প্রশ্নের ধাঁধা

তোমাদের জন্য থাকল ২০টি প্রশ্ন। কোনো কোনো প্রশ্ন বেশ কঠিন। রীতিমতো হিসাবনিকাশ করে উত্তর পাবে। আবার কিছু প্রশ্ন একেবারেই ছেলেমানুষি, দুষ্টুমিতে ভরপুর! একটু কঠিন, একটু মজার—সবগুলো ধাঁধাতেই পাবে মাথা খাটানোর আনন্দ। চাইলে বন্ধুদের এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে ভড়কে দিতে পারো!
১. তিথি আর তিতলি, দুই বোন বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে গেছে। যেতে যেতে তাঁদের একটা নদী পার হওয়ার প্রয়োজন পড়ল। নদীতে নৌকা আছে। কিন্তু নৌকাটা এত ছোট, হয় একজন বড় মানুষ নয়তো দুজন ছোট মানুষকে বহন করতে পারে। তিথি, তিতলি, মা, বাবা-চারজনই নৌকা বাইতে পারে। কিন্তু পুরো পরিবার নদী পার হবে কী করে?
৬. একটা বর্গাকৃতি কেককে সমান আট ভাগে ভাগ করতে হবে। শর্ত হলো, তুমি ছুরি চালাতে পারবে মোট তিনবার। কীভাবে সম্ভব?
৭. এই মুহূর্তে তুমি যে ধাঁধাটা সমাধান করছ, সেই ধাঁধাটার চেয়ে যদি এর আগের ধাঁধাটা সহজ হয়, তাহলে এই মুহূর্তে তুমি যে ধাঁধাটার সমাধান করছ সেটা কি এর আগের ধাঁধাটার চেয়ে কঠিন হবে?
১৬. চারটা সরলরেখা এঁকে এই নয়টা বিন্দু যোগ করতে হবে, কিন্তু পেনসিল ওঠাতে পারবে না।
. . .
. . .
. . .
৮. ডাক্তার তোমাকে তিনটা ট্যাবলেট দিয়ে বললেন, ‘আধঘন্টা পর পর খেয়ো।’ তিনটা ওষুধ শেষ করতে কত সময় লাগবে?
৯. মুরগি, নাকি ডিম—কোনটা আগে?
১০. স্কুলের এক পাশের দেয়ালটা ভেঙে গেছে। দেয়ালটা মেরামত করতে ছয়জন শ্রমিকের তিন ঘণ্টা সময় লাগল। চারজন শ্রমিকের দেয়ালটা মেরামত করতে কতক্ষণ সময় লাগবে?
১১. সকালবেলা বসের রুমে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলেন বদি। বললেন, ‘বস! গতকাল রাতে অফিসে ঘুমানোর সময় আমি একটা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম, অফিসের ভেতর একটা টাইম বোমা লুকানো আছে। ঠিক দুপুর দুইটায় বোমটা ফাটবে।’
শুনে বস পুলিশে খবর দিলেন। পুলিশ এল। সত্যিই অফিসের ভেতর বোম পাওয়া গেল। পুলিশ বোমটা নিষ্ক্রিয় করার পর সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই বস বদিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন! কেন বলো তো?

১৭. তোমাকে আটটা পয়সা আর একটা দাঁড়িপাল্লা দেওয়া হলো। আটটা পয়সা দেখতে একই রকম। বলা হলো, আটটি পয়সার মধ্যে যেকোনো একটির ওজন বেশি। তুলনামুলক ভারী পয়সাটা খুঁজে বের করতে হবে। শর্ত হলো, দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে পারবে মাত্র দুবার। কীভাবে অন্য রকম পয়সাটা খুঁজে বের করবে?
২. একজন ট্রাকচালক একটা ‘ওয়ান ওয়ে’ রাস্তায় উল্টো দিক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ১৫ জন ট্রাফিক পুলিশকে পেরিয়ে গেলেন তবু কেউ তাঁকে বাধা দিল না। কেন?
