বোমারুর আবেগে
নির্লিপ্ত প্রজাপতি;
ঘাতকেরা চেরির জঙ্গলে ঢুকে
নাইটির বোতাম
খুলে দেখে,
জ্বলজ্বল করছে বেহেশতের বাগান।
রমণীর লাবণ্য
পেন্টিতে লেগে আছে—
বোমারুর আবেগে দুজন
নগ্ন নারী-পুরুষ,
সঙ্গমের বোঁটা ছিঁড়ে খাচ্ছে
মরুভূমির নিষিদ্ধ অপেল;
উটের গলা অব্দি জ্বলছে
রাসায়নিক তৃষ্ণায় তীব্র হ্যালোজেন।
ক্যান্ডেললাইট ডিনার
হুইস্কির রোদ চুইয়ে ঝরছে মিসাইল,
আকুল ঝুমকোয়—
তীব্র দাবদাহ
বিশ্বের দাবানলে দুলছে
চ্যাপেলের ঘণ্টি;
রাতের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে
প্রতিটি রাত্রি জবার বোঁটায়
গোলাবারুদের পাপড়ি ফোটাচ্ছে
পাথরের বুকে—
বেদনার ব্রেকফাস্ট নিয়ে
কাড়াকাড়ি বুফেতে
একাধিক ঝাঁজের হুইস্কিতে—
মাতলামো পৃথিবীর ক্যান্ডেললাইট ডিনার।
জাল তুললে ওঠে ইলিশ
নদীর ওপার দুলে ওঠে ভাটির টানে ঢেউ
ফুল ফুটেছে চরকলমি দেখবি নাকি কেউ।
ওপার যেতে খেয়ায় বসে দুলবে সারাক্ষণ
তীরে আছে তাল সুপারি সাদা ছনের বন।
পায়রা নদী সাগর নয় শান্ত চলা মেয়ে
জলের মতো নেচে বেড়ায় দেখবি তাকে যেয়ে।
জেলেপাড়ার নৌকোগুলো মাঝনদীতে থাকে
জাল তুললে ওঠে ইলিশ পাবদা ঝাঁকে ঝাঁকে।
আঁধার নামলে জ্বলে–নেভে তারার মতো বাতি
ওপার চরে আছে এমন জোনাক–জ্বলা রাতি।
ফুরফুরিয়ে হাওয়ায় দোলে নদীর তীরে কাশ
ডানা মেলে পানকৌড়ি সাঁতার কাটে হাঁস।
সম্পর্ক
পরীক্ষার সিলেবাসে ঢুকে
ঘুমোচ্ছে একটা বিড়াল,
বারমুডা ঘাস সারা রাত তারা বিছিয়ে
শুয়েছিল—
আকাশের গায়ে
কামিজের জ্বলজ্বলে বোতামের চাঁদ;
প্রথম চুম্বনের রেশ,
পরীক্ষার খাতা ভর্তি কোয়েল পাখির
ডিমগুলো সব—
ঠোঁটের ওপর লেগেছিল;
রেজাল্টের অপেক্ষায়—
ডেকচির ভেতর একটা বৃত্তের মতো
ঘুরপাক খাচ্ছে
আমাদের সম্পর্ক।
কেটলিতে রাত
বেডশিটের ঘুম
কোলবালিশে শুইয়ে আছে
কেটলিতে রাত ছটফট
করতে করতে
জোছনার কাপে ঝরে পড়া বৃষ্টি;
ফুটপাতের চায়ে ডুবে
টোস্ট বিস্কুটের মতো
ফুলে উঠছে পেট—
নাগরিক দুর্ভোগের
ফ্রাইপ্যানে পোড়া ওমলেট।