শিল্প নিয়ে বক্তৃতা কপচাবেন না, আমার লোকেরা মারা যাচ্ছে

ঔপনিবেশিকেরা কী সব ফুল টুল নিয়ে লিখে থাকে।

আমি বরং আপনাদের জানাই ডেইজি ফুল হয়ে ফোটার কয়েক সেকেন্ড আগেও

কীভাবে শিশুরা ইসরায়েলি ট্যাংকে পাথর ছুড়ে মারে।


আমি সেই সব কবির মতো হতে চাই, যারা চাঁদ-টাদ নিয়ে ভাবে।

জেলের গর্তে ও খোপে কারাগারে বন্দী থেকে ফিলিস্তিনিরা চাঁদ দেখতে পায় না।

খুব সুন্দর নিশ্চয়ই—চাঁদ আরকি!

ফুলেরাও খুব সুন্দর নিশ্চয়।

যখন আমি বিমর্ষ থাকি, আমার মৃত বাবার জন্য ফুল তুলি।

তিনি সারাটা দিন আল–জাজিরা দেখেন।

আমি চাই, জেসিকা আমাকে ‘শুভ রমজান’ মেসেজ পাঠানো বন্ধ করুক।

আমি জানি, আমি আমেরিকান, কারণ আমি

যখনই কোনো ঘরে ঢুকি, কী যেন একটা মরে যায়।

মৃত্যুর রূপকগুলো সেসব কবির জন্য, যাঁরা ভাবে, যাঁরা মরে ভূত, তাঁদের যেন কত কী আসে যায় শব্দে!

আমি যখন মরে যাব, কথা দিচ্ছি আপনাদের, আমি তাড়া করে ফিরব আজীবন।

নিশ্চয়ই একদিন, আমিও ফুলটুল নিয়ে লিখব—এমনভাবে যেন ফুলগুলো আমাদেরও।

নূর হিন্দি ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কবি এবং সাংবাদিক। কাজ করেন ডেভিল স্ট্রিপ সাময়িকীতে। তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধ আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে নূর হিন্দির একটি কবিতা—‘শিল্প নিয়ে বক্তৃতা কপচাবেন না, আমার লোকেরা মারা যাচ্ছে’।

কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, পোয়েট্রি সাময়িকীতে। সম্প্রতি গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার পর কবিতাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং অজস্র শেয়ার হয়। এ কবিতায় ধরা পড়েছে এক ফিলিস্তিনি কবির আর্তি। সেই কবিতার অনুবাদ।

অনুবাদ: শাফিনূর শাফিন