মাকে নিয়ে ইসমাইল কাদারের নতুন বই

ইসমাইল কাদারে
ইসমাইল কাদারে

অতিসম্প্রতি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হারভিল সেকার থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বনন্দিত ঔপন্যাসিক ইসমাইল কাদারের নতুন বইদ্যডল: পোর্ট্রেটঅবমাইমাদার। প্রকাশের পরপরই বইটি পাঠকমহলে উচ্চপ্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে। উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন মা। তিনি অত্যন্ত ঘরোয়া জীবন যাপন করেন। তার রয়েছে এক পুত্রসন্তান। পুত্রকে নিয়েই তার যত ভয়। কারণ, পুত্রের কাজকর্ম স্বাভাবিক মনে হয় না তার কাছে। পুত্র যেসব কথা বলে, যেসব ভাষা ব্যবহার করে, যেসব চিন্তা করে, যেসব লেখালেখি করে, সেসবের সঙ্গে তিনি পরিচিত নন। ছেলে যে জগতে থাকে, সে জগৎ একেবারেই অচেনা মায়ের। সেখানে তার প্রবেশের অধিকার নেই। আর এই ছেলেই বড় হয়ে যদি বিখ্যাত লেখক হয়, তা হলে এই ‘মা’ তার যোগ্য হবে না যে! তা হলে তখন কি অন্য কোনো মাকে বেছে নেবে ছেলে?

আলোচক-সমালোচকেরা বলছেন, এই গল্পে কাদারের আত্মজীবনীর ছাপ রয়েছে। তিনি তাঁর মায়ের গল্পই বলেছেন। উপন্যাসে দেখা যায়, ১৯৯৪ সালে প্যারিস থেকে তিরানা শহরে যাচ্ছেন কাদারে, তাঁর ভাই ফোনে জানিয়েছেন যে মা মৃত্যুশয্যায়। এখান থেকেই শুরু হচ্ছে উপন্যাসটি। কাদারের এক আত্মীয় তাঁর মায়ের পরিচর্যা করার সময় উল্লেখ করে যে কী হালকা হয়ে গেছেন তিনি! যেন কাগজের মতো! একটা পেপার ডল! এখান থেকেই উপন্যাসের শিরোনাম।

বলার অপেক্ষা রাখে না, কাদারের এই আখ্যান বয়ানে চমৎকারিত্ব রয়েছে। রয়েছে অভিনবত্ব। সম্ভাব্য নোবেল পুরস্কার-প্রাপক হিসেবে সেই কবে থেকে তাঁর নাম শোনা যায়। ম্যান বুকার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। আলবেনিয়ায় একনায়কতন্ত্রের যে বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিবাদ করেছিলেন কাদারে, তার অসামান্য প্রতিফলন ঘটেছিলদ্যপ্যালেসঅবড্রিমস বাদ্যপিরামিড উপন্যাসে। নব্বই দশকের গোড়ায় কমিউনিস্ট শাসিত আলবেনিয়া ছেড়ে ফ্রান্সে চলে গিয়েছিলেন কাদারে, রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন ফ্রান্সে। দেশে ফিরেছিলেন ১২ বছর পর, ২০০২ সালে। সূত্র: দ্যগার্ডিয়ান