একুশ বছর আগে
পাঠকের কাঠগড়ায় কী বলেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ?
একুশ বছর আগে প্রথম আলোর তৎকালীন সাপ্তাহিক রম্য ক্রোড়পত্র ‘আলপিনে’ পাঠকের পাঠানো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। প্রায় ৬৪ বছরের কাছাকাছি আয়ুষ্কাল পাওয়া নন্দিত এই কথাসাহিত্যিকের বয়স তখন কেবলই ৫৫ পেরিয়েছে। আলপিনের ২০০৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংখ্যায় হুমায়ূন আহমেদকে উদ্দেশ করে পাঠকের কাছ থেকে ‘মজার প্রশ্ন’ আহ্বান করা হয়। প্রশ্ন পাঠানোর শেষ সময় ছিল ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পরে ২০০৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত আলপিনের ঈদুল আজহা সংখ্যায় ‘পিনাঠকের কাঠগড়ায় হুমায়ূন আহমেদ’ শীর্ষক আয়োজনে পাঠকের পাঠানো নির্বাচিত ৫৫টি প্রশ্নের জবাব দেন হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশের দীর্ঘ দু দশকেরও বেশি সময় পরে, হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে—প্রথম আলোর অনলাইন পাঠকের জন্য আয়োজনটি তুলে ধরা হলো।
• প. মুলাটোল, রংপুর থেকে শান্তনু সাহা সুব্রত: আপনাকে যা খুশি তাই করার সুযোগ ও স্বাধীনতা দেওয়া হলে সর্বপ্রথম আপনি কী করবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: সর্বপ্রথম অবাক হয়ে বলব, Why me?
• ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে আদনান তানভীর: নিজের লেখা কোন বইটি আপনার সবচেয়ে প্রিয় আর কোনটি সবচেয়ে অপ্রিয়?
হুমায়ূন আহমেদ: সবচেয়ে প্রিয় ‘আমার ছেলেবেলা’, সবচেয়ে অপ্রিয় ‘কুটুমিয়া’।
• জিয়া হল, ঢাবি, ঢাকা থেকে সুমন: শুনেছি প্রেমে ছ্যাঁকা খেলে মানুষ কবি-সাহিত্যিক হয়। সত্যি করে বলুন তো, লেখক হতে গিয়ে আপনাকে কতবার ছ্যাঁকা খেতে হয়েছে?
হুমায়ূন আহমেদ: ওই জিনিসটি কেন জানি আমাকে খেতে হয়নি।
• মতলব, চাঁদপুর থেকে নাজির আহম্মদ: চুরি করা মহাপাপ। কিন্তু আপনি টিভিতে মন চুরি করেছেন আপুর, উপন্যাসে ভাইয়ার, এখন আলপিনে ঢুকে করেছেন আমাকে। ব্যাপারটা কী?
হুমায়ূন আহমেদ: আমি মনে হয় বিরাট চোর।
• পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম থেকে জাকির হোসেন: আপনি হুমায়ূন আহমেদ না হয়ে হুমায়ুন ফরীদি হলে কেমন হতো?
হুমায়ূন আহমেদ: খুব ভালো হতো বলে মনে হচ্ছে না। আমি অভিনয় জানি না। প্রচণ্ড বিপদে পড়তাম।
• মগবাজার, ঢাকা থেকে আবুল ফজল: আপনি একাধারে লেখক, শিক্ষক, চিত্রপরিচালক, চিত্রশিল্পী এবং আরও অনেক কিছু। ঠিক করে বলুন তো, আসলে আপনি কী?
হুমায়ূন আহমেদ: খুবই সাধারণ একজন মানুষ। বিনয় করে বলছি না। সত্যটাই বলছি। আমি বিনয়ী নই।
• রাজশাহী থেকে হাবিবুর রহমান: আপনার জীবনে কোন স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি?
