আমাদের ভাগের কারখানা 

আমরা এই কারখানার নিবেদিতপ্রাণ শ্রমিক

আমাদের পূর্বপুরুষরাও তাই ছিলেন

কালে কালে যুগে যুগে আমরা গভীর প্রেমে ও সরল বিশ্বাসে

মালিক, মহাজনদের মহামান্য বলে বিবেচনা করি

তাঁরা আদেশ করেন, উৎপাদন বাড়াও 

আমরা সকলে কলকারখানার অংশ হয়ে যাই

বিদ্যুতের গতি, তেল–মবিল, কারখানার চাকা

মুহূর্তে সবই হয়ে যেতে পারে আমাদের রক্তমাংস ও ঘাম 

এই আমরা জগতের শ্রেষ্ঠ উৎপাদন শ্রমিক

কেউ আমরা কোনোদিনও বেতন–বোনাসের তোয়াক্কা করিনি

দাবি, আন্দোলন, সংগ্রাম—এসবে উৎপাদন ব্যাহত হয়

কারখানা, মালিক, মহাজন এবং আমরা সকলেই—

উৎপাদনের গর্বিত অংশীদার, সকলেই নিষ্ঠাবান  

আমরা প্রত্যেকেই কায়দা–কৌশলে অতি পরিণতমানের

পানির মতো যেকোনো পাত্রে ঢেলে এই আমাদের

বদলানো যায়নি, যাবে না—এমনই একরোখা স্বভাব

কোনোকালে ঢেউ হব না, হতে চাই না মাছ কিংবা পাখি

আমরা বিদ্যুতের গতি, তেল–মবিল, কারখানার চাকা— 

ইত্যাদি হতে পেরে মুখ বন্ধ করে প্রতিজন ঝলমলে 

প্রতিদিন ঝলমলে এবং চনমনে আমরা 

আমরা এই পুরাতন কারখানায় নতুন উদ্দীপনায় রোজ 

মানুষ ভাগ করে যাব, উৎপাদন করে যাব ভাগের মানুষ