রা
উচ্চারণমাত্র ভেঙে যাবে, এই ভয়ে
‘উফ’ শব্দ গিলে খেয়ে শরীরে সমুদ্র—
টিনের চালের মধ্যে সূর্যরাজের পদধূলি
রাগে বা বেরাগে ঘূর্ণি তুলে নাচে,
ব্রহ্মতালু ফাটে, তালপাখা কাজেই লাগে না;
ঘুম যায় অভিসারে, রাত তিনটায়।
রাত তিনটায় ডেভেলপারের ট্রাক
বমি করে রড, তাতেই বজ্র—
ইট ভাঙানির যত হাতের ফোসকা ফাটে—
হর্নের উৎত্রাস, উচ্চাঙ্গসংগীত, খুব কর্কশ—
এমনকি দিনের বেলায়, কাকের নিরুদ্দেশে
উড়ালের ডানা ঝাপটানো—
বৃষ্টির বদলে খুব পরিষ্কার মীনচক্ষু—
অপর পৃষ্ঠায় বিদ্যুৎহীনতার গল্প, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, জলবায়ু
তন্ত্রমন্ত্র ইত্যাকার জঞ্জাল
লুকিয়ে রেখেই দর্শনে মগ্ন হয়ে পড়ি—
ড্যাশের মর্মার্থ হচ্ছে শব্দ,
কবিতা নির্মাণে লাগে;
যদিও খায় না পাবলিক।
দিন-রাত্রির ঠিক মাঝখানে সেতুটায়,
সুতোটায় বসে অথবা ইন্দুরের গর্তের মুখে
ধ্যানমগ্ন বিড়ালেরা বসে বসে খামোখাই
বহুতল শব্দের স্থাপত্য দেখছে!
আর ফলাফল শূন্যতায় ভরপুর! যেন
সুবহে-সাদিকের পথে মুসল্লির পায়ে-পায়ে
উত্তাপ ওঠানামা করবারই কথা।
উচ্চারণ মাঝপথে এক্কেবারে থেমে গেলে
ধন্য হয় বোবার জীবন, কোনো রা নেই।