রিমি আর সুমি গেছে গ্রামের বাড়িতে। গ্রামে শীত পড়েছে বেশ। একরাতে দাদির কাছে ভূতের গল্প শোনার বায়না ধরল ওরা। দাদি বললেন, ‘ঠিক আছে, আজ রাতে তোদের গল্প শোনাব।’
রিমি আর সুমি খুব খুশি। ওরা রাতের খাবার শেষ করে গায়ে কম্বল জড়িয়ে বসল। বলল, ‘দাদি, গল্প শুরু করো।’
দাদি বললেন, ‘অনেক দিন আগের কথা, জঙ্গলে একটা ভূত ছিল। সে ছিল ভীষণ পেটুক। যখনই কোনো খাবারের গন্ধ পেত, খেয়ে নিত। একদিনের কথা, ভূতটা গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ দেখতে পেল, এক বাড়িতে অনেক মিষ্টি বানানো হচ্ছে। কিছু একটা আনতে ঘরের ভেতরে গেল রাঁধুনি। কড়াইয়ে গরম মিষ্টি। ভূতটা ভাবল, “এই তো সুযোগ। দু-একটা খেয়ে নিই। কেউ কিচ্ছু জানতে পারবে না।” ভূত দিল কড়াইয়ে হাত। অমনি হাত গেল পুড়ে!
ভূত তো চেঁচাচ্ছে, “ও বাবা গো, ও মা গো।” তখনই রাঁধুনি চলে এল। রাঁধুনির ডাকে গ্রামের লোকেরা জড়ো হয়ে ভূতকে তাড়িয়ে দিল গ্রাম থেকে। তারপর থেকে পেটুক ভূতটাকে আর গ্রামে দেখা যায়নি।’
বেচারা ভূতের জন্য রিমি-সুমির মায়াই হলো। সে রাতে দরজার বাইরে দুটি মিষ্টি রেখে দিল ওরা। ভুল করেও ভূতটা যদি এদিকে আসে, মিষ্টি পেলে নিশ্চয়ই খুশি হবে!
পরদিন খুব ভোরে উঠে দরজার বাইরে ছুটে গেল রিমি-সুমি। গিয়ে দেখে, মিষ্টির চারপাশে পিলপিল করছে হাজারো পিঁপড়া! বেচারা পেটুক ভূত কি হারিয়েই গেল?