হুমায়ূন আহমেদ: বড় লেখক হওয়ার স্বপ্ন, বড় পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন এবং বড় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন।
• নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শাকিল মাহমুদ: হুমায়ূন আহমেদ, আপনি কে?
হুমায়ূন আহমেদ: নুহাশের বাবা।
• টেপাখোলা, ফরিদপুর থেকে সাইফ সজল: এঁতঁ জাঁয়ঁগাঁ থাঁকঁতেঁ আঁপঁনিঁ পিঁনাঁঠঁকেঁরঁ কাঁঠঁগঁড়াঁয়ঁ আঁসঁলেঁনঁ কেঁনঁ?
হুমায়ূন আহমেদ: ভূঁত-প্রেঁতের প্রঁশ্নের জঁবাব দেঁওয়ার জঁন্য।
• বাঁশখালী, চট্টগ্রাম থেকে এম সাইফুল্লাহ: আলপিন সাংবাদিক হিসেবে আপনাকে বর্তমানে ক্ষমতাসীন একজন খোদ রাজাকার মন্ত্রীকে সাক্ষাৎকার নিতে পাঠালে তাঁকে আপনি প্রথমে কী প্রশ্ন করবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: আপনি কেমন আছেন?
• কোতোয়ালি, ঢাকা থেকে মাহাবুবুর রহমান: আপনার প্রিয় ভক্তটি কে?
হুমায়ূন আহমেদ: আমিই।
• বিওএফ, গাজীপুর থেকে আশরাফুল আলম টুটুল: অপরাধী না হয়েও কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন, ভয় করছে না তো?
হুমায়ূন আহমেদ: একটু একটু করছে।
• নাজির রোড, ফেনী থেকে তানিম/বাপ্পি: ছোটবেলায় তো আপনার ডাকনাম ছিল কাজল। এখন থেকে আমরা আপনাকে হুমায়ূন মামা না ডেকে কাজল মামা ডাকলে কি আপনি মাইন্ড করবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: মাইন্ড করব না। তবে আমার ভাগনে-ভাগনিরা আমাকে হুমায়ূন মামা ডাকে না। মামা ডাকে।
• মারিয়ালী, গাজীপুর থেকে রুহুল আমিন বাবলু: আপনার পুনর্জন্ম হলে সে জীবনে আপনি কী হতে চাইবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: আবারও জন্মাতে চাচ্ছি না। তারপরও যদি জন্মাতে হয়, হুমায়ূন আহমেদ হয়েই জন্মাতে চাইব।
• খিলগাঁও, ঢাকা থেকে কিশোর: হুমায়ূন আহমেদ আর আলপিন—এ দুইয়ের মধ্যে মিল কোথায়?
হুমায়ূন আহমেদ: আলপিন সবাই পড়ে না, হুমায়ূন আহমেদও সবাই পড়ে না।
• ফেনী থেকে মো. আহসান ভূঞা: ভাইয়া, আপনি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কোনো মামা আছে কি?
হুমায়ূন আহমেদ: আছে। কলম মামা।
• বাংলাবাজার, নোয়াখালী থেকে এস এম সুমন: আপনার মতো জনপ্রিয় লেখক হতে হলে কী করতে হবে?
হুমায়ূন আহমেদ: মাথাটা বেশ কিছু পরিমাণ আউলা থাকতে হবে।
• নড়াইল থেকে ফয়জুন নাহার লিমা: আপনাকে তিন দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী করা হলে আপনি কোন কাজটি আগে করবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: ‘আমার প্রধানমন্ত্রী বেলা’ নামের উপন্যাসটা লেখা শুরু করব।
• লাভ লেইন, চট্টগ্রাম থেকে মিশু: আপনি এত সব মজার গল্প পান কোথায়?
