দুঃসহ কালের বিবরণী ‘স্বৈরাচারের দশ বছর’

‘স্বৈরাচারের দশ বছর’ বইটির প্রচ্ছদ
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির আগপর্যন্ত পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আতাউর রহমান খান। ভেতর থেকে দেখেছেন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের দশকব্যাপী শাসন-নিপীড়ন। দুঃসহ সেই কালেরই বিবরণী ‘স্বৈরাচারের দশ বছর’। লেখকের রচনাগুণে জীবন্ত হয়ে উঠেছে দুঃসহ সেই কাল।

বইটিতে আইয়ুব খানের শাসন-নিপীড়নের পাশাপাশি আছে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীর প্রতিবাদ-প্রতিরোধের বিবরণও। বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। সরস অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে লেখা বইটি উপন্যাসের মতোই তরতর করে পড়ে ফেলা যাবে। দেশের ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী পাঠকের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।

আতাউর রহমান খানের জন্ম ১ জুলাই ১৯০৭, ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের বালিয়া গ্রামে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও বিএল ডিগ্রি লাভ করে ১৯৩৭ সালে আইন ব্যবসায় যোগ দেন তিনি। ১৯৪৪ সালে মুনসেফ পদ থেকে পদত্যাগের পর যোগ দেন মুসলিম লীগে। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ভাষা আন্দোলনেও তিনি অংশ নেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহমন্ত্রী এবং পরে ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির আগপর্যন্ত ওই পদে বহাল ছিলেন।

পরবর্তীকালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন আতাউর রহমান খান। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘ওজারতির দুই বছর’, ‘অবরুদ্ধ নয় মাস’ ও ‘প্রধানমন্ত্রীত্বের নয় মাস’। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৭ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে।

ইতিমধ্যেই প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত তাঁর ‘ওজারতির দুই বছর’ বইটি পাঠক সমাদৃত হয়েছে।

স্বৈরাচারের দশ বছর’-এর প্রচ্ছদ করেছেন মাসুক হেলাল। বইটির গায়ের মূল্য ৫৫০ টাকা। বইটি পাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার ও শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে প্রথমা প্রকাশনের আউটলেটে। এ ছাড়া ঘরে বসে বই পেতে চাইলে অনলাইনে অর্ডার করা যাবে prothoma.com থেকে। সরাসরি কল করতে পারেন ০১৯৮৮৩৩৭৭৩৩ নম্বরে।