কতটা জানি আমাদের ৭ বীরশ্রেষ্ঠকে

‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা/ কারোর দানে পাওয়া নয়’—এই গান তুমি শুনেছ হয়তো। বরেণ্য সংগীতশিল্পী আবদুল লতিফের লেখা গানটি শুনলে মনে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা। লাখো শহীদের মধ্যে সাতজন হয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ। তোমরা জানো, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার হলো বীরশ্রেষ্ঠ। আমাদের সাত বীরশ্রেষ্ঠ দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধের ময়দানে দেখিয়েছেন অতুলনীয় সাহস, দিয়েছেন প্রাণ। আমরা তাঁদের কতটা জানি? কুইজের প্রশ্নগুলো পড়ে উত্তর বেছে নাও। সব শেষে মিলিয়ে নাও সঠিক উত্তরের সঙ্গে

প্রতিকৃতি: মাসুক হেলাল
প্রতিকৃতি: মাসুক হেলাল
প্রতিকৃতি: মাসুক হেলাল
প্রতিকৃতি: মাসুক হেলাল
প্রতিকৃতি: মাসুক হেলাল
প্রতিকৃতি: মাসুক হেলাল
প্রতিকৃতি: মাসুক হেলাল

সঠিক উত্তর

মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর

১) খ. কপালে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে শত্রুর বুলেট এসে লাগে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কপালে।

২) ঘ. বরিশাল। জাহাঙ্গীরনগর হলো বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি একসময় ‘আগরপুর’ নামে পরিচিত ছিল। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্ম এই ইউনিয়নের রহিমগঞ্জ গ্রামে। তাঁর সম্মানেই ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘জাহাঙ্গীরনগর’।

হামিদুর রহমান

১) ক. ১৮ বছর। সাত বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে হামিদুর রহমান কনিষ্ঠ। ১৮ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন।

২) গ. ১৯৭০। হামিদুর রহমান খুব অল্প বয়সে ১৯৭০ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর ইউনিট ছিল চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।

মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল

১) খ. ল্যান্স নায়েক। ১৯৬৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন মোস্তফা কামাল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কয়েক দিন আগে বক্সার হওয়ায় সিপাহি মোস্তফা কামাল অবৈতনিক ল্যান্স নায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান।

২) গ. ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দরুইন গ্রামে মোস্তফা কামাল শহীদ হন। এ গ্রামের লোকজন তাঁকে সেখানেই সমাহিত করেন। স্বাধীনতার পর মোস্তফা কামালের সমাধিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।

মো. রুহুল আমিন

১) গ. নৌবাহিনী। মো. রুহুল আমিন ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের মার্চে তিনি চট্টগ্রাম নৌঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন।

২) ঘ. পলাশ। সে সময় রুহুল আমিন পলাশের প্রধান ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিশার বা কারিগর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মতিউর রহমান

১) ক. পুরান ঢাকা। মতিউর রহমান ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার আগা সাদেক রোডের ‘মোবারক লজ’-এ জন্ম নেন।

২) ঘ. ২৪ জুন ২০০৬। মতিউর রহমান তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে শহীদ হয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার মতিউর রহমানের মৃতদেহ করাচির মাসরুর ঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কবরস্থানে সমাহিত করে। ২০০৬ সালের ২৪ জুন মতিউর রহমানের দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে এনে ২৫ জুন শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।

মুন্সী আব্দুর রউফ

১) ক. ১ নম্বর সেক্টর। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুন্সী আব্দুর রউফ অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি-মহালছড়ি জলপথে দায়িত্ব পান।

২) খ. রাঙামাটি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে রাঙামাটির বুড়িঘাটে সমাহিত করা হয়।

নূর মোহাম্মদ শেখ

১) খ. ‎নাজমুল হুদা। ১৯৭১ সালে নূর মোহাম্মদ শেখ ৮ নম্বর সেক্টরে যোগ দিয়ে যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন।

২) গ. নড়াইল। নূর মোহাম্মদ শেখের জন্ম নড়াইল জেলার মহিষখালী গ্রামে।