হুমায়ূন আহমেদ: খোয়াবে।
• চট্টগ্রাম থেকে মো. আনোয়ারুল আজিম বাহাদুর: ধরুন, আপনি ডিভি ২০০৫ লটারিতে বিজয়ী হয়েছেন। এ সময় লাদেনের মতো হুমায়ূন নামেও এক কুখ্যাত সন্ত্রাসীর আবির্ভাব হলো। আপনাকে মার্কিন সরকার বলল, হুমায়ূন নামটি বাদ দিয়ে অন্য কোনো নাম রাখার জন্য। আপনি কী করবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: মো. আনোয়ারুল আজিম বাহাদুর নামটি রাখার চেষ্টা করতাম।
• সবুজবাগ, বগুড়া থেকে সুপ্রিম: কিছু ছবিতে দেখতে পাই আপনি সিগারেট হাতে নিয়ে আছেন। সিগারেটে টান দিলেই কি আপনি লেখার বিষয়বস্তু খুঁজে পান?
হুমায়ূন আহমেদ: সিগারেটে টান দিলে আমি ধোঁয়া পাই। লেখা পাই না।
• মুলাডুলি, পাবনা থেকে কানন: হুমায়ূন আহমেদের হাতে আর কয়টি নীলপদ্ম আছে?
হুমায়ূন আহমেদ: এখনো কয়েকটা আছে।
• ঈশ্বরদী, পাবনা থেকে সাম্মী সোহানা সূচী: শুভ্রর মতো একজন শুদ্ধ মানুষের সন্ধান পেলে প্রথমে আপনি তাকে কী বলবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: এই শুভ্র, এই!
• চট্টগ্রাম থেকে এস এম জাভেদ আনোয়ার: আপনার ভেতর বসত করে কোনজনা? হিমু, শুভ্র, নাকি মিসির আলি?
হুমায়ূন আহমেদ: এরা কেউ আমার ভেতরে বসত করে না। আমিই এদের ভেতর বসত করি।
• জগতি, কুষ্টিয়া থেকে হুমায়ূন কবীর: রাজনীতি আর পলিটিকসের মধ্যে তফাত কী?
হুমায়ূন আহমেদ: একটি বাংলা শব্দ, আরেকটি ইংরেজি।
• ষোলশহর, চট্টগ্রাম থেকে রুমী নাহার: আচ্ছা, আপনাকে কোন প্রশ্নটা না করলে বেশি খুশি হবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: যে প্রশ্নটি আপনি করতে চেয়েছিলেন।
• ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা থেকে পরাগ: আপনি কখনো চায়ে কলা ভিজিয়ে খেয়েছেন?
হুমায়ূন আহমেদ: আমি কখনো খাইনি, তবে আমার এক বন্ধু ডক্টর করিম খেয়েছেন।
• রাজশাহী থেকে এ কে এম মঞ্জুরুল করিম: কী অপরাধে আপনাকে পিনাঠকের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো?
হুমায়ূন আহমেদ: লেখক হওয়ার অপরাধে।
• কানাইহাট, সিলেট থেকে আবুল কাসেম সুমন: আলাদিনের জাদুর চেরাগ আপনার হাতে দিয়ে তিনটি জিনিস চাইতে বলা হলে আপনি কী কী চাইবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: ১. নুহাশ পল্লীর জন্য একটা হাতির বাচ্চা। ২. নুহাশ পল্লী পর্যন্ত পাকা রাস্তা। ৩. এমন একটা কলম, যা আমার মনের ডাক বুঝে নিজে নিজেই লিখবে।
• বনানী, ঢাকা থেকে দিশা, তিশা, রিন্থি: প্রেমিক হিসেবে কে বেশি যোগ্য—ক. হিমু, খ. শুভ্র, গ. হাসান, ঘ. মিসির আলি?
হুমায়ূন আহমেদ: দিশার জন্য হিমু, তিশার জন্য শুভ্র, রিন্থির জন্য হাসান। মিসির আলিকে বাদ রাখলাম, তাকে তোমরা কেউ সামলাতে পারবে না।
• রংপুর থেকে এল আর সৌরভ: আমি হুমায়ূন আহমেদ হতে চাই। পারব কি?