১২. এই ধাঁধাটা একটু কঠিন। ভেবে দেখ, পারো কি না!
গফুর মিয়ার গরু চুরি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করতে হাজির হলো বিশিষ্ট গোয়েন্দা বিল্টু। সন্দেহভাজন পাঁচজন—আলম, বশির, চান্দু, ডাব্বু আর এমদাদকে গোয়েন্দা বিল্টুর সামনে হাজির করা হলো। চলল জিজ্ঞাসাবাদ। বিল্টুর প্রশ্নের কঠিন মারপ্যাঁচে পড়ে সন্দেহভাজনেরা যা বলল, তা এ রকম:
আলম: এমদাদ চোর নয়। চোর হলো বশির।
বশির: চান্দু চোর নয়। এমদাদও চোর নয়।
চান্দু: এমদাদ ব্যাটা চোর। আলম চোর নয়।
ডাব্বু: চান্দু চোর। বশিরও চোর।
এমদাদ: ডাব্বু হলো আসল চোর। আলম চুরি করেনি।
গোয়েন্দা বিল্টু জানে, এদের প্রত্যেকেই একটা সত্য কথা আর একটা মিথ্যা কথা বলেছে। এখন বলো দেখি, কে আসল চোর?
১৩. হাসপাতালের চিকিৎসক বললেন, রোগী তাঁর আপন ভাই। কিন্তু রোগী বললেন, চিকিৎসক তাঁর ভাই নন। কে মিথ্যা কথা বলছে?
১৮.
১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ ১২
খুব মনোযোগ দিয়ে লক্ষ কবো
ওপরে কোথায় ভুল আছে, বলো তো?
৩. চীনের মানুষ জাপানের মানুষের চেয়ে বেশি ভাত খায়। কেন?
৪. হিমালয় আবিষ্কারের আগে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ছিল কোনটি?
১৪. তিনি তোমার খালাতো ভাইবোনদের ‘খালামণি’। কিন্তু তিনি তোমার ‘খালামণি’ নন। কে তিনি?
১৫. জনিরা সাত ভাইবোন। ছয়জনের নাম—বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ আর কমলা। আরেকজনের নাম কী?
৫. বলো দেখি, বাসটা কোন দিকে যাচ্ছে? ডান দিকে, নাকি বাঁ দিকে?
১৯. বাটুল মিয়া থাকেন একটা অ্যাপার্টমেন্টের ৩২ তলায়। লিফটে সাধারণত তিনি ২৬ তলায় নেমে যান। বাকি ৬ তলা সিড়ি দিয়ে হেঁটে ওপরে ওঠেন। শুধু বৃষ্টির দিনে এই ঘটনার ব্যতিক্রম হয়। বৃষ্টির দিনে তিনি লিফটে ৩২ তলায় গিয়েই নামেন। কেন?
২০. তিনটি ঘর। যেকোনো একটা ঘরে তোমাকে ঢুকতে হবে। প্রথম ঘরের ভেতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। দ্বিতীয় ঘরে বন্দুক হাতে অপেক্ষা করছে একদল ভয়ংকর ডাকাত। তৃতীয় ঘরে আছে দশটা সিংহ, যেগুলো তিন বছর ধরে কিছু খায়নি। কোন ঘরটা তোমার জন্য নিরাপদ?
গ্রন্থনা: মো. সাইফুল্লাহ, সূত্র: ফান অ্যান্ড রিডলস

ধাঁধার সমাধান
১. প্রথমবার, তিথি আর তিতলি যাবে নদীর ওপারে। তিথি এপারে ফিরে আসবে। এবার মা যাবেন ওপারে। এরপর তিতলি নৌকা এপারে ফিরিয়ে আনবে। তিথি আর তিতলি একসঙ্গে আবার যাবে ওপারে। তিতলিকে নামিয়ে দিয়ে তিথি এপারে ফিরে আসবে। এবার বাবা যাবেন ওপারে। বাবা নেমে গেলে তিতলি নৌকাটা এপারে ফিরিয়ে আনবে। দুই বোন একসঙ্গে ওপারে যাবে।
২. কারণ তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন!
