এ সপ্তাহের বই

ইতিহাসের প্রত্যক্ষদর্শী

যেকোনো দেশের সৃষ্টি ও বিকাশের একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংগঠনিক ইতিহাস থাকে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ নামের এই বইয়ের লেখক সারওয়ার আলী সেই ইতিহাসের পথে হেঁটে আসা এক পথিক। ব্রিটিশশাসিত ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তাঁর জীবন। 

১৯৬০-এর দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএমএসহ জাতীয় পর্যায়ের পেশাজীবী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। সৃষ্টিলগ্ন থেকে জড়িত আছেন ছায়ানট ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গে। সেক্টর কমান্ডারদের সঙ্গী হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে সারা দেশ ভ্রমণ করেছেন। আর এসব প্রয়াস নিয়েই তো বাংলাদেশ নামক দেশটির বিকশিত হওয়ার ইতিহাস। এই ইতিহাসের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আপন অভিজ্ঞতার বয়ান লেখক তুলে ধরেছেন তাঁর স্মৃতিকথামূলক এই গ্রন্থে। প্রথমা প্রকাশন থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত বইটির দাম ৬৫০ টাকা।

রোকেয়ার প্রয়াণের পর

১৯৩২ সালে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের মৃত্যুর পর মাসিক প্রবাসী পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, ‘মিসেস সাখাওৎ হোসেনের মৃত্যুতে বঙ্গীয় সাহিত্যের ক্ষতি হইল এবং বঙ্গীয় নারীশিক্ষাক্ষেত্র হইতে একজন বিশিষ্ট আত্মোৎসৃষ্টা সমাজসেবিকার তিরোভাব ঘটিল।’ এই স্মরণীয় বাঙালি নারীর প্রয়াণের পর তাঁকে নিয়ে কবি বন্দে আলী মিয়া, সুফিয়া কামাল লিখেছিলেন কবিতা। আর এই মহীয়সীর চাচাতো বোন বেগম মরিয়াম রশীদ ‘রোকেয়ার প্রয়াণকাল: প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য’ শিরোনামে লিখেছিলেন একটি লেখা, যেখানে আছে রোকেয়ার মৃত্যুমুহূর্তের বর্ণনা। প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন এসব লেখা আবার নতুন করে আলোয় এসেছে গবেষক আবুল আহসান চৌধুরী সংকলিত ও সম্পাদিত রোকেয়ার প্রয়াণালেখ্য: সাময়িকপত্রের সাক্ষ্য ও অন্যান্য বইটির কারণে। পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত বইটিতে আছে রোকেয়ার মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে সেই সময়ের পত্রপত্রিকায় যা কিছু লেখা হয়েছে, তার সবকিছু। দাম: ৯৯৫ টাকা।