বিদ্যাসাগরের যে ৫ তথ্য আপনি না-ও জানতে পারেন

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলির (১৮৬৬) দুটি সনেট ঈশ্বরচন্দ্রকে নিয়ে লেখা। যদিও প্রথমটিতে (‘বঙ্গদেশে এক মান্য বন্ধুর উপলক্ষে’) কিছুটা রাখঢাক ছিল, কিন্তু পরেরটিতে (‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’) তা শিরোনামে প্রকট হয়ে উঠেছে।

বিদ্যাসাগরের বাবা তাঁকে গোসলের কথা বললে দুই-তিন দিন পুকুরের কাছে ঘেষতেন না। আবার যেদিন গোসল করতে নিষেধ করতেন, সেদিন দুই-তিন ঘণ্টার আগে পুকুর থেকে উঠতেন না।

ঈশ্বরচন্দ্রের প্রচণ্ড পরীক্ষাভীতি ছিল। পরীক্ষার কথা শুনলেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতেন।

১৮৬৯ সালে বিদ্যাসাগরের গ্রামেই একটি বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কোনো কারণে বিয়েটা হয়নি। এ জন্য তিনি গ্রাম ছেড়ে চলে আসেন। এবং মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত নিজের গ্রামে আর যাননি।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নিজের ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন এক বিধবার সঙ্গে, পরিবারের সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ছেলেকেই করেছিলেন ত্যাজ্য।

সূত্র: বিভিন্ন সময়ের আনন্দবাজার পত্রিকা ও অন্যান্য