৩. চীনের জনসংখ্যা জাপানের চেয়ে বেশি!
৪. হিমালয়ই ছিল। শুধু তখনো আবিষ্কার হয়নি।
৫. বাসের দরজা যদি দেখা যেত, তাহলে বোঝা যেত বাসটা বাম দিকে যাচ্ছে। যেহেতু দরজা দেখা যাচ্ছে না, তার মানে বাসটা ডান দিকে যাচ্ছে।
৬. ছবির মতো করে প্রথমে কোনাকোনি চার ভাগ করো। এরপর মাঝখান থেকে দুই ভাগ করে দাও।
৭. হ্যাঁ!
৮. এক ঘণ্টা। এখন একটা খাবে। আধ ঘণ্টা পর আরেকটা খাবে। এক ঘণ্টা পর খাবে তৃতীয়টা।
৯. ডিম। কারণ মুরগির জন্মের অনেক আগেই ডায়নোসর ডিম পেরেছিল। (এখানে ‘মুরগির ডিম’ তো বলা হয়নি!)
১০. কোনো সময়ই লাগবে না। কারণ ছয়জন শ্রমিক ইতিমধ্যেই দেয়াল মেরামত করে ফেলেছেন।
১১. বদি অফিসের নৈশপ্রহরী। রাতের বেলা সে ঘুমাবে কেন!
১২. আসলে চুরিটা করেছে চান্দু।
বশির কী বলছে দেখো। চান্দুও চুরি করেনি, এমদাদও চুরি করেনি। এই দুই মন্তব্যের মধ্যে যেকোনো একটা মিথ্যা। এর অর্থ হলো চান্দু আর এমদাদ—এই দুজনের মধ্যেই যেকোনো একজন চোর।
এবার ডাব্বুর মন্তব্য দেখো। সে বলছে চান্দু চোর, বশিরও চোর। এই বক্তব্যের যেকোনো একটা সত্য। তার মানে চান্দু আর বশিরের মধ্যে যেকোনো একজন চুরিটা করেছে।
বশির আর ডাব্বু, দুজনের কথা মিলিয়ে বোঝা গেল, চান্দুই আসল চোর!
১৩. কেউই না। কারণ চিকিৎসক রোগীর বোন।
১৪. তোমার মা!
১৫. জনি
১৬. নিচের ছবির মতো করে চারটি সরলরেটা টানো।
১৭. প্রথমে দুই পাল্লায় তিনটি করে পয়সা রাখা হবে। যদি পাল্লার দুই পাশ সমান হয় তাহলে বাকি দুটি পয়সা পাল্লায় পরিমাপ করলেই ব্যতিক্রমটা খুঁজে পাওয়া যাবে।
আর যদি দুই পাল্লায় তিনটি করে পয়সা রাখার পর যেকোনো এক পাশ ভারী হয়, সেই পাশের তিনটি পয়সা থেকে যেকোনো দুটি নিয়ে ওজন করো। যে পয়সার দিকে পাল্লা হেলে পড়বে, সেটিই ওজনে ভারী। আর যদি দুই পাশ সমান থাকে, তার মানে তৃতীয় পয়সাটাই আমরা খুঁজছি!
১৮. শব্দটা ‘কবো’ নয়, ‘করো’ হবে!
১৯. বাটুল মিয়া লোকটা এতই খাটো যে লিফটে ৩২ নম্বর বোতাম পর্যন্ত তাঁর হাত পৌঁছায় না। ২৬ নম্বর বোতাম পর্যন্ত তাঁর হাত পৌঁছায় তাই তিনি ২৬ তলায় নামেন। বৃষ্টির দিনে তাঁর হাতে ছাতা থাকে। ছাতা দিয়ে তিনি ৩২ নম্বর বোতাম চাপতে পারেন।
২০. তৃতীয় ঘর। কারণ তিন বছর না খেয়ে সিংহগুলো নিশ্চয়ই আর বেঁচে নেই!