিতে পারতেন। কেন করেননি তার বেশ কটি ব্যাখ্যা:

ক. ছবিটি অসমাপ্ত ছিল (ফ্লোরেন্সে থাকা অবস্থায় এটি কিঞ্চিৎ অসমাপ্ত থাকলেও তিনি পরে কাজটি শেষ করেছেন বলেই চিত্রশিল্প বিশ্লেষকেরা মনে করেন)।
খ. ফ্রান্সেসকো গিয়োকোন্দো লিসার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, সে জন্য এই পোর্ট্রেটটি পেতে তাগাদা দেননি।
গ. লিসা মেডিসির রক্ষিতা ছিলেন, কিন্তু মেডিসি অন্য রক্ষিতার প্রতি আসক্ত হওয়ায় ছবিটির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
ঘ. যেহেতু লেওনার্দো ছবিতে তাঁর মাকে এঁকেছেন, তিনিই এটি কখনো হাতছাড়া করতে চাননি।

শিল্পী কালো থেকে শুরু করে সবুজ কয়েকটি রং ব্যবহার করেছেন। এ কথা মানতেই হবে মোনালিসাতে রঙের আতিশয্য নেই। কিন্তু দুর্ভেদ্য একটি রহস্যময়তা এই নারীকে ঘিরে আছে।

১৯১১ সালে যখন মোনালিসা চুরি হয়ে যায়, ল্যুভ মিউজিয়ামে মোনালিসার শূন্যস্থানটি দেখার জন্য প্যারিসে দেশি ও বিদেশি মানুষের ঢল নামে।

মানুষ ভাবতে শুরু করে ছবি না থাকলেও মোনালিসার আত্মা তখনো সেখানে বিরাজমান। মোনালিসার সঙ্গে বিচ্ছেদ ফ্রান্সকে শোকগ্রস্ত করে তোলে। প্রায় দুবছর প্যারিস রয়ে যায় শোকের শহর।

রেনেসাঁ শিল্পের প্রধান ইতিহাসবেত্তা জিওর্জিও ভাসারি লেওনার্দোর মৃত্যুর অনেক বছর পর যে গ্রন্থ প্রকাশ করেন, তাতে উল্লেখ করেছেন ফ্রান্সিসকো দেল গিয়োকোন্দো তাঁর স্ত্রী লিসাকে আঁকার জন্য লিওনার্দোকে দায়িত্ব দেন। অগাস্তিনো ভেসপুচি হাইডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো বই ঘেঁটে বের করেন ১৫০৩ সালে লেওনার্দো লিসা ঘেরারদিনির ছবি আঁকা নিয়ে ব্যস্ত। ধারণা করা হচ্ছে, ১৫১৭ সালেও লেওনার্দো ছবিতে রঙের কয়েকটি পোঁচ দিয়েছেন।

১৮৫২ সালে ছবির মোনালিসার প্রেমে পড়ে এক যুবক ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। ১৯১০ সালে একজন মোনালিসার ছবির দিকে তাকিয়ে নিজেকে গুলি করে।

এই ছবিটি ১৯১১ সালের ২১ আগস্ট যখন ল্যুভ জাদুঘর থেকে চুরি হয়, সন্দেহভাজন চোরদের মধ্যে গিওম আপোলিনেয়ারের নামও আসে, তিনি গ্রেপ্তার হন। তাঁর জবানবন্দির রেশ ধরে বন্ধু পাবলো পিকাসোকেও গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা চোর প্রতীয়মান না হওয়ায় একসময় দুজনকেই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

লে পেটিট প্যারিসিয়েন, ১৪ ডিসেম্বও ১৯১৪, মোনালিসা পাওয়া গেছে
লে পেটিট প্যারিসিয়েন, ১৪ ডিসেম্বও ১৯১৪, মোনালিসা পাওয়া গেছে

পরে শোনা যায় এদুয়ার্দু দ্য ভ্যালফিয়ের্নো এই চুরির প্রধান কারিগর, তিনি প্রতারক শিল্পী ইভস বাদ্রোকে একই ধরনের ছটি মোনালিসা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। মোনালিসার রহস্যময়তা নিয়ে যা-ই বলা হোক, শিল্পবিশেষজ্ঞদের অনেকেরই অভিমত, ভিঞ্চি মোনালিসাকে ভার্জিন ম্যারির আদলেই তৈরি করতে চেয়েছেন।

১৯১৪ সালের ৪ জানুয়ারি উদ্ধার হওয়া ছবিটি আবার ল্যুভ মিউজিয়ামে ফিরে আসে। এই চুরির পরই বিশ্বব্যাপী মোনালিসা–ঝড় ওঠে, পরিচিতি বাড়তে থাকে। এই চুরি ও বিশ্বব্যাপী অনুসন্ধান এবং মোনালিসার জন্য দীর্ঘশ্বাস ছবিটির খ্যাতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

১৯৫৬ সালে এক দুষ্কৃতকারী মোনালিসার গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে, একই বছর ডিসেম্বরে কেউ একজন পাথর ছুড়ে ছবির মোনালিসার গায়ে। মোনালিসার কনুইয়ের দিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যাসিড নিক্ষেপের কারণেও ছবিটির বিশেষ ক্ষতি হয়। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মোনালিসাকে বুলেটপ্রুফ কাচের আস্তরণে ঢেকে দেয়। ২০০৫ সালে জাদুঘরের বর্তমান অবস্থানে আনা হয়। মোনালিসার এই আবাসকে কেউ কেউ বলে থাকেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ক্ষুদ্র কারাগার।

কেবল ২০১৪ সালে ল্যুভ জাদুঘরে আগত দর্শনার্থীর মধ্যে ৯৩ লাখ জন দর্শক গাঁটের বাড়তি টাকা খরচ করে মোনালিসা ছবিটি দেখেছেন।

ল্যুভ, প্যারিসে স্থানীয়ভাবে প্রদর্শিত এ ছবির মূল্য ১৯৬২ সালে হিসাব করা হয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ডলার; মুদ্রাস্ফীতি যোগ করে ২০১৬ সালে এর মূল্য দাঁড়ায় ৭৯০ মিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক একটি অনুমিত হিসাবে এর মূল্য এখন ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশের ১২০ বিলিয়ন টাকা অর্থাৎ ১২ হাজার কোটি টাকা!
(আগামী কাল থাকবে পিকাসোর গ্রেপ্তার, চোরের জবানবন্দি)