হুমায়ূন আহমেদ: অ্যাফিডেভিট করে নাম বদলালেই পারা যাবে। খুব জটিল প্রক্রিয়া নয়।
• বড় বাজার, চুয়াডাঙ্গা থেকে মো. রকিবুর রহমান: আপনাকে দেখলে মনেই হয় না, আপনি এত মজার মজার গল্প-উপন্যাস লেখেন। কেন বলুন তো?
হুমায়ূন আহমেদ: কী করব, চেহারাটা খারাপ।
• হিমায়েতপুর, পাবনা থেকে এম মিজানুর রহমান: ভালো কথা শুনতে খারাপ শোনায় কেন?
হুমায়ূন আহমেদ: ‘ডিসটিল্ড ওয়াটার’ সব সময় স্বাদহীন।
• মিরপুর, ঢাকা থেকে নিশাত তারান্নুম: ছেলেবেলার সেই আইসক্রিমওয়ালার দেখা কি আর কখনো পেয়েছেন?
হুমায়ূন আহমেদ: পাইনি।
• ঢাকা থেকে মো. আলী আকবর: প্রেমের মরা জলে কেন ডোবে না?
হুমায়ূন আহমেদ: সম্ভবত প্রেমের মরা সাঁতার জানে।
• খড়কী, যশোর থেকে কে এম আশরাফুল ইসলাম: মুখে দাড়ি–গোঁফ থাকলে তাকে ‘দেবদাস’ বলে সবাই ঠাট্টা করে কেন?
হুমায়ূন আহমেদ: মুখে দাড়ি–গোঁফ থাকলে আমি তো আসাদুজ্জামান নূর বলে ঠাট্টা করি। দেবদাস তো বলি না।
• শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে অনামিকা: সত্যি করে বলুন তো, আপনি কার জন্য লেখেন—নিজের জন্য, পাঠকের জন্য, নাকি শুধু পয়সা রোজগারের জন্য?
হুমায়ূন আহমেদ: পয়সা রোজগারের জন্য (বিশ্বাস হয়?)
• উত্তর বালুচর, সিলেট থেকে মুছাদ্দিক আহমদ: মানুষ লজ্জা পায় কেন?
হুমায়ূন আহমেদ: লজ্জা পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটায় বলে লজ্জা পায়।
• বাকৃবি আ/এ, ময়মনসিংহ থেকে কাজী আদর: এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনি জনপ্রিয় লেখকের বদলে হঠাৎ একজন জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা হয়ে গেছেন। আপনার অনুভূতি কেমন হবে?
হুমায়ূন আহমেদ: আনন্দিত হব বলেই তো মনে হয়। জীবনে আবারও একটা টার্ন।
• ঢা. ক্যা., ঢাকা থেকে সাঈদা সুলতানা তুলি: আপনার প্রথম জীবনে লেখা বোনের নামে ছাপানো কোনো কবিতার দু-চার লাইন শোনান।
হুমায়ূন আহমেদ: একটাই কবিতা—দিতে পার একশ ফানুস এনে/ আজন্ম সলজ্জ সাধ।/ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।
• পিয়ারাতলা, কুষ্টিয়া থেকে অর্জুন বিশ্বাস: আপনি কি নিশ্চিত, আপনি আসলেই একজন ভালো লেখক?
হুমায়ূন আহমেদ: না।
• রাজনগর, মৌলভীবাজার থেকে পল্লব কান্তি দেব: মুহম্মদ জাফর ইকবালের সঙ্গে করমর্দন করে একজন বলেছিলেন, ‘যাক, হুমায়ূন আহমেদের ভাইয়ের সঙ্গে তো হাত মেলালাম।’ ঘটনাটি এর ঠিক উল্টো হলে আপনি কী করবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: জাফর ইকবাল যে রকম খুশি হয়েছিল, আমিও সে রকম খুশি হতাম।
• চট্টগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম: জীবনে কি কখনো এমন কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, যখন মনে হয়েছে লেখক না হওয়াই ভালো ছিল?
হুমায়ূন আহমেদ: ঠিক এই মুহূর্তে। বিচিত্র সব প্রশ্নের জবাব লেখক না হলে দিতে হতো না।
• কাপ্তাই প্রেসক্লাব থেকে কাজী মোশাররফ হোসেন: ভক্তরা আপনাকে আলপিনের সম্পাদক হওয়ার দাবি জানালে কি তা মেনে নেবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: না।
• বৌবাজার, চট্টগ্রাম থেকে এম জাকির, নিঝুম: হিমুর পাঞ্জাবিতে পকেট থাকে না কেন?
হুমায়ূন আহমেদ: হিমু বাহুল্য পছন্দ করে না। পকেট তার কাছে বাহুল্য এবং বিলাসিতা।
• মাগুরা থেকে সৈয়দ আবদুল্লাহ ফারুখ রাজু: আপনার নিজের কোন কাজটি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত করেছে?
হুমায়ূন আহমেদ: লেখালেখির কাজ।
• বনানী, ঢাকা থেকে শাহারিয়া আফরিন: জন্মের পর মানুষ টাকা চেনে, টাকার পেছনে ছোটে। সেই টাকা পেলে কী করে, বলুন তো?
হুমায়ূন আহমেদ: খরচ করে, জমায় এবং ধার দেয়।
• দামপাড়া, চট্টগ্রাম থেকে উমা: আপনার কাছে কী সবচেয়ে বেশি প্রিয়—জ্যোৎস্না, নাকি বৃষ্টি?
হুমায়ূন আহমেদ: দুটোই। তবে জোছনা মনে হয় একটু বেশি প্রিয়।
• চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম থেকে তাসলিমা রহমান: নুহাশ বড় হলে বাবা হিসেবে তাকে কী হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দেবেন—একজন হুমায়ূন আহমেদ, হিমু, নাকি মিসির আলি?
হুমায়ূন আহমেদ: ভালো মানুষ হওয়ার কথা বলব। এখনই বলি।
• মগবাজার, ঢাকা থেকে ফাতিহা জেরিন ডোনা: আপনাকে দেবদাসের চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হলে আপনি আপনার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে কাকে নেবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: পরিচালক যাঁকে ঠিক করে দেবেন। দায়িত্বটা তো পরিচালকের।
• গাজীপুর থেকে মো. সমির সিকদার মানু: কী করলে আমি মৃত্যুর পরেও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকতে পারব?
হুমায়ূন আহমেদ: মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেওয়ার মতো কিছু করলে।
• চাঁদপুর থেকে মো. সোহরাব হোসেন: আপনার কিছু উপন্যাসে ভূতের কথা আছে। আপনি কি কখনো ভূত দেখেছেন?
হুমায়ূন আহমেদ: না, দেখিনি।
• চট্টগ্রাম থেকে মো. মহিদুল ইসলাম: মেঘবরণ চুলের সোনার কন্যা শুধু একটি কেন?
হুমায়ূন আহমেদ: ভালো জিনিস বেশি থাকতে নেই।
• চকবাজার, চট্টগ্রাম থেকে নাহিন: আপনি কি জাফর ইকবালের ভাই? নাকি জাফর ইকবাল আপনার ভাই?
হুমায়ূন আহমেদ: আমার ধারণা, আমরা দুজন দুজনের ভাই।
• উপশহর, সিলেট থেকে মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন: আমাদের মতো আপনাকেও নিজের কাছে প্রশ্ন রাখার সুযোগ করে দেওয়া হলে আপনি কী প্রশ্ন করবেন?
হুমায়ূন আহমেদ: ‘বাউলা কে বানাইল রে?’ কিংবা ‘কেন পান্থ এ চঞ্চলতা?’